ঢাকা ১০:০৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কেতুয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্মাণকাজ, ব্যাপক অনিয়ম

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে কাজ হস্তান্তর করা নিয়ে ও ঠিকাদার গড়িমসি করছেন। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, সরকারের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে চাঁদপুর হাইমচরের উন্নয়নের রুপকার, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি ২০২০ সালে চাঁদপুরে ৬টি মাদ্রাসা ভবনের অনুমোদন এনে দেন।
৬টি ভবনের বাকী ৫টির কাজ ঠিকাদার  যথা সময়ে শেষ করে হস্তান্তর করেন, শুধু মাত্র কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার এখন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আরও এক বছরে ও কাজ হয়কিনা, তা নিয়ে ও সংসয় রয়েছে। গত বছর মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে মাদ্রাসা পরির্দশনে এসে তারা ও কাজের মান নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটি চাঁদপুরের টকবে ইন্টারন্যাশনাল ও এবিএসওএমই প্রতিষ্ঠান পান।
সরকারের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কাজের কার্যাদেশ তারিখ নির্ধারন হয়,২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তর করার জন্য সময় বেধেঁ দেন। কিন্তু নিদিষ্ট সময়ের প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও ঠিকাদার কাজটি এখনো শেষ করেনি, কাজটি ঠিকাদার শেষ না করে এখনো  গড়িমসি করছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ভবনের জন্য সরকারের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর  থেকে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯ শত ৬১ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেন।
চারতলা ভিত বিশিষ্ট মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের  কাজ শেষ না করে ঠিকাদার এখনো গড়িমসি করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সমুক্ষিন হতে হচ্ছে। অসন্তুষ্ট রয়েছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন। সরকার যেখানে শিক্ষা বিস্তারের জন্য বহুতল ভবন করে শিক্ষার প্রসার করাচ্ছেন, সেখানে কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা ভবনটির কাজ অসমাপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা মনপ্রান খুলে লেখাপড়া ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে ঠিকাদার কাজ না করে নিজের মনগড়া মত কাজ করছেন, এখন এর দায়ভার নিবে কে? ভবনটির বর্তমানে এলোমেলো থাকার কারনে আশপাশের শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠান মুখি হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসার ভবনের দরজার জন্য যে চোকাট আনা হয়েছে, তাও নিম্নমানের, ছাড়া ও ভবনে নিম্নমানের ইট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামনের কাজগুলো সঠিক ভাবে করার জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন।
মাদ্রাসার সুপার এইচ এম হেলাল উদ্দিন জানান,  মাদ্রাসার ভবন নির্মানের সময় সীমা শেষ হয়েছে, ঠিকাদার এখনো কাজ শেষ করা নিয়ে তামাশা করছে। বার বার বলার পর ও ঠিকাদার দ্রুত কাজ না করে গড়িমসি অব্যাহত রাখছে। আমরা এখন ঠিকাদারের কাছে জিম্বি হয়ে পড়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করে ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য উদ্বতন কর্তৃপক্ষের আমি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে  ঠিকাদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সরজমিনে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে তার প্রতিনিধি দরজার চোকাট নিম্নমানের আনা হয়েছে স্বীকার করেন।
ট্যাগস :

চাঁদপুরে ছাত্রদের ওপর হামলাকারী নাজির এখন প্যানেল চেয়ারম্যান

সময় পেরিয়ে গেলেও শেষ হয়নি কেতুয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্মাণকাজ, ব্যাপক অনিয়ম

আপডেট সময় : ১১:০১:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ মে ২০২২
স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার নির্মান কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
নির্দিষ্ট সময়ে কাজ হস্তান্তর করা নিয়ে ও ঠিকাদার গড়িমসি করছেন। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের কর্মরত শিক্ষক ও এলাকাবাসীর মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানা যায়, সরকারের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর থেকে চাঁদপুর হাইমচরের উন্নয়নের রুপকার, শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি ২০২০ সালে চাঁদপুরে ৬টি মাদ্রাসা ভবনের অনুমোদন এনে দেন।
৬টি ভবনের বাকী ৫টির কাজ ঠিকাদার  যথা সময়ে শেষ করে হস্তান্তর করেন, শুধু মাত্র কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসার এখন কাজ অসমাপ্ত রয়েছে। আরও এক বছরে ও কাজ হয়কিনা, তা নিয়ে ও সংসয় রয়েছে। গত বছর মাদ্রাসা অধিদপ্তর থেকে মাদ্রাসা পরির্দশনে এসে তারা ও কাজের মান নিয়ে অসন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন। টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজটি চাঁদপুরের টকবে ইন্টারন্যাশনাল ও এবিএসওএমই প্রতিষ্ঠান পান।
সরকারের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর কাজের কার্যাদেশ তারিখ নির্ধারন হয়,২০২০ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী ১৮ মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে ভবন হস্তান্তর করার জন্য সময় বেধেঁ দেন। কিন্তু নিদিষ্ট সময়ের প্রায় ১ বছর অতিবাহিত হওয়ার পরও ঠিকাদার কাজটি এখনো শেষ করেনি, কাজটি ঠিকাদার শেষ না করে এখনো  গড়িমসি করছে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করছে। ভবনের জন্য সরকারের শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তর  থেকে ২ কোটি ৯৩ লাখ ৪৪ হাজার ৯ শত ৬১ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেন।
চারতলা ভিত বিশিষ্ট মাদ্রাসার একাডেমিক ভবনের  কাজ শেষ না করে ঠিকাদার এখনো গড়িমসি করায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া করতে মারাত্মক প্রতিবন্ধকতার সমুক্ষিন হতে হচ্ছে। অসন্তুষ্ট রয়েছেন এলাকাবাসী ও অভিভাবকগন। সরকার যেখানে শিক্ষা বিস্তারের জন্য বহুতল ভবন করে শিক্ষার প্রসার করাচ্ছেন, সেখানে কেতুয়া ইসলামীয়া দাখিল মাদ্রাসা ভবনটির কাজ অসমাপ্ত থাকায় শিক্ষার্থীরা মনপ্রান খুলে লেখাপড়া ও বিনোদন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সরকারের বেঁধে দেওয়া সময়ে ঠিকাদার কাজ না করে নিজের মনগড়া মত কাজ করছেন, এখন এর দায়ভার নিবে কে? ভবনটির বর্তমানে এলোমেলো থাকার কারনে আশপাশের শিক্ষার্থীরা অন্য প্রতিষ্ঠান মুখি হচ্ছে।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাদ্রাসার ভবনের দরজার জন্য যে চোকাট আনা হয়েছে, তাও নিম্নমানের, ছাড়া ও ভবনে নিম্নমানের ইট দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সামনের কাজগুলো সঠিক ভাবে করার জন্য এলাকাবাসী দাবি জানিয়েছেন।
মাদ্রাসার সুপার এইচ এম হেলাল উদ্দিন জানান,  মাদ্রাসার ভবন নির্মানের সময় সীমা শেষ হয়েছে, ঠিকাদার এখনো কাজ শেষ করা নিয়ে তামাশা করছে। বার বার বলার পর ও ঠিকাদার দ্রুত কাজ না করে গড়িমসি অব্যাহত রাখছে। আমরা এখন ঠিকাদারের কাছে জিম্বি হয়ে পড়েছে। দ্রুত কাজ শেষ করে ভবনটি হস্তান্তর করার জন্য উদ্বতন কর্তৃপক্ষের আমি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এ বিষয়ে  ঠিকাদারের বক্তব্য নেওয়ার জন্য সরজমিনে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে তার প্রতিনিধি দরজার চোকাট নিম্নমানের আনা হয়েছে স্বীকার করেন।