পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক ড. শামসুল আলম বলেছেন, বর্তমান প্রতিযোগিতাপূর্ণ প্রযুক্তির উৎকর্ষের যুগে টিকে থাকতে হলে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। তবে মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা নিশ্চিত করতে মানসম্মত শিক্ষকের প্রয়োজন এবং সরকার সেই কাজই করে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) সকালে মতলব দক্ষিণ উপজেলার ১৫৫নং নারায়ণপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবক সমাবেশ ও বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জনগণ সঙ্গে না থাকায় বিএনপির আন্দোলনের পালে হাওয়া লাগেনি মন্তব্য করে প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৭৩ সালে যুদ্ধ বিধবস্ত দেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৩৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১০ সালে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণের মাধ্যমে সেই ধারাবাহিকতা রক্ষা করেছেন। এখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অবকাঠামো উন্নয়ন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাশ রুমসহ আধুনিকায়নের সকল ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যা ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে।
অনুষ্ঠানে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাজমুন নাহার এর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেনু দাস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মুবিন সুজন প্রধান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সোহরাব হোসেন।
বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ফারুক বিন জামান, এমএ আজিজ বাবুল, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক জসিম উদ্দিন, নারায়ণপুর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি বজলুর রহমান মজুমদার, নায়েরগাঁও উত্তর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান মোল্লা, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেলিনা বেগম, মতলব পৌর কাউন্সিলর পারভেজ মিয়াজী, ঘিলাতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুন মিয়া, আওয়ামীলীগ নেতা ফারুক পাটোয়ারী, নারায়ণপুর পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ওসমান গনি পাটোয়ারী, অভিভাবক শামসুন্নাহার।