ঢাকা ০৬:২২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইমচরে আদর্শ শিশু নিকেতনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ে হাইমচর উপজেলার শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
২৩ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর আলগী বাজার আদর্শ শিশু নিকেতন হলরুমে অনুষ্ঠিত এ দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিক এর সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এবং মুনাজাত পরিচালনা করেন গন্ডামারা এ বি এস ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান হামিদী।
বক্তব্য রাখেন স্কুলের উপাধ্যক্ষ ফালগুনি মজুমদার, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নান, আব্দুল মতিন, শফিকুর রহমান, রিয়াজ হোসেন প্রমূখ।
উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুলের প্রধান ক্যাম্পাসের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশকাটালী শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও রামপুর বাজার শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন এই বিদায়, বিদায় নয়। এটা উচ্চ শিক্ষার পথে তোমাদের আরো এক ধাপ এগিয়ে দেওয়া। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে বিদ্যালয় এর নাম উজ্জ্বল করার জন্য তারা পরীক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। কোন ধরনের অবৈধ প্রন্থার আশ্রয় না নিয়ে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বলেন এবং পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।
বিদায়ী বক্তব্যে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম শাহীন বলেন- ‘বিদায়’ শব্দটা তিন অক্ষরের হলেও এটার বেদনা কতটুকু তা আমরা এখন বুঝতে পারছি। স্কুলের ছুটির ঘণ্টা আজ মনে হলো একটু তাড়াতাড়ি বেজে গেল। কিন্তু অন্যদিন এই ছুটির ঘণ্টা আর আজ ছুটির ঘণ্টার মধ্যে পার্থক্য একটাই—আজকের পর থেকে স্কুলে ক্লাস করার জন্য আর আমাদের যেতে হবে না। হয়তোবা স্কুলে এসে ক্লাস করতে অনেক ইচ্ছা হবে। সেই ইচ্ছা পূরণ হবে না। কথাটা ভাবতেই কেন জানি মনটা খারাপ হয়ে গেল।
আসলেই জীবনটা খুব ছোট। দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণিতে থাকতে ভাবতাম, কখন সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে উঠব। আর সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে উঠে ভাবতাম, কবে স্কুলজীবনটা শেষ করব। এখন সেই সময় এসেছে। কিন্তু আজকে কেন এত খারাপ লাগছে। কেন জানি না নিজের অজান্তেই চোখের কোণে দুই চোখের জল এসে বলছে, যেতে তো চাই না তবুও কেন তাড়িয়ে দিচ্ছে আজকে এভাবে। হতে পারে নিজের অজান্তেই স্কুল এবং স্কুলের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি, যা হয়তো দ্বিতীয়-তৃতীয় এবং সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন বিদায়কালে বুঝতে পারছি, কতটা ভালোবাসি স্কুলকে।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মতলব উত্তরে কাপ-পিরিচ প্রতীকে উঠান বৈঠক ও ব্যাপক গণসংযোগ

হাইমচরে আদর্শ শিশু নিকেতনে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠান

আপডেট সময় : ০১:৫১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৩ নভেম্বর ২০২১
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : কিন্ডারগার্টেন পর্যায়ে হাইমচর উপজেলার শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই সাথে স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
২৩ নভেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার সকালে উপজেলা সদর আলগী বাজার আদর্শ শিশু নিকেতন হলরুমে অনুষ্ঠিত এ দোয়া অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এতে স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক মোঃ মাজহারুল ইসলাম শফিক এর সভাপতিত্বে ও অধ্যক্ষ আবদুল লতিফ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য এবং মুনাজাত পরিচালনা করেন গন্ডামারা এ বি এস ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুর রহমান হামিদী।
বক্তব্য রাখেন স্কুলের উপাধ্যক্ষ ফালগুনি মজুমদার, সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মান্নান, আব্দুল মতিন, শফিকুর রহমান, রিয়াজ হোসেন প্রমূখ।
উপস্থিত ছিলেন আদর্শ শিশু নিকেতন স্কুলের প্রধান ক্যাম্পাসের সহকারী শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশকাটালী শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও রামপুর বাজার শাখার শিক্ষক-শিক্ষিকামন্ডলী শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকবৃন্দ।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন এই বিদায়, বিদায় নয়। এটা উচ্চ শিক্ষার পথে তোমাদের আরো এক ধাপ এগিয়ে দেওয়া। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করে বিদ্যালয় এর নাম উজ্জ্বল করার জন্য তারা পরীক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান। কোন ধরনের অবৈধ প্রন্থার আশ্রয় না নিয়ে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য বলেন এবং পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষার নানা বিষয়ে দিক নির্দেশনা দেন।
বিদায়ী বক্তব্যে অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম শাহীন বলেন- ‘বিদায়’ শব্দটা তিন অক্ষরের হলেও এটার বেদনা কতটুকু তা আমরা এখন বুঝতে পারছি। স্কুলের ছুটির ঘণ্টা আজ মনে হলো একটু তাড়াতাড়ি বেজে গেল। কিন্তু অন্যদিন এই ছুটির ঘণ্টা আর আজ ছুটির ঘণ্টার মধ্যে পার্থক্য একটাই—আজকের পর থেকে স্কুলে ক্লাস করার জন্য আর আমাদের যেতে হবে না। হয়তোবা স্কুলে এসে ক্লাস করতে অনেক ইচ্ছা হবে। সেই ইচ্ছা পূরণ হবে না। কথাটা ভাবতেই কেন জানি মনটা খারাপ হয়ে গেল।
আসলেই জীবনটা খুব ছোট। দ্বিতীয়-তৃতীয় শ্রেণিতে থাকতে ভাবতাম, কখন সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে উঠব। আর সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে উঠে ভাবতাম, কবে স্কুলজীবনটা শেষ করব। এখন সেই সময় এসেছে। কিন্তু আজকে কেন এত খারাপ লাগছে। কেন জানি না নিজের অজান্তেই চোখের কোণে দুই চোখের জল এসে বলছে, যেতে তো চাই না তবুও কেন তাড়িয়ে দিচ্ছে আজকে এভাবে। হতে পারে নিজের অজান্তেই স্কুল এবং স্কুলের সবাইকে অনেক অনেক ভালোবেসে ফেলেছি, যা হয়তো দ্বিতীয়-তৃতীয় এবং সপ্তম-অষ্টম শ্রেণিতে থাকতে বুঝতে পারিনি। কিন্তু এখন বিদায়কালে বুঝতে পারছি, কতটা ভালোবাসি স্কুলকে।