ঢাকা ০৩:১২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিষপানে স্বামীর আত্মহত্যা

চাঁদপুরে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় প্রেমিকের সাথে নববধূ উধাও

চাঁদপুরে পরকীয়ার জেরে সাবেক প্রেমিকের সাথে নববধূ চলে যাওয়ার খবর শুনে শশুর বাড়িতেই প্রাণ দিলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের আলগী পাঁচগাঁও এলাকায়।
পুত্রহারা মা বাবার আহাজারিতে ভারী হয়েছে আশপাশের পরিবেশ। এলাকায় নেমে আসে এক শোকের ছায়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বিআইডব্লিওটিএ এর চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলম এর মেয়ে খাদিজা আক্তার সাথে গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রামপুর ইউনিয়নের আলগী পাঁচগাঁও খান বাড়ীর খোরশেদ আলম খানের বড় ছেলে ইবাদ খানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের রাতেই বাসর ঘরে স্বামী ইবাদ খানকে কাছে আসতে দেয়নি নববধূ খাদিজা আক্তার। যা পরদিন সকালেই তার মা সুলতানা বেগমকে জানায় ইবাদ খান।
তার মা সব ঠিক হয়ে যাবে বলে ইবাদকে ধৈর্য ধরে থাকতে বলেন। কিন্তু একই ঘটনা ঘটে পরবর্তী দিনগুলোতে। এরপর নববধূ খাদিজা আক্তার তার বাবার বাড়িতে গেলে গত সোমবার (১১ মার্চ) স্বামীর বাড়ীতে আসার কথা থাকলেও সে অসুস্থ দাবী করে পরদিন মঙ্গলবার আসবে বলে জানান। কিন্তু সোমবার রাতেই সে একটি চিঠি লিখে তার প্রেমিকার কাছে চলে যায়।
এ খবর পেয়ে ইবাদ খান মঙ্গলবার (১২ মার্চ) তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে বিষয়টি অবগত করে। পরে এদিন বিকেলে ইবাদের বাবা খোরশেদ আলম খান ও মা সুলতানা বেগম তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরে খাদিজার বাবা ইবাদের বাবাকে উভয় পক্ষ থানায় গিয়ে অভিযোগ করার জন্য বলে।
এসময় ইবাদ খান অন্য কক্ষে ছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হঠাৎ কিছু চেঁছামেছির শব্দ শুনে গিয়ে দেখে ইবাদ বিষ খেয়ে চটপট করছে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সে মারা যায় বলে ইবাদের মা সুলতানা বেগম জানান। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার (১৩ মার্চ) বাদ আছর জানাজা শেষে নিজ বাড়ীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নববধূ খাদিজা আক্তারের উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন ইবাদ খানের পরিবার সহ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, নিহত ইবাদ খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম খানের ছেলে। সে পেশায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মার্কেটিং এ কাজ করতেন। দুই ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়।
ট্যাগস :

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

বিষপানে স্বামীর আত্মহত্যা

চাঁদপুরে বিয়ের ৫ দিনের মাথায় প্রেমিকের সাথে নববধূ উধাও

আপডেট সময় : ১০:২৪:১৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ মার্চ ২০২৪
চাঁদপুরে পরকীয়ার জেরে সাবেক প্রেমিকের সাথে নববধূ চলে যাওয়ার খবর শুনে শশুর বাড়িতেই প্রাণ দিলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়নের আলগী পাঁচগাঁও এলাকায়।
পুত্রহারা মা বাবার আহাজারিতে ভারী হয়েছে আশপাশের পরিবেশ। এলাকায় নেমে আসে এক শোকের ছায়া।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডের বিআইডব্লিওটিএ এর চাঁদপুর শাখার পরিদর্শক পাইলট দিদারুল আলম এর মেয়ে খাদিজা আক্তার সাথে গত বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রামপুর ইউনিয়নের আলগী পাঁচগাঁও খান বাড়ীর খোরশেদ আলম খানের বড় ছেলে ইবাদ খানের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের রাতেই বাসর ঘরে স্বামী ইবাদ খানকে কাছে আসতে দেয়নি নববধূ খাদিজা আক্তার। যা পরদিন সকালেই তার মা সুলতানা বেগমকে জানায় ইবাদ খান।
তার মা সব ঠিক হয়ে যাবে বলে ইবাদকে ধৈর্য ধরে থাকতে বলেন। কিন্তু একই ঘটনা ঘটে পরবর্তী দিনগুলোতে। এরপর নববধূ খাদিজা আক্তার তার বাবার বাড়িতে গেলে গত সোমবার (১১ মার্চ) স্বামীর বাড়ীতে আসার কথা থাকলেও সে অসুস্থ দাবী করে পরদিন মঙ্গলবার আসবে বলে জানান। কিন্তু সোমবার রাতেই সে একটি চিঠি লিখে তার প্রেমিকার কাছে চলে যায়।
এ খবর পেয়ে ইবাদ খান মঙ্গলবার (১২ মার্চ) তার শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে বাবা মাকে বিষয়টি অবগত করে। পরে এদিন বিকেলে ইবাদের বাবা খোরশেদ আলম খান ও মা সুলতানা বেগম তার শ্বশুর বাড়িতে যায়। পরে খাদিজার বাবা ইবাদের বাবাকে উভয় পক্ষ থানায় গিয়ে অভিযোগ করার জন্য বলে।
এসময় ইবাদ খান অন্য কক্ষে ছিলেন। সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হঠাৎ কিছু চেঁছামেছির শব্দ শুনে গিয়ে দেখে ইবাদ বিষ খেয়ে চটপট করছে। হাসপাতালে নেওয়ার আগেই সে মারা যায় বলে ইবাদের মা সুলতানা বেগম জানান। ময়নাতদন্ত শেষে বুধবার (১৩ মার্চ) বাদ আছর জানাজা শেষে নিজ বাড়ীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় নববধূ খাদিজা আক্তারের উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন ইবাদ খানের পরিবার সহ এলাকাবাসী।
উল্লেখ্য, নিহত ইবাদ খান চাঁদপুর সদর উপজেলার ৫নং রামপুর ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার সুলতানা বেগম ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ খোরশেদ আলম খানের ছেলে। সে পেশায় একটি প্রাইভেট হাসপাতালের মার্কেটিং এ কাজ করতেন। দুই ভাই বোনের মধ্যে সবার বড়।