মোঃ রাছেল : তৌহিদুল ইসলামকে কারা হত্যা করেছে, কেন হত্যা করেছে, হত্যার রহস্য উদঘাটন হবে কিনা, দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্ত মূলক শান্তি হবে কিনা এসব প্রশ্নের ঝড় বয়ে যাচ্ছে কচুয়া বাসীর মধ্যে।
![priyo chandpur 12 Model Hospital](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2023/11/awfe.png)
কচুয়ায় তৌহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় মোঃ শুকুর আলম (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।
আটককৃত শুকুর আলম হত্যার শিকার তৌহিদুল ইসলামের বাড়ির পাশের বক্তার বাড়ির মোঃ রফিকের পুত্র। কচুয়া পৌরসভাধীন কড়ইয়া গ্রামের তৌহিদুল ইসলাম গত বৃহস্পতিবার রাতে নিখোঁজ হয়। পরের দিন শুক্রবার বিকালে তার বাড়ি থেকে প্রায় ৪শ’ গজ দক্ষিণে উদরা খালে কচুরিপানার ভেতর ক্রিকেট বল খুজতে গিয়ে তার মরদেহ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায়।
এব্যাপারে তৌহিদুল ইসলামের স্ত্রী সেলিনা বেগম কচুয়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। মামলা নং ২৩/৫৭ কচুয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- শুকুর আলমকে সন্দেহ ভাজন আসামী হিসেবে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার তাকে কোটে সোপর্দ করার মধ্য দিয়ে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসা বাদের জন্য শুকুর আলমের রিমান্ডের আবেদন জানানো হবে।
এদিকে তৌহিদুল ইসলামের নিকট আত্বীয় স্বজনদের আহাজারী যেন থামছে না। গতকাল শনিবার বিকালে তার বাড়ি গেলে সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে তার মা মমতাজ, আশেক আলী আশু, স্ত্রী সেলিনা, বড় পুত্র হাসাইন (১২), মেজো পুত্র হোসাইন (৮), ছোট পুত্র আব্দুল রহমান ও বোন আমেনা বেগম (২৭) অঝরে কাঁদতে থাকে। সাংবাদিকদের জড়িয়ে ধরে বলে আমাদের তৌহিদকে এনে দিন, তৌহিদকে ছাড়া তার সন্তানদের বাঁচানো যাবে না। তাদের বুক ফাঁটা কান্নায় বাতাস ভারি হয়ে হয়ে।