ঢাকা ১১:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে শিক্ষক মিজানুর রহমানের অকাল প্রয়াণ, সর্বস্তরের শোক প্রকাশ 

মোঃ মাসুদ রানা : শাহরাস্তিতে দেবকরা মারগুবা ডক্টর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ মেমোরিয়াল উবি’র সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করিয়াছেন, ইন্নালিল্লাহি ……. রাজিউন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২টি ছেলে ও ১টি মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ,উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনরা দ্রুত  কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পরে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা আবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শ্যামলীর (সিকেডি) ইউরোলজি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইভ সাপোর্টে  ২৭শে ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এই শিক্ষকের অকাল প্রয়াণের সংবাদ তার কর্মস্থল বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের  ছায়া নেমে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক লাকসাম বর্তমান মনোহরগঞ্জ উপজেলার লাল চাঁদপুর গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত মোঃ ইব্রাহিম খলিল ও মাতা: ছালেহা বেগম দম্পতির পুত্র মো: মিজানুর রহমান ১৯৬৩ সালের ১৬ই জুন ওই এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন । সেখানে তিনি প্রাথমিক জীবনের শিক্ষা শেষে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে  উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন শেষে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে বর্তমান কর্মস্থলের এ বিদ্যালয়টিতে তিনি ১৯৯৫ সালে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে আমৃত্যু ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তার অকাল প্রয়াণে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রোটারিয়ান এড. ইলিয়াস মিন্টু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশার বিদ্যালয়ের সহকর্মী শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তারা গণমাধ্যমের নিকট এ শিক্ষকের  কর্মময় জীবন নিয়ে আলাপচারিতায় বলেন, সদা হাস্যজ্জল বিনয়ী নম্র ভদ্র একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি হৃদয় উজার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতেন। দায়িত্ববোধ কর্তব্যের প্রতি ছিলেন ন্যায়ের পথিক একনিষ্ঠ। এমন একজন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণের কষ্টের স্মৃতি বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা আজীবন বয়ে বেড়াবে।
পরিশেষে তারা আল্লাহ পাকের নিকট তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক বর্তমান সংশ্লিষ্টরা, এলাকার বিশিষ্টজনরা, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা, শোক জানান।
এদিকে আগামী কাল ২৮ ফেব্রুয়ারি  সকালে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেন।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

শাহরাস্তিতে শিক্ষক মিজানুর রহমানের অকাল প্রয়াণ, সর্বস্তরের শোক প্রকাশ 

আপডেট সময় : ০৫:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
মোঃ মাসুদ রানা : শাহরাস্তিতে দেবকরা মারগুবা ডক্টর মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ মেমোরিয়াল উবি’র সহকারি প্রধান শিক্ষক মোঃ মিজানুর রহমান (৬০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করিয়াছেন, ইন্নালিল্লাহি ……. রাজিউন।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২টি ছেলে ও ১টি মেয়েসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি ,উচ্চ রক্তচাপ, শ্বাসকষ্ট, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিল রোগে ভুগছিলেন।
গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে পড়লে তার স্বজনরা দ্রুত  কুমিল্লার একটি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে কয়েকদিন চিকিৎসার পরে অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা আবার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শ্যামলীর (সিকেডি) ইউরোলজি হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় লাইভ সাপোর্টে  ২৭শে ফেব্রুয়ারি সোমবার দুপুরে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। এই শিক্ষকের অকাল প্রয়াণের সংবাদ তার কর্মস্থল বিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষক শিক্ষার্থীদের মাঝে শোকের  ছায়া নেমে আসে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক লাকসাম বর্তমান মনোহরগঞ্জ উপজেলার লাল চাঁদপুর গ্রামের মিয়াজী বাড়ির মৃত মোঃ ইব্রাহিম খলিল ও মাতা: ছালেহা বেগম দম্পতির পুত্র মো: মিজানুর রহমান ১৯৬৩ সালের ১৬ই জুন ওই এলাকার একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন । সেখানে তিনি প্রাথমিক জীবনের শিক্ষা শেষে বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে  উচ্চতর ডিগ্রী সম্পন্ন শেষে ১৯৮৬ সালের ১ জানুয়ারি এ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদান করেন। পরবর্তীতে বর্তমান কর্মস্থলের এ বিদ্যালয়টিতে তিনি ১৯৯৫ সালে সহকারি প্রধান শিক্ষক হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে আমৃত্যু ওই পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।
তার অকাল প্রয়াণে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রোটারিয়ান এড. ইলিয়াস মিন্টু, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আবুল বাশার বিদ্যালয়ের সহকর্মী শিক্ষক, অভিভাবক, শিক্ষার্থীরা গভীর শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেন। তারা গণমাধ্যমের নিকট এ শিক্ষকের  কর্মময় জীবন নিয়ে আলাপচারিতায় বলেন, সদা হাস্যজ্জল বিনয়ী নম্র ভদ্র একজন আদর্শবান শিক্ষক ছিলেন মিজানুর রহমান। তিনি হৃদয় উজার করে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করতেন। দায়িত্ববোধ কর্তব্যের প্রতি ছিলেন ন্যায়ের পথিক একনিষ্ঠ। এমন একজন শিক্ষকের অকাল প্রয়াণের কষ্টের স্মৃতি বিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টরা আজীবন বয়ে বেড়াবে।
পরিশেষে তারা আল্লাহ পাকের নিকট তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন।
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, বিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক বর্তমান সংশ্লিষ্টরা, এলাকার বিশিষ্টজনরা, শিক্ষক শিক্ষার্থীরা, শোক জানান।
এদিকে আগামী কাল ২৮ ফেব্রুয়ারি  সকালে মরহুমের পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের কথা রয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা নিশ্চিত করেন।