ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর ছায়াবানী হলে ভাবীর সাথে ‘লাল কাজল’ সিনেমা দেখেছে আসিফ

ঘুরেফিরে চাঁদপুরের সাথে আমার সংযোগ কিভাবে যেন ঘটেই যায়। ফুপাতো ভাইয়ের বিয়ের সময় ভাবী থাকতেন চাঁদপুরে। ক্লাস ফোরে বাসা থেকে বলাখাল পালিয়ে যাবার ঐ সময়টাতেই ভাইয়ার বিয়ে হয়ে যায়, তখন যাওয়া হয়নি। ভাবীরা ছয়বোন দুই ভাই, সবাই আমার বড়।

Model Hospital

চাঁদপুরে উনাদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে রাতে ঘুমের মধ্যে বিছানায় হিসু করে দিতাম। সকালে এক মহা লজ্জ্বাষ্কর সিকোয়েন্স, আপারা মুখ টিপে হাসতেন। আর আমার ভয়েস অব আমেরিকা ভাবীজান সুযোগ পেলে এখনো সেই গল্প মহাসমারোহে মাইকিং করতে ভুলেন না। চিত্রলেখা হলে ভাবীর সাথে দর্পচূর্ণ সিনেমাটি দেখেছি, ছায়াবানীতে দেখেছি লাল কাজল। তালই মশাই পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় থানার ভিতরে বাসা ছিল, থানার পুকুরটাও খুব মনে আসে।

৮৮ সালে অনুর্ধ ১৬ ন্যাশনাল ক্রিকেট খেলতে গেছি বরিশালে। কুমিল্লা থেকে বোগদাদ ট্রান্সপোর্টে চাঁদপুর, সেখান থেকে লঞ্চে বরিশাল। তখনকার ছোট লঞ্চগুলোকে মনে হতো টাইটানিক। এবার পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার কুলকিনারাহীন মোহনা দেখে সেই সময়ের ফ্ল্যাশব্যাক চলে আসলো, ভয়ে পেটের নীচে কেমন যেন একটা চাপ অনুভব করলাম। কল্পনায় অনন্ত জলরাশির বুকে পুরনো সেই ছোট্ট লঞ্চটাকে বাদামের খোসাই মনে হলো। দারুন রোমাঞ্চকর এক জার্নি ছিল, নদীপথ চোখে পরলেই চাঁদপুর শহরটা মানসপটে চলে আসে অটোম্যাটিক। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট লীগ খেলেছি। জিলা স্কুলে পড়াকালীন সময় স্কুল পালিয়ে ট্রেনে চড়ে চাঁদপুর চলে এসেছি।

গায়ক হবার পর গীতিকবি কবির বকুল ভাইয়ের হাত ধরে আবারো চাঁদপুরের সাথে সংযোগ ঘটে গেল। দীর্ঘ বিরতি শেষে কদিন আগে আবার গেলাম একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে। হ্যালো সুপারস্টার্স অ্যাপের ফাউন্ডার আমার অফিস বস, উনার বাড়ী চাঁদপুর হবার সুবাদে আরো একবার এন্ট্রি নিলাম।

চাঁদপুর শহরটায় খুব একটা পরিবর্তন চোখে পড়েনি, অটো রিক্সার অত্যাচার ছাড়া শহরটা মোটামুটি আগের মতই ছিমছাম আছে। বড় স্টেশন মোলহেড মিনি পার্কে খুব ভোরে মেঘনার ফ্রেশ হাওয়া গায়ে মাখানোর লোভটা সবসময়ই ছিল, এবারও মিস করিনি। বিশ্বের সেরা রুপালি ইলিশ এই চাঁদপুরের অহঙ্কার। স্মৃতিমধুর নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত হতে চাঁদপুর যেতে চাই বারবার…
ভালবাসা অবিরাম…

ট্যাগস :

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

চাঁদপুর ছায়াবানী হলে ভাবীর সাথে ‘লাল কাজল’ সিনেমা দেখেছে আসিফ

আপডেট সময় : ০৬:০৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ জুন ২০২৩

ঘুরেফিরে চাঁদপুরের সাথে আমার সংযোগ কিভাবে যেন ঘটেই যায়। ফুপাতো ভাইয়ের বিয়ের সময় ভাবী থাকতেন চাঁদপুরে। ক্লাস ফোরে বাসা থেকে বলাখাল পালিয়ে যাবার ঐ সময়টাতেই ভাইয়ার বিয়ে হয়ে যায়, তখন যাওয়া হয়নি। ভাবীরা ছয়বোন দুই ভাই, সবাই আমার বড়।

Model Hospital

চাঁদপুরে উনাদের বাসায় বেড়াতে গিয়ে রাতে ঘুমের মধ্যে বিছানায় হিসু করে দিতাম। সকালে এক মহা লজ্জ্বাষ্কর সিকোয়েন্স, আপারা মুখ টিপে হাসতেন। আর আমার ভয়েস অব আমেরিকা ভাবীজান সুযোগ পেলে এখনো সেই গল্প মহাসমারোহে মাইকিং করতে ভুলেন না। চিত্রলেখা হলে ভাবীর সাথে দর্পচূর্ণ সিনেমাটি দেখেছি, ছায়াবানীতে দেখেছি লাল কাজল। তালই মশাই পুলিশ কর্মকর্তা হওয়ায় থানার ভিতরে বাসা ছিল, থানার পুকুরটাও খুব মনে আসে।

৮৮ সালে অনুর্ধ ১৬ ন্যাশনাল ক্রিকেট খেলতে গেছি বরিশালে। কুমিল্লা থেকে বোগদাদ ট্রান্সপোর্টে চাঁদপুর, সেখান থেকে লঞ্চে বরিশাল। তখনকার ছোট লঞ্চগুলোকে মনে হতো টাইটানিক। এবার পদ্মা মেঘনা ডাকাতিয়ার কুলকিনারাহীন মোহনা দেখে সেই সময়ের ফ্ল্যাশব্যাক চলে আসলো, ভয়ে পেটের নীচে কেমন যেন একটা চাপ অনুভব করলাম। কল্পনায় অনন্ত জলরাশির বুকে পুরনো সেই ছোট্ট লঞ্চটাকে বাদামের খোসাই মনে হলো। দারুন রোমাঞ্চকর এক জার্নি ছিল, নদীপথ চোখে পরলেই চাঁদপুর শহরটা মানসপটে চলে আসে অটোম্যাটিক। চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট লীগ খেলেছি। জিলা স্কুলে পড়াকালীন সময় স্কুল পালিয়ে ট্রেনে চড়ে চাঁদপুর চলে এসেছি।

গায়ক হবার পর গীতিকবি কবির বকুল ভাইয়ের হাত ধরে আবারো চাঁদপুরের সাথে সংযোগ ঘটে গেল। দীর্ঘ বিরতি শেষে কদিন আগে আবার গেলাম একটা পারিবারিক অনুষ্ঠানে। হ্যালো সুপারস্টার্স অ্যাপের ফাউন্ডার আমার অফিস বস, উনার বাড়ী চাঁদপুর হবার সুবাদে আরো একবার এন্ট্রি নিলাম।

চাঁদপুর শহরটায় খুব একটা পরিবর্তন চোখে পড়েনি, অটো রিক্সার অত্যাচার ছাড়া শহরটা মোটামুটি আগের মতই ছিমছাম আছে। বড় স্টেশন মোলহেড মিনি পার্কে খুব ভোরে মেঘনার ফ্রেশ হাওয়া গায়ে মাখানোর লোভটা সবসময়ই ছিল, এবারও মিস করিনি। বিশ্বের সেরা রুপালি ইলিশ এই চাঁদপুরের অহঙ্কার। স্মৃতিমধুর নষ্টালজিয়ায় আক্রান্ত হতে চাঁদপুর যেতে চাই বারবার…
ভালবাসা অবিরাম…