সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ।
তিনি বক্তব্যে বলেন, আমরা ১৯৭১ সালের ১৬ ই ডিসেম্বর চুড়ান্ত বিজয় লাভ করি, কিন্তু সেদিন বঙ্গবন্ধু পাকিস্থান কারাগারে বন্দি। পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুকে সেদিন মৃত্যুদণ্ডে দন্ডিত করে কারাগারে আটকে রাখে। তিনি কারগার থেকে বলেছিলেন আমার লাশটা যেন বাংলাদেশে পাঠানো হয়। কিন্তু বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রের চাপে মৃতুদন্ড রদ করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধু সেদিন দেশে ফিরে না আসলে ইতিহাস হয়তো অনন্যভাবে লেখা হত। ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে পা রেখে বলেছিলেন বাঙ্গালি জাতির যে ভালবাসা আমি পেয়েছি তা নিজের রক্ত দিয়ে হলেও শোধ করবো।
তিনি আরো বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশ উন্নয়শীল হয়েছে কিন্তু বাংলাদেশের মতো এত তাড়তাড়ি এগুতে পারেনি। আর আমাদের এ সমৃদ্ধি ও উন্নতি সম্ভব হয়েছে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। আমরা সবাই আন্তরিক তাই আন্তরিকতা নিয়েই একত্রিত হয়ে দলের জন্য কাজ করবো।
জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক অ্যাড জহিরুল ইসলামের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি ইঞ্জি. আব্দুর রব ভূঁইয়া, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. রুহুল আমিন সরকার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়াজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা মনির আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক শাহ আলম মিয়া, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক বিনয় ভূষণ মজুমদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক নূরুল ইসলাম মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সাব্বির হোসেন মন্টু দেওয়ান, আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড, দেবাশিস কর মধু, জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান কালু ভূইয়া, মহিলা আওয়ামীলীগ নেত্রী জান্নাতুল ইসলাম মাওয়া, রেনু বেগম, চাঁদপুর জেলা ছাএলীগের সহ সভাপতি ইকবাল হোসেন লিটন প্রমুখ।
আলোচনা সভা শেষে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন বাইতুল আমিন জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ আব্দুস সালাম।
ক্যাপশন: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখছেন জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব নাছির উদ্দিন আহমেদ। ছবি: দৈনিক চাঁদপুর খবর।