ঢাকা ০৭:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
শাহরাস্তিতে বন্যার্তদের দুটি আশ্রয় কেন্দ্র নবাগত চাঁদপুর জেলা প্রশাসকেরপরিদর্শন

বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলে, জীবন ও জীবিকার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে : ডিসি মোহসীন উদ্দিন

শাহরাস্তি উপজেলায় বন্যাদুর্গত এলাকার ২ টি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক।
শনিবার বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্যা কবলিত এলাকার শুচিপাড়া ডিগ্রী কলেজ ও উঘারিয়া ইউসিসি উবির আশ্রয় কেন্দ্র ২ টি পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ওইসব কেন্দ্রে আশ্রিত বানভাসি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের খোঁজখবর নেন।
একই সঙ্গে আশ্রিত জনগনের অভাব অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা আপনাদের দুর্ভোগের বিষয়ে অবগত রয়েছি এবং সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। ওই হিসেবে  প্রশাসন  বন্যার্তদের জনদুর্ভোগ লাঘবে ত্রাণ ও আশ্রয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ওই সময় আশ্রিত জনগণের উদ্দেশ্য বলেন আপনাদের যে সব এলাকা পানি নেমে গেছে, ধীরে ধীরে বাড়িতে গিয়ে ক্ষয় ক্ষতি নিরূপণ করুন। একই সঙ্গে বন্যার পানি নেমে গেলে জীবন ও জীবিকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: মুস্তাফিজুর রহমান, শাহরাস্তি উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী, শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ, পঞ্চনগর উবির প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন, গণমাধ্যম কর্মী, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী জেলায় সঙ্গে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়।
এতে করে শাহরাস্তি উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়ার নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ পৌঁছে যায় চরমে।বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় পানি নামতে শুরু করায় ক্ষয় ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
আশ্রিত মানুষজন এখনো অনেক এলাকা বাড়ি ফিরতে পারে নাই। যাদের বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেছে তাদের মধ্যে অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ জানান, ইতমধ্যে শাহরাস্তি উপজেলার দশটি ইউপি ও একটি পৌরসভার বন্যার্তদের জন্য ১৬৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
ওই কেন্দ্রগুলোতে ৫ হাজার অধিক পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করে ছিল।
এখন বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩ শ’৫৫ জন বিভিন্ন বয়সী মানুষ আশ্রিত রয়েছেন।
আজ উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অধিক বন্যায় আক্রান্ত পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষদের জন ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
এ পর্যন্ত ১০০ শ’ ৮৫ মেট্রিক টন চাউল, নগদ ২ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেছে।
ট্যাগস :

চাঁদপুরে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী নাজির এখন প্যানেল চেয়ারম্যান

শাহরাস্তিতে বন্যার্তদের দুটি আশ্রয় কেন্দ্র নবাগত চাঁদপুর জেলা প্রশাসকেরপরিদর্শন

বন্যা পরিস্থিতি উন্নতি হলে, জীবন ও জীবিকার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে : ডিসি মোহসীন উদ্দিন

আপডেট সময় : ১০:৩৩:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
শাহরাস্তি উপজেলায় বন্যাদুর্গত এলাকার ২ টি আশ্রয়কেন্দ্র পরিদর্শন করে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক।
শনিবার বিকেলে শাহরাস্তি উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় বন্যা কবলিত এলাকার শুচিপাড়া ডিগ্রী কলেজ ও উঘারিয়া ইউসিসি উবির আশ্রয় কেন্দ্র ২ টি পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও বিজ্ঞ জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন ওইসব কেন্দ্রে আশ্রিত বানভাসি বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করে তাদের খোঁজখবর নেন।
একই সঙ্গে আশ্রিত জনগনের অভাব অভিযোগ শুনে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় তিনি বলেন, আমরা আপনাদের দুর্ভোগের বিষয়ে অবগত রয়েছি এবং সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। ওই হিসেবে  প্রশাসন  বন্যার্তদের জনদুর্ভোগ লাঘবে ত্রাণ ও আশ্রয়নের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ওই সময় আশ্রিত জনগণের উদ্দেশ্য বলেন আপনাদের যে সব এলাকা পানি নেমে গেছে, ধীরে ধীরে বাড়িতে গিয়ে ক্ষয় ক্ষতি নিরূপণ করুন। একই সঙ্গে বন্যার পানি নেমে গেলে জীবন ও জীবিকার প্রতি গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ তিনি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন শাহরাস্তি পৌর প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: মুস্তাফিজুর রহমান, শাহরাস্তি উপজেলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো: ইয়াসির আরাফাত, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা চৌধুরী, শাহরাস্তি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ, পঞ্চনগর উবির প্রধান শিক্ষক আব্দুর রহিম, ভূমি উপ-সহকারী কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসেন, গণমাধ্যম কর্মী, প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, কর্মচারী, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সম্প্রতি ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিতে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী জেলায় সঙ্গে চাঁদপুরের বিভিন্ন উপজেলার নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়।
এতে করে শাহরাস্তি উপজেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ডাকাতিয়ার নদীর পানি বিপদ সীমা অতিক্রম করে প্রায় প্রতিটি ইউনিয়নের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জনদুর্ভোগ পৌঁছে যায় চরমে।বর্তমানে কিছু কিছু এলাকায় পানি নামতে শুরু করায় ক্ষয় ক্ষতি দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।
আশ্রিত মানুষজন এখনো অনেক এলাকা বাড়ি ফিরতে পারে নাই। যাদের বাড়ি ঘর থেকে পানি নেমে গেছে তাদের মধ্যে অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ সবুজ জানান, ইতমধ্যে শাহরাস্তি উপজেলার দশটি ইউপি ও একটি পৌরসভার বন্যার্তদের জন্য ১৬৭ টি আশ্রয়কেন্দ্র স্থাপন করা হয়।
ওই কেন্দ্রগুলোতে ৫ হাজার অধিক পরিবার আশ্রয় গ্রহণ করে ছিল।
এখন বন্যা পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হওয়ায় অনেকে বাড়ি ফিরতে শুরু করেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৩ শ’৫৫ জন বিভিন্ন বয়সী মানুষ আশ্রিত রয়েছেন।
আজ উপজেলা প্রশাসনের তরফ থেকে অধিক বন্যায় আক্রান্ত পাঁচটি ইউনিয়নের মানুষদের জন ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়।
এ পর্যন্ত ১০০ শ’ ৮৫ মেট্রিক টন চাউল, নগদ ২ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
এছাড়া উপজেলা প্রশাসন সার্বক্ষণিক বন্যা পরিস্থিতি ও আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পর্যবেক্ষণে রেখেছে।