স্টাফ রিপোর্টার : কচুয়া উপজেলার কড়ইয়া ইউনিয়নের মনোহরপুর গ্রামের পশ্চিম পাড়া মসজিদ বাড়িতে জোরপূর্বক সম্পত্তি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনায় কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার সরজমিনে গেলে জানা যায়, মনোহরপুর গ্রামের কাদিম আলীর মেয়ে মোস্তফা বেগমের দেড় শতাংশত সম্পত্তিতে একই বাড়ির মরহুম ইউসুফ আলীর ছেলে ইমান হোসেন, মনির হোসেন, আমির ও জাকির হোসেন জোরপূর্বক বসতঘর, রান্নাঘর ও টয়লেট নির্মান করে। এ নিয়ে মোস্তফা বেগম তাদেরকে ঘর নির্মান করতে নিষেধ করে। কিন্তু তারা নিষেধকে অমান্য করে কাজ চালিয়ে যায়। এমনকি মোস্তফা বেগম ও তার আত্মীয় স্বজনদের হত্যা ও মামলা দিয়ে হয়রানি করার হুমকি দেয়। কোন প্রকার উপায়ন্তর না পেয়ে সম্পত্তি রক্ষার্থে মোস্তফা বেগম কচুয়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ পেয়ে কচুয়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) মামুন সরকার উভয় পক্ষকে মিমাংসার লক্ষে থানায় ডাকেন এবং সালিশি বৈঠক বসে। সালিশ বৈঠকে উভয় পক্ষের আত্মীয় স্বজন ও এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তি বর্গের উপস্থিতিতে ইমান হোসেন গং ৩১ মে ২০২২ ইং তারিখের মধ্যে তাদের ঘর ও স্থাপনা সরাইয়া মোস্তফা বেগমের জমি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তে উপনিত হয়। কিন্তু সময় শেষ হওয়ার পরও ইমান গং স্থাপনা অন্যত্র না নেওয়ার ফলে ভুক্তভোগী পরিবার চাঁদপুরের বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
এ বিষয়ে ইমান হোসেন বলেন, আমি আমার সম্পত্তিতে থাকার জন্য বসত বাড়ি নির্মান করি। মোস্তফা বেগম এই বাড়ির মেয়ে তিনি তার হির্সায় .২৫ শতাংশ জায়গা পাবেন। আমি তাদেরকে সেই জায়গার পরিবর্তে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সালিশ বৈঠকের সিদ্ধাতনুযায়ী জায়গা ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
মোস্তফা বেগম বলেন,আমরা কাদিম আলীর ৬ ওয়ারিশ ১৪ শতকের অন্দরে ১.৫ শতকের মালিক হই। আমি আমার অনান্য ভাই বোনদের থেকে দেড় শতাংশ সম্পত্তি এজবদল করি। কিন্তু আমার সম্পত্তিতে ইমান হোসেন গং জোরপূর্বক দখল করে। আমি এ বিষয়ে কচুয়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগের প্রেক্ষাপটে তাদেরকে ৬ মাসের সময় দেওয়া হয় স্থাপনা সড়িয়ে নেওয়ার জন্য।
কিন্তু এখনো তারা এই সম্পত্তি দখল করে আসছে এবং আমাকে বিভিন্ন হুমকি ধমকি প্রদর্শন করছে। এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।