ঢাকা ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ! ধর্ষক আটক

এস এম ইকবাল : ফরিদগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন করে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী(২৫)কে ধর্ষন, ৪ সন্তানের জনক ধর্ষক জাকির হোসেন(৩৫)কে আটক করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধুর দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

Model Hospital

২৪ জানুয়ারী সোমবার রাতে কৌশলে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) বাহার মিয়া ও এসআই মশিউর আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার রূপসা দক্ষিন ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া এলাকা থেকে ওই ধর্ষক জাকিরকে আটক করে।

২৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধু ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ৪ সন্তানের জনক ধর্ষক মো. জাকির হোসেন নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার সাতরা এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রেজানান, এক সন্তানের জননী ঐ গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে। স্বামী সৌদি প্রবাসী হওয়ায় সে তার বাবার বাড়ি রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া গ্রামে থাকতো। প্রায় এক বছর পূর্বে ওই গৃহবধুর সঙ্গে টিকটক লাইকির মাধ্যমে পরিচয় হয় ধর্ষক জাকির হোসেনের সাথে । এরপর দুজনেরই মোবাইলে কথোপকথন চলতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৭ জানুয়ারী জাকির হোসেন ঐ গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভনে গৃদকালিন্দিয়া থেকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে পাশর্^বতী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর বাসস্ট্যান্ডের মেসার্স বাবুর আবাসিক হোটেলে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

এরপর ১৯ জানুয়ারী রায়পুর থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী তালতলা নামক স্থানে একটি অজ্ঞাত বাসায় আটকে রেখে সেখানেও ধর্ষণ করে। এরপরদিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারী গৃহবধূকে ঐ বাসায় ঘুমে রেখে তার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার নিয়ে জাকির হোসেন পালিয়ে যায়। এসময় জাকির হোসেন তার মুঠো ফোনটিও বন্ধ করে দেয়। এরই একপর্যায়ে ঐ গৃহবধূ ২০ জানুয়ারী দুপুরে সে তার বাবার বাড়ি রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া গ্রামে ফিরে আসে। পরে ঐ গৃহবধূ তার এক ছোট বোনকে দিয়ে জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কৌশলে ২৪ জানুযারী রাতে জাকির হোসেনকে তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। এসময় ঐ গৃহবধূর পরিবারের লোকজন পুলিশকে সংবাদ দেয়। ঐ রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে আটক করে ও ঐ গৃহবধূকে পুলিশি হেফাজতে নেয়। পরে রাতেই ঘটনার শিকার ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত (ওসি) মোহাম্মদ বাহার মিয়া জানান, গৃহবধৃকে ধর্ষন কথা শনে আমরা ধর্ষক জাকির হোসেনকে কৌশলে আটক করি এবং ওই গৃহবধুর ধর্ষন মামলায় নারী নির্যাতন মামলায় আদালতে প্রেরন করেছি।এছাড়া ঘটনার শিকার ঐ গৃহবধূকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

ফরিদগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ! ধর্ষক আটক

আপডেট সময় : ০২:৩৫:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২২

এস এম ইকবাল : ফরিদগঞ্জে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরন করে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী এক সন্তানের জননী(২৫)কে ধর্ষন, ৪ সন্তানের জনক ধর্ষক জাকির হোসেন(৩৫)কে আটক করেছে পুলিশ। ওই গৃহবধুর দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

Model Hospital

২৪ জানুয়ারী সোমবার রাতে কৌশলে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ ওসি (তদন্ত) বাহার মিয়া ও এসআই মশিউর আলম সঙ্গীয় ফোর্সসহ উপজেলার রূপসা দক্ষিন ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া এলাকা থেকে ওই ধর্ষক জাকিরকে আটক করে।

২৫ জানুয়ারী মঙ্গলবার রাতে ওই গৃহবধু ফরিদগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। ৪ সন্তানের জনক ধর্ষক মো. জাকির হোসেন নোয়াখালী জেলার সোনামুড়ী উপজেলার সাতরা এলাকার আবুল কালামের ছেলে।

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রেজানান, এক সন্তানের জননী ঐ গৃহবধূর স্বামীর বাড়ি ফরিদগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নে। স্বামী সৌদি প্রবাসী হওয়ায় সে তার বাবার বাড়ি রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া গ্রামে থাকতো। প্রায় এক বছর পূর্বে ওই গৃহবধুর সঙ্গে টিকটক লাইকির মাধ্যমে পরিচয় হয় ধর্ষক জাকির হোসেনের সাথে । এরপর দুজনেরই মোবাইলে কথোপকথন চলতে থাকে। এরই মধ্যে গত ১৭ জানুয়ারী জাকির হোসেন ঐ গৃহবধূকে বিয়ের প্রলোভনে গৃদকালিন্দিয়া থেকে কৌশলে অপহরণ করে নিয়ে পাশর্^বতী লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর বাসস্ট্যান্ডের মেসার্স বাবুর আবাসিক হোটেলে দুদিন আটকে রেখে ধর্ষণ করে।

এরপর ১৯ জানুয়ারী রায়পুর থেকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের কদমতলী তালতলা নামক স্থানে একটি অজ্ঞাত বাসায় আটকে রেখে সেখানেও ধর্ষণ করে। এরপরদিন অর্থাৎ ২০ জানুয়ারী গৃহবধূকে ঐ বাসায় ঘুমে রেখে তার ব্যবহৃত স্বর্ণালংকার নিয়ে জাকির হোসেন পালিয়ে যায়। এসময় জাকির হোসেন তার মুঠো ফোনটিও বন্ধ করে দেয়। এরই একপর্যায়ে ঐ গৃহবধূ ২০ জানুয়ারী দুপুরে সে তার বাবার বাড়ি রূপসা দক্ষিণ ইউনিয়নের গৃদকালিন্দিয়া গ্রামে ফিরে আসে। পরে ঐ গৃহবধূ তার এক ছোট বোনকে দিয়ে জাকির হোসেনের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে কৌশলে ২৪ জানুযারী রাতে জাকির হোসেনকে তাদের বাড়িতে ডেকে আনে। এসময় ঐ গৃহবধূর পরিবারের লোকজন পুলিশকে সংবাদ দেয়। ঐ রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত জাকির হোসেনকে আটক করে ও ঐ গৃহবধূকে পুলিশি হেফাজতে নেয়। পরে রাতেই ঘটনার শিকার ঐ গৃহবধূ বাদী হয়ে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত তদন্ত (ওসি) মোহাম্মদ বাহার মিয়া জানান, গৃহবধৃকে ধর্ষন কথা শনে আমরা ধর্ষক জাকির হোসেনকে কৌশলে আটক করি এবং ওই গৃহবধুর ধর্ষন মামলায় নারী নির্যাতন মামলায় আদালতে প্রেরন করেছি।এছাড়া ঘটনার শিকার ঐ গৃহবধূকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।