ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই : আটক-১

চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ থানার আলোচিত ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর। এই হত্যা মামলায় জড়িত প্রধান আসামি মোঃ নুরন্নবী (৩০) কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই চাঁদপুর।

Model Hospital

২৪ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টায় মতলব দক্ষিণ থানাধীন নাগদা সাকিনস্থ মতলব টু গৌরিপুরগামী পাকা সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে জনৈক ইউসুফ বেপারীর ভরাটকৃত জমির উপর একটি অজ্ঞাতনামা মৃত ব্যক্তির লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। পিবিআই ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের নাম-ঠিকানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রঃ মিলন (৩৩), পিতা-জহির আহম্মদ, মাতা-মোবাশ্বেরা খাতুন, সাং-চর মটুয়া, থানা-সুধারাম,জেলা-নোয়াখালী মর্মে সনাক্ত করেন ।

মামলাটি পিবিআই সিডিউল ভুক্ত হওয়ায় মামলাটি অধিগ্রহণ করতে দক্ষ ও বিচক্ষণ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মীর মাহবুবুর রহমান পিবিআই, চাঁদপুরকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

এ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় গত ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার আমার নেতৃত্বে ও সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মীর মাহবুবুর রহমান একটি বিশেষ টিম নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান, উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মীর, শরীফ উল্লাহ, রিপন, মাইনুউদ্দিন, আলমগীর হোসেন অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেন। মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামী মোঃ নুরন্নবী (৩০), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দিন, সাং-পশ্চিম বড় দেইল (আলা বক্স পাটোয়ারী বাড়ী), ৯নং ওয়ার্ড, থানা-হাতিয়া, জেলা- নোয়াখালীকে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার পৌর এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। এই হত্যা সঙ্গে আরও ৫/৬ জন জড়িত বলেও জানা যায়।

পিবিআই চাঁদপুর ব্যাপক অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে  হত্যা মামলার ভিকটিম মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রঃ মিলন এক জন পিকাপ চালক। সেও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি এবং আন্তঃ ডাকাত দলের সদস্য। চট্টগ্রামের একটি মামলায় মিলনকে তাদের সহযোগিরা কম বেশি ৫০ হাজার টাকা করে দেয় একটি মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য। কিন্তু মিলন মামলাটি নিষ্পত্তি না করায় ২৭ মার্চ নুর ন্নবী মিলনকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা নিয়ে আসে। কুমিল্লা চান্দিনা নিমশা নামক জায়গায় মিলনকে নরু নবী ও তার সহযোগিরা পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার পরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাগদা নামক স্থানে  পেলে যায়।এর পরপরই মাঠে নামে পিবিআই, প্রায় একমাসের মধ্যেই পিবিআই চাঁদপুর অনুসন্ধান শেষে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আটক করেন।

উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি সহ আরো ১৪ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চাঁদপুরে লঞ্চে আগুন, আতঙ্কে নদীতে ঝাঁপ যাত্রীদের

চাঁদপুরে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করল পিবিআই : আটক-১

আপডেট সময় : ০৪:৫৯:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩
চাঁদপুর মতলব দক্ষিণ থানার আলোচিত ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর। এই হত্যা মামলায় জড়িত প্রধান আসামি মোঃ নুরন্নবী (৩০) কে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পিবিআই চাঁদপুর।

Model Hospital

২৪ মার্চ শুক্রবার বিকাল ৪ টায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) চাঁদপুর কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোঃ মোস্তফা কামাল রাশেদ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল অনুমান সাড়ে ৯ টায় মতলব দক্ষিণ থানাধীন নাগদা সাকিনস্থ মতলব টু গৌরিপুরগামী পাকা সড়কের দক্ষিণ পার্শ্বে জনৈক ইউসুফ বেপারীর ভরাটকৃত জমির উপর একটি অজ্ঞাতনামা মৃত ব্যক্তির লাশের সন্ধান পাওয়া যায়। পিবিআই ক্রাইমসিন টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ফিঙ্গারপ্রিন্ট এর মাধ্যমে অজ্ঞাতনামা ভিকটিমের নাম-ঠিকানা মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রঃ মিলন (৩৩), পিতা-জহির আহম্মদ, মাতা-মোবাশ্বেরা খাতুন, সাং-চর মটুয়া, থানা-সুধারাম,জেলা-নোয়াখালী মর্মে সনাক্ত করেন ।

মামলাটি পিবিআই সিডিউল ভুক্ত হওয়ায় মামলাটি অধিগ্রহণ করতে দক্ষ ও বিচক্ষণ পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মীর মাহবুবুর রহমান পিবিআই, চাঁদপুরকে তদন্তকারী কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়।

এ্যাডিশনাল আইজিপি, পিবিআই বনজ কুমার মজুমদার বিপিএম (বার), পিপিএম এর সঠিক তত্ত্বাবধান ও দিক নির্দেশনায় গত ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবার আমার নেতৃত্বে ও সার্বিক সহযোগিতায় মামলার তদন্তকারী পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) মীর মাহবুবুর রহমান একটি বিশেষ টিম নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় পুলিশ পরিদর্শক মীর মাহবুবুর রহমান, উপ-পরিদর্শক আমিরুল ইসলাম মীর, শরীফ উল্লাহ, রিপন, মাইনুউদ্দিন, আলমগীর হোসেন অভিযান পরিচালনা করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন করেন। মামলার ঘটনায় জড়িত অন্যতম আসামী মোঃ নুরন্নবী (৩০), পিতা-মৃত গিয়াস উদ্দিন, সাং-পশ্চিম বড় দেইল (আলা বক্স পাটোয়ারী বাড়ী), ৯নং ওয়ার্ড, থানা-হাতিয়া, জেলা- নোয়াখালীকে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার পৌর এলাকা হতে গ্রেফতার করেন। এই হত্যা সঙ্গে আরও ৫/৬ জন জড়িত বলেও জানা যায়।

পিবিআই চাঁদপুর ব্যাপক অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে  হত্যা মামলার ভিকটিম মোঃ দেলোয়ার হোসেন প্রঃ মিলন এক জন পিকাপ চালক। সেও একাধিক ডাকাতি মামলার আসামি এবং আন্তঃ ডাকাত দলের সদস্য। চট্টগ্রামের একটি মামলায় মিলনকে তাদের সহযোগিরা কম বেশি ৫০ হাজার টাকা করে দেয় একটি মামলা নিষ্পত্তি করার জন্য। কিন্তু মিলন মামলাটি নিষ্পত্তি না করায় ২৭ মার্চ নুর ন্নবী মিলনকে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম থেকে কুমিল্লা নিয়ে আসে। কুমিল্লা চান্দিনা নিমশা নামক জায়গায় মিলনকে নরু নবী ও তার সহযোগিরা পিটিয়ে হত্যা করে। হত্যার পরে মতলব দক্ষিণ উপজেলার নাগদা নামক স্থানে  পেলে যায়।এর পরপরই মাঠে নামে পিবিআই, প্রায় একমাসের মধ্যেই পিবিআই চাঁদপুর অনুসন্ধান শেষে হত্যা মামলার প্রধান আসামিকে আটক করেন।

উক্ত আসামীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি সহ আরো ১৪ টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।