মোঃ রাছেল : কচুয়ায় দাফনের ১৬ দিন পর আদালতের নির্দেশে জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী (৪৫) নামের এক ব্যক্তির লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কচুয়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন আমলী আদালত চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন সরোয়ারের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করেন। এ সময় কচুয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো: ছানোয়ার হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ফৌজদারী ধারা মোতাবেক লাশ উত্তোলনে সহযোগীতা প্রদান করেন। লাশ উত্তোলন শেষে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য: কচুয়া উপজেলার কাদলা ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের হালিম পাটওয়ারী ছেলে জমিউদ্দীন পরিবারসহ ঢাকায় বসবাস করতো। ৪ মে জসিম উদ্দিন পাটওয়ারী ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। ৫ মে একই গ্রামের ইতালী প্রবাসী আলী হোসেনে ছেলে শরীফ হোসেন জসিম উদ্দিনকে তার বাড়িতে এসে প্রবাস থেকে নিয়ে আসা উপহার সামগ্রী নিতে আমন্ত্রন জানায়।
জসিম উদ্দিন ওই দিন বিকালে শরীফ হোসেনের বাড়িতে গেলে সেভেন আফ নামীয় কোল্ড ড্রিংকস খেতে দেয়। ওই কোল্ড ড্রিংকস পান করে জসিম উদ্দিন অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তাকে সেখান থেকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০ মে জসিম উদ্দিন সেখানে মরা যায়। ওই দিন গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়। পরবর্তিতে চিকিৎসা সংক্রান্ত সনদ পর্যালোচনা করে দেখা যায় জসিম উদ্দিন মিথানল জাতীয় এলকোহল পান করে মারা যায়। এ ঘটনার ১৯ মে জসিম উদ্দিনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার বাদী হয়ে শরীফ হোসেন মজুমদারসহ ৭ জনকে এজহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৫/৬ জনকে বিবাদী করে আমলী আদালত কচুয়া চাঁদপুরে একটি মামলা দায়ের করে।
নিহতের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার জানান, আমার স্বামী ঢাকায় থাকতেন। ঈদের ছুটিতে বাড়িতে আসেন। আমার স্বামী মারা যাওয়ায় আমি আমার ৩ সন্তান নিয়ে একা হয়ে পড়েছি। স্বামীর মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানান তিনি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহআলম নিহতের ভাই খোরশেদ আলম পাটওয়ারী সহ এলাকাবাসী জসিম উদ্দীনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান।
কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদিন জানান, আদালতের নির্দেশে জসিম উদ্দিনের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করি। লাশ উত্তোলন শেষে ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুরের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।