ঢাকা ০৬:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিতার স্বীকৃতি পেলেও বাড়ীতে ঠাঁই হয়নি চাঁদপুরের সোহাগের

পিতার স্বীকৃতি পেলেও নিজের প্রাপ্য হক বুজে পেতে বাড়ীতে ঠাঁই পাচ্ছেনা বলে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন চাঁদপুর সদরের আশিকাটির ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রালদিয়ার বাসিন্দা মোঃ সোহাগ খান। আর এরজন্যে সোহাগ দায়ী করছেন তার সৎ মা খোরশেদা বেগম এবং স্ত্রী মরিয়ম বেগমের নানান ষড়যন্ত্রকে।
৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে সোহাগ কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা তুলে ধরেন।
সোহাগের দাবী, ছোটবেলায় লালন পালন করে বড় করার পর নিজের মৃত্যুর আগেই আদালতের আইনী প্রক্রিয়ায় সোহাগকে নিজের পুত্র বলে স্বীকৃতি দেয় দক্ষিণ রালদিয়ার মোঃ আবুল হোসেন খান। যে কাগজটি স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছেও দেয়া হয়েছে। আর এই কাগজটি থাকা সত্ত্বেও বিষয়টি মানতে নারাজ মোঃ আবুল হোসেন খানের ২য় স্ত্রী খোরশেদা বেগম।
সোহাগ খান বলেন, আমি আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে তালাকের কাগজপত্র পাঠানো সত্ত্বেও সে আমার সৎ মায়ের কাছে থাকছে। আর তারা দুজনে আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার সম্পত্তি ও টাকা পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি আমার পৈতৃকসূত্রে মালিকানার সম্পত্তি বুজে পেতে এবং আমার যাবতীয় টাকা পয়সা বুজে পেতে সবার নিকট সহায়তা চাই।
সোহাগ আরও বলেন, আমি নানা সময়ে আমার উপার্জিত অর্থ ও ব্যবসায়িক কাজের প্রায় ১৮ লাখ টাকা আমানত হিসেবে আমার মা খোরশেদা বেগম নামীয় চাঁদপুরের সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে রাখি। যেখানে সন্তান হিসেবে নমিনী ছিলাম আমি সোহাগ খান। কিন্তু আমি এক পর্যায়ে নানান ধারদেনায় জড়িয়ে গেলে আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে সাথে নিয়ে গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে আমার নাম নমিনী থেকে আমার মা বাদ দিয়ে দেন। আর সেখানে নমিনীতে মরিয়ম বেগমের নাম দেয়া হয়, যা সম্পূর্ণ বেয়াইনী। তাই ন্যায় বিচার পেতে আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও এলাকার গণমান্যদের সহায়তা চাইছি।
এ বিষয়ে আশিকাটির ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসির খান বলেন, আমি সোহাগের চাচা। সোহাগের ওইসব কাগজপত্র আমিসহ এলাকার অনেকেই পেয়েছি। তার বউকে তালাকের বিষয়টিসহ তার সম্পত্তি পাবার সকল বিষয় আমরা স্থানীয়রা বসে দ্রুতই একটা মিমাংসার উদ্যোগ নিবো।
এদিকে সোহাগের অভিযোগ প্রসঙ্গে মরিয়ম বেগম বলেন, তালাকের কাগজ হাতে পেয়েছি। তবে আমি এমনি এমনি এ বাড়ী থেকে যাবো না। আমার ২টি ছোট ছোট ছেলে সন্তান রয়েছে। এলাকার মানুষকে নিয়ে সোহাগ সামনে আসুক। এরপর সমাজের লোকের সিদ্ধান্ত নিয়ে যা কপালে আছে তা হবার হবে।
এ বিষয়ে খোরশেদা বেগমের বক্তব্য নিতে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

স্কুলের শ্রেণিকক্ষে ‘আপত্তিকর’ অবস্থায় ছাত্রীসহ প্রধান শিক্ষক আটক

পিতার স্বীকৃতি পেলেও বাড়ীতে ঠাঁই হয়নি চাঁদপুরের সোহাগের

আপডেট সময় : ০৮:১৮:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
পিতার স্বীকৃতি পেলেও নিজের প্রাপ্য হক বুজে পেতে বাড়ীতে ঠাঁই পাচ্ছেনা বলে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন চাঁদপুর সদরের আশিকাটির ৬নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রালদিয়ার বাসিন্দা মোঃ সোহাগ খান। আর এরজন্যে সোহাগ দায়ী করছেন তার সৎ মা খোরশেদা বেগম এবং স্ত্রী মরিয়ম বেগমের নানান ষড়যন্ত্রকে।
৪ নভেম্বর শনিবার দুপুরে আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে সোহাগ কাঁদতে কাঁদতে এসব কথা তুলে ধরেন।
সোহাগের দাবী, ছোটবেলায় লালন পালন করে বড় করার পর নিজের মৃত্যুর আগেই আদালতের আইনী প্রক্রিয়ায় সোহাগকে নিজের পুত্র বলে স্বীকৃতি দেয় দক্ষিণ রালদিয়ার মোঃ আবুল হোসেন খান। যে কাগজটি স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের কাছেও দেয়া হয়েছে। আর এই কাগজটি থাকা সত্ত্বেও বিষয়টি মানতে নারাজ মোঃ আবুল হোসেন খানের ২য় স্ত্রী খোরশেদা বেগম।
সোহাগ খান বলেন, আমি আমার স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে তালাকের কাগজপত্র পাঠানো সত্ত্বেও সে আমার সৎ মায়ের কাছে থাকছে। আর তারা দুজনে আমার পিতার মৃত্যুর পর আমার সম্পত্তি ও টাকা পয়সা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। আমি আমার পৈতৃকসূত্রে মালিকানার সম্পত্তি বুজে পেতে এবং আমার যাবতীয় টাকা পয়সা বুজে পেতে সবার নিকট সহায়তা চাই।
সোহাগ আরও বলেন, আমি নানা সময়ে আমার উপার্জিত অর্থ ও ব্যবসায়িক কাজের প্রায় ১৮ লাখ টাকা আমানত হিসেবে আমার মা খোরশেদা বেগম নামীয় চাঁদপুরের সোনালী ব্যাংকের একাউন্টে রাখি। যেখানে সন্তান হিসেবে নমিনী ছিলাম আমি সোহাগ খান। কিন্তু আমি এক পর্যায়ে নানান ধারদেনায় জড়িয়ে গেলে আমার তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী মরিয়ম বেগমকে সাথে নিয়ে গভীর চক্রান্তের অংশ হিসেবে আমার নাম নমিনী থেকে আমার মা বাদ দিয়ে দেন। আর সেখানে নমিনীতে মরিয়ম বেগমের নাম দেয়া হয়, যা সম্পূর্ণ বেয়াইনী। তাই ন্যায় বিচার পেতে আমি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও এলাকার গণমান্যদের সহায়তা চাইছি।
এ বিষয়ে আশিকাটির ৬নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা নাসির খান বলেন, আমি সোহাগের চাচা। সোহাগের ওইসব কাগজপত্র আমিসহ এলাকার অনেকেই পেয়েছি। তার বউকে তালাকের বিষয়টিসহ তার সম্পত্তি পাবার সকল বিষয় আমরা স্থানীয়রা বসে দ্রুতই একটা মিমাংসার উদ্যোগ নিবো।
এদিকে সোহাগের অভিযোগ প্রসঙ্গে মরিয়ম বেগম বলেন, তালাকের কাগজ হাতে পেয়েছি। তবে আমি এমনি এমনি এ বাড়ী থেকে যাবো না। আমার ২টি ছোট ছোট ছেলে সন্তান রয়েছে। এলাকার মানুষকে নিয়ে সোহাগ সামনে আসুক। এরপর সমাজের লোকের সিদ্ধান্ত নিয়ে যা কপালে আছে তা হবার হবে।
এ বিষয়ে খোরশেদা বেগমের বক্তব্য নিতে চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।