ঢাকা ০৩:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মতলব উত্তরে চলছে অর্ধশতাধিক করাতকল

মতলব উত্তর ব্যুরো : মতলব উত্তরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলছে অর্ধশতাধিক করাতকল। মালিক লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে মাত্র ১৮টি করাতকল মালিক বন বিভাগের লাইসেন্স নিয়েছেন। আর বাকিরা লাইসেন্স করাটা প্রয়োজনই মনে করছেন না।

Model Hospital

সরেজমিনে দেখা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজার, ইসলামিয়া মার্কেট (নতুন বাজার), পাঁচআনী মোড়, ছেংগারচর বাজার, কালীপুর বাজার, নবুরকান্দি, বাংলা বাজার সহ কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, আবার কোথাও পথ চলাচলের মূল সড়ক ঘেঁষে এসব কলগুলো গড়ে উঠেছে। তবে করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২/ক অনুচ্ছেদ বলছে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা গ্রামীণ হাট বাজারের ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকল বসানো যাবে না।

আবার একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব হতে হবে কমপক্ষে ৬ কিলোমিটার। কিন্তু এসব নিয়মনীতি কেবল কাগজেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এসব নীতির কোনটাই মানছে না এখানকার করাতকল ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া করাতকল বসাতে বন বিভাগের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হলেও মতলব উত্তরে গড়ে ওঠা বেশিরভাগ করাতকলেরই নেই লাইসেন্স। যেন দেখার কেউ নেই। কিন্ত খোদ বন কর্মকর্তার দাবি প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একাধিক করাতকল মালিকের জরিমানা করেছেন।

উপজেলার নবুরকান্দি বাজারের করাতকল মালিক আলমগীর হোসেন মাঝি জানান, আমি গত চার বছর ধরে আমার করাতকল ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি, গত বছর আমি লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমি লাইসেন্স পাইনি।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার বনবিভাগের দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি সকল নিয়মনীতি ও করাতকল আইন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। তাদের লাইসেন্সের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি এবং লাইসেন্স করতে সহযোগিতা করে আসছি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ,পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে মতলব উত্তরে চলছে অর্ধশতাধিক করাতকল

আপডেট সময় : ০১:৫০:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : মতলব উত্তরে নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে চলছে অর্ধশতাধিক করাতকল। মালিক লাইসেন্স ছাড়াই ব্যবসা পরিচালনা করছে। এদের মধ্যে মাত্র ১৮টি করাতকল মালিক বন বিভাগের লাইসেন্স নিয়েছেন। আর বাকিরা লাইসেন্স করাটা প্রয়োজনই মনে করছেন না।

Model Hospital

সরেজমিনে দেখা গেছে, মতলব উত্তর উপজেলার সুজাতপুর বাজার, ইসলামিয়া মার্কেট (নতুন বাজার), পাঁচআনী মোড়, ছেংগারচর বাজার, কালীপুর বাজার, নবুরকান্দি, বাংলা বাজার সহ কোথাও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট-বাজার, আবার কোথাও পথ চলাচলের মূল সড়ক ঘেঁষে এসব কলগুলো গড়ে উঠেছে। তবে করাতকল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২/ক অনুচ্ছেদ বলছে কোন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা গ্রামীণ হাট বাজারের ২০০ মিটারের মধ্যে করাতকল বসানো যাবে না।

আবার একটি থেকে অন্যটির দূরত্ব হতে হবে কমপক্ষে ৬ কিলোমিটার। কিন্তু এসব নিয়মনীতি কেবল কাগজেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে এসব নীতির কোনটাই মানছে না এখানকার করাতকল ব্যবসায়ীরা। তাছাড়া করাতকল বসাতে বন বিভাগের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক করা হলেও মতলব উত্তরে গড়ে ওঠা বেশিরভাগ করাতকলেরই নেই লাইসেন্স। যেন দেখার কেউ নেই। কিন্ত খোদ বন কর্মকর্তার দাবি প্রশাসনকে সাথে নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে একাধিক করাতকল মালিকের জরিমানা করেছেন।

উপজেলার নবুরকান্দি বাজারের করাতকল মালিক আলমগীর হোসেন মাঝি জানান, আমি গত চার বছর ধরে আমার করাতকল ব্যাবসা পরিচালনা করে আসছি, গত বছর আমি লাইসেন্স এর জন্য আবেদন করেছি কিন্তু এখনো পর্যন্ত আমি লাইসেন্স পাইনি।

এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলার বনবিভাগের দায়িত্বে থাকা হাবিবুর রহমান বলেন, সরকারি সকল নিয়মনীতি ও করাতকল আইন মেনেই ব্যবসা পরিচালনা করতে হবে। তাদের লাইসেন্সের বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছি এবং লাইসেন্স করতে সহযোগিতা করে আসছি।