ঢাকা ০১:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আসছে একের পর এক লাশ, নিহত বেড়ে ৩৩

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতালে এখন শুধুই আর্তনাদ। যখনই কোনো মরদেহ আসছে তখনই স্বজনদের কান্না আর চিৎকারে পরিবেশ আরও ভারি হয়ে ওঠছে। সে যেন এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।

Model Hospital

এ অবস্থায় এরই মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।

এছাড়া আগুনে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।

রোববার (৫ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, রোভার স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। তবে ডিপোর আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, ডিপো ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের অনেকেই আহত থাকায় সঠিক কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কন্টেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন।

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ধরলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আগুনের লেলিহান শিখা এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে কেঁপে ওঠে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।

বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক বলেন, আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবো আমরা। এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছে তাদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে।

এসময় তিনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।

ট্যাগস :

চাঁদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভা

আসছে একের পর এক লাশ, নিহত বেড়ে ৩৩

আপডেট সময় : ০৬:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৫ জুন ২০২২

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতালে এখন শুধুই আর্তনাদ। যখনই কোনো মরদেহ আসছে তখনই স্বজনদের কান্না আর চিৎকারে পরিবেশ আরও ভারি হয়ে ওঠছে। সে যেন এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।

Model Hospital

এ অবস্থায় এরই মধ্যে ৩৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন পাঁচজন ফায়ার সার্ভিসের কর্মী।

এছাড়া আগুনে আহত হয়েছেন আরও চার শতাধিক। তাদের মধ্যে ডিপোর শ্রমিক, স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরাও রয়েছেন।

রোববার (৫ জুন) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে (চমেক) হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

ঘটনাস্থলে ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, রোভার স্কাউট এবং রেড ক্রিসেন্টের স্বেচ্ছাসেবকরা কাজ করছেন। তবে ডিপোর আগুন এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি।

আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হলো, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক মুজিবুর রহমান বলেন, ডিপো ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের অনেকেই আহত থাকায় সঠিক কী কারণে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে কন্টেইনার থেকেই আগুন ধরেছে বলে ধারণা করছি।

এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি সহায়তা ডেস্ক খোলা হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার আশরাফ উদ্দিন।

শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ধরলে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয় সূত্র জানায়, আগুনের লেলিহান শিখা এক কনটেইনার থেকে অন্য কনটেইনারে ছড়িয়ে পড়ে। একটি কনটেইনারে রাসায়নিক থাকায় বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থল থেকে কেঁপে ওঠে অন্তত চার কিলোমিটার এলাকা। আশপাশের বাড়িঘরের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে।

বিএম কন্টেইনার ডিপোর পরিচালক বলেন, আহতরা যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার সম্পূর্ণ ব্যয়ভার বহন করবো আমরা। এ দুর্ঘটনায় যারাই হতাহত হয়েছে তাদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি সব হতাহতের পরিবারের দায়িত্ব নেওয়া হবে।

এসময় তিনি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানান।