ঢাকা ০৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘ট্রেন থেকে বের হয়ে দেখি, চারপাশে ছিন্নভিন্ন হাত-পা পড়ে আছে’

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘনার উদ্ধারকাজ আজ শনিবার সকালেও চলছে।

Model Hospital

এদিকে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানাচ্ছেন তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। দুর্ঘটনা কবলিত করমন্ডল এক্সপ্রেসে থাকা এক যাত্রী এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার শব্দে জেগে উঠি। আমার উপরে ১০-১৫জন মানুষ এসে পড়েছিল। আমি হাত ও ঘাড়ে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি।‘

ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা এনডিটিভিকে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে ওড়িশার বালাসোরে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বহু হতাহত হয়েছেন। অনেকে এখনো আটকা পড়ে আছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।‘

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া অপর এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেন থেকে নেমে দেখি, চারদিকে ছিন্নভিন্ন হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। দুর্ঘটনায় চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে কারও কারও।‘

রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, ‘করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস নামের অপর একটি লাইনচ্যুত ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ দুর্ঘটনায় একটি মালবাহী ট্রেনও ছিল।‘

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার সকালে দুর্ঘনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তিনি এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, এই প্রার্থনা করি।

নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া আহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে ২ লাখ রূপি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেছেন, তিনিও আজ শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন।

করমন্ডল এক্সপ্রেসের অপর এক যাত্রী অনুভব দাস এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে টুইটারে বলেছেন, এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। আমি নিজেই অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ জনের বেশি মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছি। শত শত যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকের হাত পা শরীর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব ভয়াবহ দৃশ্য আমি কখনেআই ভুলতে পারব না।

ট্যাগস :

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

‘ট্রেন থেকে বের হয়ে দেখি, চারপাশে ছিন্নভিন্ন হাত-পা পড়ে আছে’

আপডেট সময় : ১০:০২:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩

ভারতের ওড়িশায় ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৩৩ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন ৯ শতাধিক। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বলছে, গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটে যাওয়া এ দুর্ঘনার উদ্ধারকাজ আজ শনিবার সকালেও চলছে।

Model Hospital

এদিকে দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া যাত্রীরা জানাচ্ছেন তাঁদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা। দুর্ঘটনা কবলিত করমন্ডল এক্সপ্রেসে থাকা এক যাত্রী এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমি ঘুমিয়ে ছিলাম। হঠাৎ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হওয়ার শব্দে জেগে উঠি। আমার উপরে ১০-১৫জন মানুষ এসে পড়েছিল। আমি হাত ও ঘাড়ে প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছি।‘

ওড়িশার মুখ্য সচিব প্রদীপ জেনা এনডিটিভিকে বলেন, ‘গতকাল শুক্রবার রাতে ওড়িশার বালাসোরে দুটি যাত্রীবাহী ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে বহু হতাহত হয়েছেন। অনেকে এখনো আটকা পড়ে আছে। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। উদ্ধারকাজ এখনো চলছে।‘

দুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া অপর এক যাত্রী বলেন, ‘ট্রেন থেকে নেমে দেখি, চারদিকে ছিন্নভিন্ন হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে। দুর্ঘটনায় চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে কারও কারও।‘

রেল মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অমিতাভ শর্মা বলেন, ‘করমন্ডল এক্সপ্রেস ট্রেনটি কলকাতা থেকে চেন্নাই যাচ্ছিল। যাওয়ার পথে সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস নামের অপর একটি লাইনচ্যুত ট্রেনের সংঘর্ষ হয়। এ দুর্ঘটনায় একটি মালবাহী ট্রেনও ছিল।‘

এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ শনিবার সকালে দুর্ঘনাস্থল পরিদর্শনে যাচ্ছেন। তিনি এক টুইটার পোস্টে বলেছেন, রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা হয়েছে। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক, এই প্রার্থনা করি।

নরেন্দ্র মোদি দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবারকে ১০ লাখ রূপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ ছাড়া আহতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ হিসেবে পাবে ২ লাখ রূপি বলে জানিয়েছেন তিনি।

ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক বলেছেন, তিনিও আজ শনিবার ভোরে দুর্ঘটনাস্থলে যাবেন।

করমন্ডল এক্সপ্রেসের অপর এক যাত্রী অনুভব দাস এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে টুইটারে বলেছেন, এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় ট্রেন দুর্ঘটনা। আমি নিজেই অন্তত ২০০ থেকে ২৫০ জনের বেশি মৃত্যুর সাক্ষী হয়েছি। শত শত যাত্রী আহত হয়েছেন। অনেকের হাত পা শরীর বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসব ভয়াবহ দৃশ্য আমি কখনেআই ভুলতে পারব না।