সজীব খান : চাঁদপুর সদর উপজেলার হানারচর ইউনিয়নে তালিকা ভুক্ত জেলে চাল পায়নি। মঙ্গলবার হানারচর ইউনিয়নে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু তাতে তালিকা ভুক্ত জেলা ও চাল পায়নি এমনি তথ্য নিয়ে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকার্তার কার্যালয়ে কয়েক জন এসেছে।
জানা যায়, মৃত, জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী বিদেশী, স্বেচ্ছায় পেশা পরিবর্তন এমন ধরনের জেলেদের তালিকা হাল নাগাদ করে মৎস্য বিভাগ। এরপর মাঠে নেমে মৎস্য অধিদপ্তর জেলেদের চুড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করে। সে তালিকার জেলে ও হানারচরে মঙ্গলবার চাল পায়নি।
বুধাবর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আতাউর রহমানের কার্যালয়ে আসেন হানারচরের ৯নং ওয়ার্ডের ১৬১২ কার্ডধারী আমির হোসেন ভুঁইয়া সহ কয়েকজন আসেন, সেখানে আমির হোসেন ভুঁইয়া ২০১৩২২০০৫৮০০১০৫৪ এফআইডি দিয়ে উপজেলা মৎস্য অফিসে তল্লাশি দিলে আমির হোসেন ভুঁইয়া চুড়ান্ত তালিকার হানারচরের ৯নং ওয়ার্ডের একজন জেলে তার সত্যতা মিলে।
মৎস্য জীবি সমিতির নেতা তসলিম হোসেন গত কাল চাল না পাওয়া আমির হোসেকে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসে নিয়ে আসে। এ সময় তার সাথে জেলের এফআইডি কার্ড দিয়ে মৎস্য অফিসে চুড়ান্ত তালিকায় তার নাম চলে আসে। সেখানে চাল না পাওয়া আমির হোসেন ভুঁইয়া অভিযোগ করে বলেন আমরা জেলে, নদীর তীরবর্ত্তী হয়ে ও তালিকা নাম থাকার পর চাল পায়নি, আর নদীর পাশের না হয়ে ও অনেকে জেলে হয়ে চাল পায়। মৎস্য জীবি সমতির নেতা তসলিম হোসেন হাওলাদার ও আমির হোসেনের কথায় একই সুর মিলান।
এ বিষয়ে হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্তার ঢ়ারীর কাছে জানাতে চাইলে তিনি কোন প্রকার বক্তব্য দেয়নি।
চাঁদপুর সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, বিষয়টি খুঃখ্য দুঃখ্য জনক, কেন তালিকা ভুক্ত জেলে ও চাল পায়নি, সেটা অনুসন্ধান করা হবে।
উল্লেখ্য গতকাল হানারচরে আড়াই শতাধিক বাতিলকৃত জেলেদের ক্ষোভ নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে প্রকৃত জেলেদের তালিকা সঠিক ভাবে হালনাগাদের সময় তাদেরকে বাতিল করা হয় বলে অভিযোজ রয়েছে।
জাটকা সংরক্ষেণ জন্য মার্চ এপ্রিল দুই মাস জেলেদেরকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এ দুই মাস তার ৪০ কেচি করে চাল দেওয়ার সরকার ব্যবস্থা করেছে।