মোঃ রাছেল : কচুয়ায় শারমিন আক্তার (২৪) নামের এক কলেজ শিক্ষার্থীবক মারার ওষুধ পান করে আত্মহত্যা করেছে। সে কচুয়া উপজেলার আইনগিরি ভূঁইয়া বাড়ির আলী হোসেনের কন্যা।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বক পাখি মারার কীটনাশক ওষুধ খেয়ে সে আত্মহত্যা করে। বিষপানের বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয়রা তাকে সকাল ১০ টায় কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে।
হাজীগঞ্জ মডেল কলেজের শিক্ষার্থী শারমিন সপ্তাহ পূর্বে হিসাব বিজ্ঞানের উপর অনার্স ফাইনাল পরীক্ষা সর্ম্পন্ন করেছে। নিতন্ত্র দরিদ্র পরিবারের সন্তান শারমিন প্রাইভেট পড়িয়ে নিজের পড়াশুনার খরচ চালিয়ে আসে। তার আত্মহত্যার সঠিক কারন জানা যায়নি।
তার মা সুফিয়া বেগম জানান, শারমিন প্রাইভেট পড়িয়ে তার পড়াশুনার খরচ চালায়। এমনকি সংসার পরিচালনার অর্থের ও যোগান দিতে চেষ্টা করত। শনিবার রাতে তার প্রয়োজনে ১ হাজার টাকা দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু তার চাওয়া এ অর্থ দেওয়া সম্ভব হয়নি। এত সে ক্ষুদ্ধ হয়ে আমাকে ও তার বাবাকে বকা ঝঁকা করেছে।
এব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মোঃ মহিউদ্দিন বলেন- খবর পেয়ে ঘটনার স্থলে সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) দেলোয়ার হোসেনকে পাঠিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে এসেছি। অপমৃত্যু মামলা দায়ের করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে পাঠানো হবে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট অনুসারে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে। আত্মহত্যার কারন তদন্ত করা হচ্ছে।