ঢাকা ০৫:৩৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মতলব উত্তরে লেবুর হালি ১০০ টাকা!

মনিরুল ইসলাম মনির : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হঠাৎ আকাশ ছুঁয়েছে লেবুর দাম। পাইকারি মোকামে হালি ৬০ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে তা শ’ ছুঁয়েছে। উপজেলার ছেঙ্গারচর, নতুন বাজার, কালিপুর, কালির বাজার, মোহনপুর কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।

Model Hospital

আড়তদাররা বলছেন, লেবুর ফলন স্মরণকালের সর্বনিম্ন হওয়ায় এবার সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ছুঁয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ছেংগারচর তরকারি ব্যবসায়ী মমিন মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই লেবুর বাজার চড়া। তবে আজকের বাজারে দামটা একশ’ ছুঁয়েছে। এবার লেবুর ফলন খুব কম হয়েছে। সরবরাহও কম। তাই দাম চড়া। এখানে বিক্রেতাদের কিছু করার নেই। চাহিদা আর সরবরাহের কথা বিবেচনায় দামের এই চড়া ভাব আরও বেশ কিছুদিন থাকবে।

একই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া বলেন, শীতের শেষদিকে লেবুর বাজার একটু চড়াই থাকে। এছাড়া রমজান মাস, তাই লেবুর দাম বেড়েছে। তবে এবার অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি। ফলন কম হওয়ায় দামে এমন অস্থিরতা বিরাজ করছে।

সরেজমিন নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি লেবু প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এক ডজন কিনলে ২৫০ টাকা রাখা হলেও হালি বিক্রি হচ্ছে ঠিক ১০০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু তুলনামূলক কিছুটা কম। এর হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সফিকুল ইসলাম নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে হালি ৭০-৮০ টাকায় আনি। অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে তাই ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও কমেছে সমান হারে। মিনহাজ নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে প্রতিদিন ১০০ লেবু আনতাম। একটাও থাকত না। আর এখন মাত্র এক ডজন লেবু আনি। তবু দিন শেষে দুই-তিনটি অবিক্রীত থেকে যায়।

অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে সুজাতপুর ও নন্দলাল পুর বাজারেও। এ দুটি বাজারে দোকানভেদে দেশি লেবু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। লেবুর এই আকাশছোঁয়া দামে বিস্মিত এখানকার দোকানদাররাও। শামীম নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আর অধিকাংশ সময়ই লেবুর ব্যবসা করেছি। তবে এত দাম আগে কখনও দেখিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

মতলব উত্তরে লেবুর হালি ১০০ টাকা!

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৩৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ এপ্রিল ২০২২

মনিরুল ইসলাম মনির : চাঁদপুরের মতলব উত্তরে হঠাৎ আকাশ ছুঁয়েছে লেবুর দাম। পাইকারি মোকামে হালি ৬০ টাকা থাকলেও খুচরা বাজারে তা শ’ ছুঁয়েছে। উপজেলার ছেঙ্গারচর, নতুন বাজার, কালিপুর, কালির বাজার, মোহনপুর কাঁচাবাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া যায়।

Model Hospital

আড়তদাররা বলছেন, লেবুর ফলন স্মরণকালের সর্বনিম্ন হওয়ায় এবার সর্বোচ্চ দামের রেকর্ড ছুঁয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ছেংগারচর তরকারি ব্যবসায়ী মমিন মিয়া বলেন, বেশ কিছুদিন ধরেই লেবুর বাজার চড়া। তবে আজকের বাজারে দামটা একশ’ ছুঁয়েছে। এবার লেবুর ফলন খুব কম হয়েছে। সরবরাহও কম। তাই দাম চড়া। এখানে বিক্রেতাদের কিছু করার নেই। চাহিদা আর সরবরাহের কথা বিবেচনায় দামের এই চড়া ভাব আরও বেশ কিছুদিন থাকবে।

একই প্রসঙ্গে ব্যবসায়ী ইউসুফ মিয়া বলেন, শীতের শেষদিকে লেবুর বাজার একটু চড়াই থাকে। এছাড়া রমজান মাস, তাই লেবুর দাম বেড়েছে। তবে এবার অন্যান্যবারের চেয়ে বেশি। ফলন কম হওয়ায় দামে এমন অস্থিরতা বিরাজ করছে।

সরেজমিন নতুন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, দেশি লেবু প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়। এক ডজন কিনলে ২৫০ টাকা রাখা হলেও হালি বিক্রি হচ্ছে ঠিক ১০০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু তুলনামূলক কিছুটা কম। এর হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। সফিকুল ইসলাম নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমরা পাইকারি বাজার থেকে হালি ৭০-৮০ টাকায় আনি। অন্যান্য খরচ বাদ দিয়ে তাই ১০০ টাকায় বিক্রি করতে হয়। দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিক্রিও কমেছে সমান হারে। মিনহাজ নামে আরেক বিক্রেতা বলেন, আগে প্রতিদিন ১০০ লেবু আনতাম। একটাও থাকত না। আর এখন মাত্র এক ডজন লেবু আনি। তবু দিন শেষে দুই-তিনটি অবিক্রীত থেকে যায়।

অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে সুজাতপুর ও নন্দলাল পুর বাজারেও। এ দুটি বাজারে দোকানভেদে দেশি লেবু বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। তবে কাগজি লেবু বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। লেবুর এই আকাশছোঁয়া দামে বিস্মিত এখানকার দোকানদাররাও। শামীম নামে এক বিক্রেতা বলেন, আমি প্রায় ২০ বছর ধরে ব্যবসা করছি। আর অধিকাংশ সময়ই লেবুর ব্যবসা করেছি। তবে এত দাম আগে কখনও দেখিনি।