স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে হাজীগঞ্জের ২নং বাকিলা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ঘোড়া মার্কার জুলহাস মিয়ার সমর্থকদের প্রচার প্রচারনাকালে প্রতিপক্ষের একদল সন্ত্রাসী ব্যাপক মারধর ও মাইক ভাংচুর করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এতে মাইকম্যান, সিএনজি চালক সহ কয়েকজন আহত হয়েছে। পরে আহতদের চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
আহত হাসান হাওলাদার জানান, শুক্রবার ছিল প্রচার প্রচারনার শেষ দিন সন্ধায় ৭টার দিকে বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের সন্মুখে মাইকিং করতে আসলে একদল সন্ত্রাসী তাদের মাইক ভাংচুর করে ও দেশীয় অস্ত্র দারা তাদেরকে গুরুতর আহত করে। পরে তাদের ডাক চিৎকারে সেখানে থাকা লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসলে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়।
এসময় এলাকাবাসি ঘটনাস্থল থেকে তাদের কে উদ্ধার করে প্রথমে বাকিলা বাজারের একটি ক্লিনিকে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলহাস মিয়া তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে এসে তাদের অবস্থার গুরুতর দেখে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে সু চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলহাস মিয়ারসাথে আলাপকালে তিনি জানান, আমি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলার ২নং বাকিলা ইউনিয়নে নির্বাচন করছি। আমি এলাকার জনগণের অনুরোধে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে। আমার জনপ্রিয়তা দেখে প্রতিপক্ষ তাদের সন্ত্রাসী বাহিনি দিয়ে আমার প্রচার প্রচারনায় বাঁধা সৃষ্টি করছে। ইতো পূর্বে আমার ব্যানার, পোস্টার ও ফেস্টুন সহ সবকিছুই তারা ছিড়ে নিয়ে গেছে।
আমার লোকজন প্রচার প্রচারনার জন্য মাইক নিয়ে নামলে মাইক ভেঙ্গে ফেলে এবং তাদের কে মারধর করে আসছে। আমি চাঁদপুরের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আকুল আবেদন করছি যারা এ সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে তাদেরকে চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক এবং আমাদের ইউনিয়নে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দেওয়ার জন্য প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি।