স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বাড়িতে হামলা ও লুট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ওই বাড়ি মালিকের স্ত্রী, সন্তান ও ভাড়াটিয়া’সহ ৬জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
ছেংগারচর বাজারের ব্যবসায়ী মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, জনৈক ব্যক্তি নাজমা বেগমের নির্দেশে ও উপস্থিতিতে আমার বাড়িতে হঠাৎ হামলা করে, ভাড়া করা প্রায় ৮০-১০০ জন সন্ত্রাস বাহিনী। আমার স্ত্রী বুলু বেগম, ছেলে সাইদুল ইসলাম শাকিল, ভাড়াটিয়া অপুর স্ত্রী সুমাইয়া, আরিফ ও তার স্ত্রী রেহেনা এবং শুক্কুর আলীকে ব্যাপক মারধর করে তারা। ঘরে থাকা নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা নিয়ে গেছে।
এছাড়াও ৪টি খাট, ১ সেট ডাইনিং টেবিল, ওয়্যারড্রপ ১টি, ফ্রিজ ১টি, ষ্টিলের আলমিরা ১টি, এলইডি টিভি ১টি, সিসি ক্যামেরা ৭টি, মনিটর ১টি, ওয়াইফাই রাউটার ২টা, ভেসিং ৪টি, মটর ২টা, মোবাইল ফোন ৩টি, গ্যাসের চুলা ৩টি, ৫০ হাজার টাকার থাইগ্লাস’সহ আরো আসবাবপত্র ও ভাড়াটিয়াদের ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর এবং লুট করেছে। প্রায় ৭ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানান তিনি। খবর পেয়ে থানা পুলিশকে ফোন করেন সফিকুল ইসলাম।
সফিকুল ইসলাম আরো বলেন, পালালোকদি মৌজার সাবেক ১০নং ও হাল ১৫৩৯ দাগে ৬ শতাংশ ভূমি ও বাড়ি ক্রয় করি। কিন্তু নাজমা বেগম মালিকানা দাবী বিগত দিন ধরে মামলা হামলা করে আসছে। সর্বশেষ গত ১ সেপ্টেম্বর আদালতের নির্দেশে মতলব উত্তর থানা পুলিশ ওই বাড়ির উপর ১৪৫ ধারায় স্থিতিবস্থা জারী করেন। এতে বলা হয়, উভয়পক্ষ উক্ত ভূমিতে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় থাকবে। কোন প্রকার পরিবর্তন, পরিবর্ধন, হস্তান্তর ও ক্রয় বিক্রয় করা থেকে বিরত থাকবেন। এমনকি আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গ এবং শান্তি শৃঙ্খলা নস্ট হয় এমন কোন কার্যকলাপ করা যাবে না, অন্যথায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আদালতের এই নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নাজমা বেগম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে এসে হামলা ভাংচুর ও লুট করেছে। আমি আইনের কাছে সুষ্ঠু বিচার চাই।
এ ব্যাপারে নাজমা বেগম বলেন, কিছু দিন আগে আমার স্বামীকে অনেক মারধর করেছে। এই জায়গা আমার, আমি মালিক।
মতলব উত্তর থানার ওসি মো. মহিউদ্দিন বলেন, মারামারির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে এনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।