ঢাকা ০৫:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুর সরকারি কলেজে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

ক্যাম্পাস রিপোর্ট : ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়।

Model Hospital

সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ এবং ছাত্রনেতৃবৃন্দ সহকারে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসে আসেন। ছাত্রীনিবাসের সুপার উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ইকবাল হোসেন খান, সহকারী সুপার রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক লিজা আক্তার এবং ছাত্রীনিবাসের আবাসিক ছাত্রীরা অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দকে বরণ করে নেন।

কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ছাত্রীনিবাসের সুপার, সহকারী সুপার, ছাত্রনেতৃবৃন্দ এবং আবাসিক ছাত্রীরা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন।

ছাত্রীনিবাসে অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন এবং ছাত্রীনিবাসের আবাসিক ছাত্রীদের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস এবং অনুপ্রেরণার উৎস। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন এই মহীয়সী নারী। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে আমরা স্বাধীনাতা লাভ করি। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছায়ার মত অনুসরণ করে প্রেরণার উৎস ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভেঙ্গে না পড়ে অসীম সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন।কারাগারে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন বঙ্গমাতার কাছে ছুটে আসতেন,তখন তিনি তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাহস যুগিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে গরীব ও অসহায় মানুষের সাহায্য করেছেন, বীরঙ্গনাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পালন করেছেন। এই মহীয়সী নারী ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী দেশী এবং বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঘাতকচত্রের বুলেটের আঘাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন। জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ তিনি ছাত্রীদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯২ তম জন্মবার্ষিকীতে মসজিদে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।

ট্যাগস :

কচুয়ায় চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়েজ আহম্মেদ স্বপনের গণসংযোগ

চাঁদপুর সরকারি কলেজে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন

আপডেট সময় : ০৪:০২:৪৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অগাস্ট ২০২২

ক্যাম্পাস রিপোর্ট : ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ চাঁদপুর সরকারি কলেজে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯২ তম জন্মবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপন করা হয়।

Model Hospital

সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা ১২টায় কলেজ অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ, উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ আবুল খায়ের সরকার বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ এবং ছাত্রনেতৃবৃন্দ সহকারে বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছাত্রীনিবাসে আসেন। ছাত্রীনিবাসের সুপার উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মোঃ ইকবাল হোসেন খান, সহকারী সুপার রসায়ন বিভাগের প্রদর্শক লিজা আক্তার এবং ছাত্রীনিবাসের আবাসিক ছাত্রীরা অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং ছাত্র নেতৃবৃন্দকে বরণ করে নেন।

কলেজ অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, ছাত্রীনিবাসের সুপার, সহকারী সুপার, ছাত্রনেতৃবৃন্দ এবং আবাসিক ছাত্রীরা বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পন করেন।

ছাত্রীনিবাসে অধ্যক্ষ প্রফেসর অসিত বরণ দাশ এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন এবং ছাত্রীনিবাসের আবাসিক ছাত্রীদের জন্য বিশেষ মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন করেন। প্রফেসর অসিত বরণ দাশ বলেন, ‘বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সাহস এবং অনুপ্রেরণার উৎস। ১৯৩০ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন এই মহীয়সী নারী। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ লড়াই সংগ্রাম করে আমরা স্বাধীনাতা লাভ করি। বঙ্গবন্ধুর সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে তিনি ছায়ার মত অনুসরণ করে প্রেরণার উৎস ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে তিনি ভেঙ্গে না পড়ে অসীম সাহসিকতার সাথে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন।

বঙ্গবন্ধু তাঁর জীবনের দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন।কারাগারে থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা যখন বঙ্গমাতার কাছে ছুটে আসতেন,তখন তিনি তাদেরকে বিভিন্ন ধরণের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন এবং আন্দোলন সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার জন্য সাহস যুগিয়েছেন।

মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধুর পাশে থেকে গরীব ও অসহায় মানুষের সাহায্য করেছেন, বীরঙ্গনাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে তাদেরকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার দায়িত্ব পালন করেছেন। এই মহীয়সী নারী ১৯৭৫ সালে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সাথে স্বাধীনতা বিরোধী দেশী এবং বিদেশী শক্তির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে ঘাতকচত্রের বুলেটের আঘাতে নির্মম ভাবে শহীদ হন। জাতির পিতার আমৃত্যু সঙ্গী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের ৯২ তম জন্মবার্ষিকীতে আমাদের বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি।’ তিনি ছাত্রীদের বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানান।

বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯২ তম জন্মবার্ষিকীতে মসজিদে দোয়া ও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।