ঢাকা ১২:০৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মতলব উত্তরে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো দুর্গোৎসব

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এবছর ৩১টি পূজামন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Model Hospital

বুধবার বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পূজা উৎসব সমাপ্ত হয়। দুর্গোৎসবকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিল। পাশাপাশি মতলব উত্তরের সকল পেশার লোকজন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় উপজেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মতলব উত্তর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন।

অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন বলেন, দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল হাসান, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গসহ সকল পেশার লোকজন আমার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছ।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ৩১টি পূজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটিকে দিকনির্দেশনা’সহ নানান বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, প্রত্যকটি পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক’সহ স্থানীয় লোকদের নিয়ে অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন সভা সমাবেশ করেছেন।

পূজা সংক্রান্ত সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে গেলো প্রত্যকটি পূজা মন্ডপের মধ্যে সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ফলে বারতি নিরাপত্তায় সহযোগিতা করেছে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। শনিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়ে এবং বুধবার দশমী দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সেই লক্ষে এরই মধ্যে উপজেলা ৩১টি পূজা মন্ডপেই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে যা পূজা উদযাপন নির্বিঘ্নে নিরাপদে পালন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি আরো বলেন, দুর্গোৎসব কে ঘিরে অতি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন ছিল।

প্রতিটি পূজা মন্ডপে থানার জরুরি মোবাইল নম্বর টানিয়ে দেয়া হয়েছিল, যাতে কেন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে যাতে যেকেউ পুলিশকে খবর দিতে পারে। আমি নিজে জেলা প্রশাসক, এমপি মোহদয়, এসপি স্যার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের সাথে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং আমি একাও ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেছি।

শারদীয় দুর্গোৎসব অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দময় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোথায়ও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি হয়নি। সে জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাদাই সজাগ ছিল।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

হাইমচরে নুরুল ইসলাম পাটওয়ারীর মৃত্যুতে বিভিন্ন মহলে শোক: জানাযায় হাজারো মানুষ

প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে মতলব উত্তরে শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হলো দুর্গোৎসব

আপডেট সময় : ০৪:১১:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৫ অক্টোবর ২০২২

মতলব উত্তর ব্যুরো : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় এবছর ৩১টি পূজামন্ডপে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

Model Hospital

বুধবার বিকেলে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যে দিয়ে পূজা উৎসব সমাপ্ত হয়। দুর্গোৎসবকে ঘিরে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর অবস্থানে ছিল। পাশাপাশি মতলব উত্তরের সকল পেশার লোকজন সার্বিকভাবে সহযোগিতা করায় উপজেলাবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মতলব উত্তর থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন।

অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন বলেন, দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে মাননীয় প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, চাঁদপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এ্যাড. নূরুল আমিন রুহুল, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) আশরাফুল হাসান, সাংবাদিক, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গসহ সকল পেশার লোকজন আমার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপদেশ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছ।

উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ ৩১টি পূজা মন্ডপ পরিচালনা কমিটিকে দিকনির্দেশনা’সহ নানান বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল চন্দ্র দাস জানান, প্রত্যকটি পূজা উৎযাপন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক’সহ স্থানীয় লোকদের নিয়ে অফিসার ইনচার্জ মো. মহিউদ্দিন সভা সমাবেশ করেছেন।

পূজা সংক্রান্ত সার্বিক নিরাপত্তা পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে গেলো প্রত্যকটি পূজা মন্ডপের মধ্যে সিসি টিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। ফলে বারতি নিরাপত্তায় সহযোগিতা করেছে।

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার। শনিবার ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে পূজা শুরু হয়ে এবং বুধবার দশমী দিনে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে। সেই লক্ষে এরই মধ্যে উপজেলা ৩১টি পূজা মন্ডপেই সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে যা পূজা উদযাপন নির্বিঘ্নে নিরাপদে পালন করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

তিনি আরো বলেন, দুর্গোৎসব কে ঘিরে অতি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ এই তিন ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে। অতি গুরুত্বপূর্ণ মন্ডপে অতিরিক্ত পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন ছিল।

প্রতিটি পূজা মন্ডপে থানার জরুরি মোবাইল নম্বর টানিয়ে দেয়া হয়েছিল, যাতে কেন অপ্রিতিকর ঘটনা ঘটলে যাতে যেকেউ পুলিশকে খবর দিতে পারে। আমি নিজে জেলা প্রশাসক, এমপি মোহদয়, এসপি স্যার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী অফিসারের সাথে গিয়ে পরিদর্শন করেছি এবং আমি একাও ঘুরে ঘুরে পরিদর্শন করেছি।

শারদীয় দুর্গোৎসব অত্যন্ত উৎসাহ উদ্দীপনা ও আনন্দময় পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে কোথায়ও কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, আইন শৃঙ্খলার কোন অবনতি হয়নি। সে জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাদাই সজাগ ছিল।