মতলব উত্তর ব্যুরো : মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের ইসলামিয়া মার্কেট (নতুন বাজার) সংলগ্ন এলাকায় সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক ভূমি দখলের পাঁয়তারার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ব্যাপারে মতলব উত্তর থানার অভিযোগ দায়ের করলে পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাদেক আলী মোল্লা অভিযোগ করেন, গিয়াস উদ্দিন মল্লিক আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজকে পথে ঘাটে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে মারধর, অপমান-অপদস্ত, প্রাণনাশসহ এলাকা ছাড়ার হুমকি দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। এতে ছাদেক আলী মোল্লা ও তার পক্ষের পরিবারে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের নারী-পুরুষ সদস্যরা তাদের নিরাপত্তার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবি জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ, ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলাধীন ১৩২নং রামদাশপুর মৌজার এলএ কেস নং ৬৯/৮২-৮৩ এর ১১৫৪ নং দাগের রোয়েদাদ পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে, খতিয়ান নং ২৭২, দাগ নং ১১৫৪, নাল ভূমির ৩৩ শতক বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড অধিগ্রহণ করে। এ জমির ক্ষতিপুরণ গ্রহণ করেন মোসাম্মৎ জিন্নতেন নেছা। জিন্নতেন নেছার মালিকানাধীন এ জমি’সহ পার্শ্ববতী জমি ছাদেক আলী মোল্লা ক্রয় করে। পাউবো’র অধগ্রহণকৃত জমির ব্যবহৃত বাকী জমি ছাদেক আলী মোল্লা দখল করে মাছ চাষ করে আসছিল। রামদাশপুর গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মল্লিক তার সঙ্গীয়রা সন্ত্রাসী কায়দায় অবৈধভাবে দখলের পাঁয়তারা করে আসছে। পূর্বপরিকল্পিতভাবে ওই ভূমি জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালায়। স্থানীয়দের সহায়তায় বাধার মুখে তাদের দখলচেষ্টা ব্যর্থ হয়।
ইসলামিয়া মার্কেট (নতুন বাজার) পরিচালনা কমিটি, স্থানীয় ইউপি সদস্য ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ দখল কাজে বাঁধা দিলে তাদেরকেও গিয়াস উদ্দিন মল্লিক অপমান অপধস্ত করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ছাদেক আলী মোল্লা জানান, ২৭২নং খতিয়ানের ১১৫২, ১১৫৩ ও ১১৫৪ দাগের ৮২ শতক জমির আমি ক্রয় সূত্রে মালিক ও দখলদার। গিয়াস উদ্দিন মল্লিক এ খতিয়ানের কেউ হননা। এমনকি এ খতিয়ানের কোন সম্পত্তি ক্রয়ও করেনি। তিনি জোরপূর্বক আমার জমি ও আমার লপ্তপ্রয়স্তি জমি দখলের দেয়া করে আসছে।
ছাদেক আলী মোল্লার ছেলে সোলাইমান মোল্লা বলেন, আমরা প্রবাসে থাকায় গিয়াস উদ্দিন মল্লিক আমার বাবার কাছ থেকে মৌখিকভাবে বলে মাছ চাষ করে। এ সুযোগে তিনি ডোবার মধ্যে বালু ভরাট ও ঘর তোলার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারে থানায় অভিযোগ করি।
গিয়াস উদ্দিন মল্লিক বলেন, এ জায়গা আমার দখলে ছিল। এ পুকুরে আমি মাছ চাষ করেছি। তবে তিনি কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।
ছাদেক আলী মোল্লা আরো অভিযোগ করেন, গিয়াস উদ্দিন মল্লিক এ বাজারের অন্তত ৫টি দোকান ভিটি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। এ এলাকায় তিনি একজন দখলদার হিসেবে পরিচিত ব্যক্তি।