ঢাকা ০৮:১০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

৪ বছর ধরে হেলে পড়া বসতঘরে কৃষকের বসবাস !

চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক কৃষকের বসতঘর গত চার বছর ধরে হেলে পড়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ বসতঘরের ভিতরে স্ত্রী ও ছোট ছোট চার সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন কৃষক মোশাররফ হোসেন। কৃষক মোশাররফ হোসেনের হেলে পড়া ঘরের দিকে কেউ খবর রাখেনি। অথচ গত কয়েক বছর ধরে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকার এ উপজেলায় শত শত নতুন ঘর তৈরি করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়,  উপজেলার ২ নং বাকিলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড রাধাঁসার মেহের আলী হাজী বাড়ীর মৃত হেলাল উদ্দিন মুন্সীর ছেলে কৃষক মোশাররফ হোসেনের বসতঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ। চারদিকে টিনের বেড়া, তিনটি দরজা থাকলেও নেই কোন জানালা। বসতঘরের পূর্ব পাশে একটি গাছের সাথে ঝুলে পড়ে আছে।  ঘরের সামনের অংশ সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায় পুরো হেলে যায়। তাৎক্ষণিক বাস রশি দিয়ে কোনরকম ঘরের লড়ার সাথে ঠেক দিয়ে রাখা হয়। বিকল্প কোন ছোট ঘর না থাকায় এ ঝুঁকিপূর্ণ বসত ঘরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছে কৃষক মোশাররফ হোসেন।
স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ছোট ছোট চার সন্তান নিয়ে ভাংগা বসতঘরে পড়ে আছি। সামান্য বৃষ্টি ও ঝড় বাতাস আসলে আমরা ভয়ে ঘরের এক কোণে পড়ে থাকি। আমার স্বামী যখন যা পায় তা দিয়ে আমাদের কোনরকম সংসার চলে।  ঘর করার মত কোন টাকা নাই। তাই সরকার কিংবা বৃত্তবানদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বার কখনো দেখতে আসেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতে হয়। সামনে বর্ষামৌসুমের আগে যদি ঘরটি সংস্কার করা না হয় তাহলে আমরা যে কোন সময় প্রাণ হারাতে হবে। তাই জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি, তবে সরেজমিনে গিয়ে ইউএনও স্যারকে অবহিত করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভূমিহীন না হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে ঘর সংস্কারে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।
ট্যাগস :

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

৪ বছর ধরে হেলে পড়া বসতঘরে কৃষকের বসবাস !

আপডেট সময় : ০৭:০৬:৩৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক কৃষকের বসতঘর গত চার বছর ধরে হেলে পড়ে আছে। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এ বসতঘরের ভিতরে স্ত্রী ও ছোট ছোট চার সন্তান নিয়ে বসবাস করে আসছেন কৃষক মোশাররফ হোসেন। কৃষক মোশাররফ হোসেনের হেলে পড়া ঘরের দিকে কেউ খবর রাখেনি। অথচ গত কয়েক বছর ধরে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে সরকার এ উপজেলায় শত শত নতুন ঘর তৈরি করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়,  উপজেলার ২ নং বাকিলা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড রাধাঁসার মেহের আলী হাজী বাড়ীর মৃত হেলাল উদ্দিন মুন্সীর ছেলে কৃষক মোশাররফ হোসেনের বসতঘরটি ঝুঁকিপূর্ণ। চারদিকে টিনের বেড়া, তিনটি দরজা থাকলেও নেই কোন জানালা। বসতঘরের পূর্ব পাশে একটি গাছের সাথে ঝুলে পড়ে আছে।  ঘরের সামনের অংশ সর্বশেষ গত ২৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার হঠাৎ ঝড়ো হাওয়ায় পুরো হেলে যায়। তাৎক্ষণিক বাস রশি দিয়ে কোনরকম ঘরের লড়ার সাথে ঠেক দিয়ে রাখা হয়। বিকল্প কোন ছোট ঘর না থাকায় এ ঝুঁকিপূর্ণ বসত ঘরে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করছে কৃষক মোশাররফ হোসেন।
স্ত্রী বিউটি বেগম বলেন, ছোট ছোট চার সন্তান নিয়ে ভাংগা বসতঘরে পড়ে আছি। সামান্য বৃষ্টি ও ঝড় বাতাস আসলে আমরা ভয়ে ঘরের এক কোণে পড়ে থাকি। আমার স্বামী যখন যা পায় তা দিয়ে আমাদের কোনরকম সংসার চলে।  ঘর করার মত কোন টাকা নাই। তাই সরকার কিংবা বৃত্তবানদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি।
কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বার কখনো দেখতে আসেনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করতে হয়। সামনে বর্ষামৌসুমের আগে যদি ঘরটি সংস্কার করা না হয় তাহলে আমরা যে কোন সময় প্রাণ হারাতে হবে। তাই জনপ্রতিনিধি ও সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
স্থানীয় চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিলন বলেন, বিষয়টি আমাকে কেউ অবহিত করেনি, তবে সরেজমিনে গিয়ে ইউএনও স্যারকে অবহিত করবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম বলেন, ভূমিহীন না হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর মাধ্যমে ঘর সংস্কারে আর্থিক সহযোগিতা করা হবে।