মিয়ানমারের ছোড়া মর্টারশেল বিস্ফোরণে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশের একজন নিহত ও ছয় জন আহত হন। এই ঘটনার পর থেকে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে। এর মধ্যে শনিবার সকাল থেকে আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন না। অনেকে বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্র চলে যাচ্ছেন।
ঘুমধুম ইউনিয়নের এক বাসিন্দা জানান, গতকাল মর্টারশেল ও ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে হতাহতের পর স্থানীয়রা চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। ভয়ে সীমান্ত লাগোয়া জুমক্ষেতে ফসল আনতে যেতে পারছেন না তারা।
স্থানীয় আরেক বাসিন্দা জানান, ‘সীমান্তের পরিস্থিতি এখনও থমথমে। আমরা উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় রয়েছি। অনেকেই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে গেছেন।’
ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইনচার্জ) সোহাগ রানা বলেন, বর্তমানে সীমান্ত এলাকায় কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। সেখানে বিজিবি তৎপর রয়েছে। এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শুক্রবার রাত ৮টার দিকে মিয়ানমার থেকে ছোড়া মর্টারশেল এসে পড়ে সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে। নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড কোনারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। সেটি বিস্ফোরণে সীমান্ত এলাকায় বসবাসরত মো. ইকবাল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা নিহত হয়েছেন। আহত হন আরও ৬ জন।