ঢাকা ০৩:১৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের জাতির পিতার জন্মদিন পালন

  • এস এম ইকবাল
  • আপডেট সময় : ১২:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪
  • 69

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ফরিদগঞ্জে শ্রদ্ধাঞ্জলী, র‌্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Model Hospital

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এছাড়া পৌরসভা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দও পৃথক ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।

পরে র‌্যালী করে উপজেলা সদের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

পরে পৌর মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামীলীগের আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সামাদ মিন্টু পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী মজুমদার, পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমাণ্ডার আব্দুস সামাদ, পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন, খোতেজা বেগম, পৌরসভার নিবার্হী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা শেষে উপজেলা মসজিদের ইমাম মাও. ইউনছু হোসেন মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের খুব বেশি ভালবাসতেন। তাই ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর জাতির পিতার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন পরোপকারি এবং মেধাবী।

তিনি রাজনৈতিক জীবনে সেই মেধার প্রতিফলন দেখান। একটি জাতিকে কিভাবে একত্রিত করে একই সুতার গাঁথতে হয়,তিনি তা নিজে করে দেখিয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি মানুষকে ভালবাসতেন এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন। তাই তার বিরুদ্ধে এদেশের কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারে, একথা তিনি কখনো বিশ^াস করতেন না।

১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর তারা ভেবেছিল আওয়ামীলীগ নি:শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার বেঁেচ যাওয়া দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জীবিত আছেন একথা তারা ভুলেই গেছেন। ফলে আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আজ দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে চলছেন। আমাদের সকলের কর্তব্য জাতির পিতার জীবন চরিত পাঠ করা এবং তা অনুসরণ করা।

ট্যাগস :

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের জাতির পিতার জন্মদিন পালন

আপডেট সময় : ১২:৩২:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে ফরিদগঞ্জে শ্রদ্ধাঞ্জলী, র‌্যালী, আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Model Hospital

রোববার (১৭ মার্চ) সকালে ফরিদগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত জাতির জনকের ম্যুরালে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি, ফরিদগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারীর নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ নেতৃবৃন্দ। এছাড়া পৌরসভা ও উপজেলা মহিলা আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দও পৃথক ভাবে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন করেন।

পরে র‌্যালী করে উপজেলা সদের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

পরে পৌর মিলনায়তনে উপজেলা আওয়ামীলীগের আলোচনা সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সামাদ মিন্টু পাটওয়ারীর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী মজুমদার, পৌর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমাণ্ডার আব্দুস সামাদ, পৌর কাউন্সিলর জাহিদ হোসেন, খোতেজা বেগম, পৌরসভার নিবার্হী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম, ক্যাশিয়ার গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ। আলোচনা শেষে উপজেলা মসজিদের ইমাম মাও. ইউনছু হোসেন মিলাদ ও দোয়া পরিচালনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র যুদ্ধাহত বীরমুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদের খুব বেশি ভালবাসতেন। তাই ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ সরকার গঠনের পর জাতির পিতার জন্মদিনকে জাতীয় শিশু দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছেলেবেলা থেকেই তিনি ছিলেন পরোপকারি এবং মেধাবী।

তিনি রাজনৈতিক জীবনে সেই মেধার প্রতিফলন দেখান। একটি জাতিকে কিভাবে একত্রিত করে একই সুতার গাঁথতে হয়,তিনি তা নিজে করে দেখিয়েছেন। ছাত্রজীবন থেকে আমৃত্যু তিনি মানুষকে ভালবাসতেন এবং তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করতেন। তাই তার বিরুদ্ধে এদেশের কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারে, একথা তিনি কখনো বিশ^াস করতেন না।

১৫ আগস্টে জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার পর তারা ভেবেছিল আওয়ামীলীগ নি:শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু তার বেঁেচ যাওয়া দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা জীবিত আছেন একথা তারা ভুলেই গেছেন। ফলে আওয়ামীলীগ সভাপতি হিসেবে শেখ হাসিনা দেশে ফিরে এসে আজ দেশকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অভূতপূর্ব উন্নয়ন এবং স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এগিয়ে চলছেন। আমাদের সকলের কর্তব্য জাতির পিতার জীবন চরিত পাঠ করা এবং তা অনুসরণ করা।