ঢাকা ০৭:০০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ৬ দিন পর ১ জনের মৃত্যু

মতলব দক্ষিণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ৬ দিন পর ১ জনের মৃত্যু

মোজাম্মেল প্রধান হাসিব: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হওয়ার পাঁচদিন পর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Model Hospital

২৮ মে রবিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রহিমা বেগমের স্বামী কামরুল হোসেনের চাচাতো ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ আত্মীয়স্বজন। এর আগে গত ২৩ মে রাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের খর্গপুর গ্রামের তজুম উদ্দিন প্রধানীয়া বাড়ির মো. কামরুল হোসেনের বসতঘরে রান্না করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরে থাকা কামরুল হোসেন, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে ফাহিমা আক্তার, ফারিয়া আক্তার ও ভাতিজা মেহেদী হাসান (তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে) গুরুতর আহত হয়। পরে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্মরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন। ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কামরুল হোসেনের স্ত্রী ও তার মেয়ে ফারিয়া আক্তারের অবস্থা বেশি আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে গত ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল রবিবার সকাল ৬টার দিকে রহিমা বেগমের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ফারিয়া আক্তার ও কামরুল হোসেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই ঘটনায় আহত কামরুলের বড় মেয়ে ফাহিমা আক্তার ও ভাতিজা মেহেদী হাসান চিকিৎসকের পরামর্শে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কামরুল হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারিয়ার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাকে। তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা।

এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে কামরুল হোসেনের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবারের লোকজনসহ আত্মীয়-স্বজন অন্যের ঘরে থাকছেন।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে ঘুমন্ত মাকে খু’ন করে পালিয়েছে ছেলে

গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ৬ দিন পর ১ জনের মৃত্যু

মতলব দক্ষিণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ৬ দিন পর ১ জনের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০৮:০৫:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ মে ২০২৩

মোজাম্মেল প্রধান হাসিব: চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে স্বামী-স্ত্রীসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হওয়ার পাঁচদিন পর ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

Model Hospital

২৮ মে রবিবার সকাল ৬টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কামরুল হোসেনের স্ত্রী রহিমা বেগম। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত রহিমা বেগমের স্বামী কামরুল হোসেনের চাচাতো ভাই মো. সাজ্জাদ হোসেনসহ আত্মীয়স্বজন। এর আগে গত ২৩ মে রাতে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৩ মে) রাতে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নায়েরগাঁও দক্ষিণ ইউনিয়নের খর্গপুর গ্রামের তজুম উদ্দিন প্রধানীয়া বাড়ির মো. কামরুল হোসেনের বসতঘরে রান্না করতে গিয়ে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে ঘরে থাকা কামরুল হোসেন, তার স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে ফাহিমা আক্তার, ফারিয়া আক্তার ও ভাতিজা মেহেদী হাসান (তাদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে) গুরুতর আহত হয়। পরে বাড়ির লোকজন এগিয়ে এসে তাদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি দেখে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে কর্মরত চিকিৎসক তাদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে প্রেরণ করেন। ওই দিনই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কামরুল হোসেনের স্ত্রী ও তার মেয়ে ফারিয়া আক্তারের অবস্থা বেশি আশংকাজনক হওয়ায় তাদেরকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। পরে গত ৫ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গতকাল রবিবার সকাল ৬টার দিকে রহিমা বেগমের মৃত্যু হয়। বর্তমানে ফারিয়া আক্তার ও কামরুল হোসেন ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। একই ঘটনায় আহত কামরুলের বড় মেয়ে ফাহিমা আক্তার ও ভাতিজা মেহেদী হাসান চিকিৎসকের পরামর্শে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

কামরুল হোসেনের আত্মীয়-স্বজনরা জানান, গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ ফারিয়ার অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক। বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়েছে তাকে। তাদের চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন। তাই সকলের সহযোগিতাও চেয়েছেন তারা।

এদিকে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের আগুনে কামরুল হোসেনের বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বর্তমানে পরিবারের লোকজনসহ আত্মীয়-স্বজন অন্যের ঘরে থাকছেন।