ঢাকা ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

অসহ্য গরমের পর চাঁদপুরে হঠাৎ দেখা মেলে স্বস্তির বৃষ্টি

  • মাসুদ হোসেন
  • আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
  • 157
গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর চাঁদপুরে দেখা মেলে স্বস্তির বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টি অনেকের কাছে স্বস্তির হলেও কৃষকরা পড়েছেন দুঃচিন্তায়। জেলার আট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টিও হয়। এতে করে আম, লিচু, ভুট্টা, গম ও ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার পরেই চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে উত্তরের আকাশ ছিল মেঘাছন্ন। কালো মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ। এর পর শুরু হয় প্রবল বাতাস। বাতাসের সাথে প্রচন্ড বেগে আশা কালবৈশাখী ঝড় যেন সবকিছুকে লন্ডভন্ড করে দিচ্ছিল। গাছপালা, বাড়িঘরসহ সবকিছু যেন উড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। ঝড়ের সাথে অন্ধকারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। এতে করে কিছু কিছু স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
এ সময় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে পড়ে। নদীতে থাকা লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। বৃষ্টির সাথে সাথেই জেলার বেশিরভাগ ছোট বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। সড়কে কমে গিয়েছে যানবাহনের সংখ্যাও। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে অনেক মানুষকে।
এদিকে স্থানীয় কৃষকরা বলেন, তাদের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে মাত্র। আগামি সপ্তাহে পুরোদমে ধান কেটে ঘরে তুলবেন তারা। কিন্তু এই ঝড় বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় মাটিতে হেলে পড়েছে পাকা ধান। অনেক স্থানে ঝরে গেছে গাছের ধান। গ্রামের মানুষ জানান, শিলা বৃষ্টিতে জেলায় অধিকাংশ গাছের আম পড়ে গেছে।
এছাড়া শিলার আঘাত লাগায় অনেক গাছের আম নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশংকা রয়েছে। এছাড়াও ভুট্টাসহ অন্যান্য কৃষি জমি নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।
ট্যাগস :

কচুয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ আহম্মেদ স্বপনের গণসংযোগ

অসহ্য গরমের পর চাঁদপুরে হঠাৎ দেখা মেলে স্বস্তির বৃষ্টি

আপডেট সময় : ০৪:৩২:৪৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৩
গত কয়েকদিনের তীব্র তাপদাহের পর চাঁদপুরে দেখা মেলে স্বস্তির বৃষ্টি। তবে এই বৃষ্টি অনেকের কাছে স্বস্তির হলেও কৃষকরা পড়েছেন দুঃচিন্তায়। জেলার আট উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া কাল বৈশাখী ঝড়ের সাথে শিলা বৃষ্টিও হয়। এতে করে আম, লিচু, ভুট্টা, গম ও ধানসহ উঠতি ফসলের ক্ষতির আশংকা করছেন কৃষকরা।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৫টার পরেই চাঁদপুরের বিভিন্ন এলাকায় ঝড় ও বৃষ্টি শুরু হয়। এর আগে উত্তরের আকাশ ছিল মেঘাছন্ন। কালো মেঘে ঢেকে যায় পুরো আকাশ। এর পর শুরু হয় প্রবল বাতাস। বাতাসের সাথে প্রচন্ড বেগে আশা কালবৈশাখী ঝড় যেন সবকিছুকে লন্ডভন্ড করে দিচ্ছিল। গাছপালা, বাড়িঘরসহ সবকিছু যেন উড়ে নিয়ে যাচ্ছিল। ঝড়ের সাথে অন্ধকারে ছেয়ে যায় পুরো এলাকা। এতে করে কিছু কিছু স্থানে গাছপালা ভেঙ্গে বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বড় ধরনের ক্ষতির কোন খবর পাওয়া যায়নি।
এ সময় চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদী উত্তাল হয়ে পড়ে। নদীতে থাকা লঞ্চের যাত্রীদের মধ্যে আতংক দেখা দেয়। বৃষ্টির সাথে সাথেই জেলার বেশিরভাগ ছোট বড় বাজারের ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। সড়কে কমে গিয়েছে যানবাহনের সংখ্যাও। এতে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে অনেক মানুষকে।
এদিকে স্থানীয় কৃষকরা বলেন, তাদের বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে মাত্র। আগামি সপ্তাহে পুরোদমে ধান কেটে ঘরে তুলবেন তারা। কিন্তু এই ঝড় বৃষ্টিতে অনেক জায়গায় মাটিতে হেলে পড়েছে পাকা ধান। অনেক স্থানে ঝরে গেছে গাছের ধান। গ্রামের মানুষ জানান, শিলা বৃষ্টিতে জেলায় অধিকাংশ গাছের আম পড়ে গেছে।
এছাড়া শিলার আঘাত লাগায় অনেক গাছের আম নষ্ট হয়ে যাওয়ারও আশংকা রয়েছে। এছাড়াও ভুট্টাসহ অন্যান্য কৃষি জমি নষ্ট হওয়ারও সম্ভাবনা রয়েছে।