চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙা সেচ প্রকল্পের বাঁধ পূণরায় ভেঙ্গে হুমকির মুখে পড়েছে ঐ এলাকার বোরো আবাদ।
রবিবার (২৪ মার্চ) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত শনিবার (২৩ মার্চ) দিবাগত রাতের যেকোন সময় উক্ত সেচ প্রকল্পের দেয়া বাঁধে সুড়ঙ্গ দিয়ে পানি বের হয়ে নদীতে চলে যায়। বাঁধ ভাঙ্গার সাথে তলিয়ে যায় ছোট সুন্দর-কামরাঙা এলজিইডি সড়ক।
জানা যায়, এ সেচ প্রকল্পের আওতায় উক্ত এলাকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার একর কৃষি জমিতে চলছে বোরো আবাদ। বোরো চাষকৃত এসব জমিগুলো এখন প্রায় শুকনো হয়ে আছে। এর কয়েকদিন আগেও উক্ত বাঁধে কয়েকবার ভাঙ্গন দেখা দিলে তা সংস্কার করা হয়। তাই গত কয়েকদিন সেচ কাজে পানি নিষ্কাশন বন্ধ থাকায় জমিগুলো এখন অনেকটাই পানি শূন্য। এমতাবস্থায় বোরো চাষ নিয়ে চিন্তিত এক হাজারের বেশি কৃষক।
![](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2024/03/Priyo-Chandpur-0002382541.jpg)
স্কিমের আওতাধীন কয়েকজন কৃষক বলেন, আমাদের চাষকৃত ধান গাছে ফলন আসতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় জমিতে পানি একান্ত প্রয়োজন। সেচ প্রকল্পের বাঁধ দ্রুত মেরামত করা না হলে আমরা অনেক ক্ষতির সমূখীন হবো। উক্ত সেচ প্রকল্পের সদস্য ও রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাকিবুল হাসান খান বলেন, এর আগেও আরো কয়েকবার এই প্রকল্পের বাঁধ ভেঙ্গে গিয়েছিল। তা সংস্কার করা হলেও গতকাল আবারো ভেঙ্গে গিয়েছে। উক্ত এলাকার কৃষকদের কথা চিন্তা করে কামরাঙা সেচ প্রকল্পের এ বাঁধ স্থায়ীভাবে সংস্কার করণে আমি এই এলাকার কৃতি সন্তান মাননীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপির মাধ্যমে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর সদর ইউএনও এবং চাঁদপুর জেলা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলীর সু দৃষ্টি কামনা করছি।
এদিকে ঘটনার খবর পেয়ে সমিতির সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান কামরাঙা সেচ প্রকল্পের ম্যানেজার শাহাদাত হোসেন জাকির পাটওয়ারী।
তিনি জানান, রামপুর ইউনিয়নের কামরাঙা, মহেশপুর, দেবপুর, বড় সুন্দর, পাঁচ বাড়িয়া এলাকার কৃষি জমিগুলো এই স্কিমের আওতায়। গত পহেলা রমজানেও স্কিমের যে বাঁধ ছিল সেটি ভেঙ্গে গেলে ২-৩ দিন ধরে মেরামত করেছি।
![](https://priyochandpur.net/wp-content/uploads/2024/03/Priyo-Chandpur-0002382542.jpg)
শনিবার রাতে আবারও নতুন করে বাঁধ দেয়া অংশে সুড়ঙ্গ হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উক্ত এলাকার কৃষি জমিগুলো এই স্কিমের উপর নির্ভর করে। তাই উক্ত এলাকার কৃষকদের কথা চিন্তা করে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে চাঁদপুর বিএডিসি সহ চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি।
এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা বিএডিসির সহকারী প্রকৌশলী ইমরুল কায়েস মির্জা কিরণ প্রিয় চাঁদপুরকে বলেন, এই প্রকল্পের বাঁধ স্থায়ীভাবে নির্মাণ করতে হলে অনেক সময়ের ব্যাপার। আমাদের প্রধান কার্যালয়ের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে এর আগে উক্ত এলাকার কৃষি জমিগুলোতে পানি সরবরাহ করতে প্রাথমিকভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।