ঢাকা ০২:১২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৯ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাম্পার ফলনে মরিচ চাষীদের মুখে হাসি

মনিরুল ইসলাম মনির : চাঁদপুরে এ বছর কৃষকের যে পরিমাণ মরিচ উৎপাদনের ধারণা ছিল তার চাইতে বেশি পরিমাণ কৃষি জমিতে মরিচের চাষাবাদ করায় এর উৎপাদন ভালো হয়েছে। এতে করে অতিমাত্রায় মরিচের এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। চাঁদপুর কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪২০ মেট্টিকটন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর। এবার উৎপাদন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ মরিচ উৎপাদন হয়েছে।

Model Hospital

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণের দেয়া তথ্য মতে, উৎপাদন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জানা যায়। জেলার সব উপজেলার মধ্যে সদর, হাইমচর ও মতলবের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক হারে মরিচ আবাদ হয়েছে। চাঁদপুরে নদীবিধৌত, আবহাওয়ার অনুকূলে পরিবেশ, পরিবহনে সুবিধা, কৃষকদের মরিচ চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের ভালো পরামর্শ, ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাষিরা মরিচ চাষে আগ্রহী বলে জানিয়েছে চাঁদপুর কৃষি বিভাগ।

বিশেষ করে নদীর পশ্চিমপাড়ের চরাঞ্চলগুলোতে এ বছর বিগত বছরের তুলনায় অধিক ও ব্যাপক পরিমাণ মরিচ উৎপাদন হওয়ায় কৃষান ও কৃষানিদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দের বন্যা বইতে দেখা গেছে।

খামারবাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে জানা গেছে, সদরে চাষাবাদ ২১০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৭৮ মেট্টিকটন, মতলব উত্তরে চাষাবাদ ৫২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৯৩৬ মেট্টিকটন, মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৬২ মেট্টিকটন । হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৯০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৬২ মেট্টিকটন, শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩৬ মেট্টিকটন, কচুয়া চাষাবাদ ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৮৭ মে. টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৪৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ৮১ মেট্টিকটন এবং হাইমচরে চাষাবাদ ৮৮০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১ হাজার ৫৮৪ মেট্টিকটন।

মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের কৃষক ইব্রাহিম গাজী জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচের অনেকগুণ ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন। উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের চরওমেদের কৃষক আলাউদ্দিন বেপারী, রায়হান’সহ কয়েকজন জানান, চরাঞ্চলে এবার মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় তারা আনন্দিত। বর্তমানে দ্রুত ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষান ও কৃষানিরা।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, সব উপজেলার মধ্যে সদর, নদীর পশ্চিমে হাইমচর ও মতলব উত্তরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক হারে মরিচ আবাদ হয়েছে। আমরা সময়মতো কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এবছর ৩ হাজার ৪২০ মেট্টিকটন মরিচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর।

ট্যাগস :

চাঁদপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আলোচনা সভা

বাম্পার ফলনে মরিচ চাষীদের মুখে হাসি

আপডেট সময় : ০৪:২৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ মে ২০২২

মনিরুল ইসলাম মনির : চাঁদপুরে এ বছর কৃষকের যে পরিমাণ মরিচ উৎপাদনের ধারণা ছিল তার চাইতে বেশি পরিমাণ কৃষি জমিতে মরিচের চাষাবাদ করায় এর উৎপাদন ভালো হয়েছে। এতে করে অতিমাত্রায় মরিচের এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাই এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে আনন্দের হাসি ফুটেছে। চাঁদপুর কৃষি বিভাগ থেকে জানা গেছে, এ বছর উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ৪২০ মেট্টিকটন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর। এবার উৎপাদন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে অধিক পরিমাণ মরিচ উৎপাদন হয়েছে।

Model Hospital

চাঁদপুর কৃষি সম্প্রসারণের দেয়া তথ্য মতে, উৎপাদন ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা সম্পর্কে জানা যায়। জেলার সব উপজেলার মধ্যে সদর, হাইমচর ও মতলবের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক হারে মরিচ আবাদ হয়েছে। চাঁদপুরে নদীবিধৌত, আবহাওয়ার অনুকূলে পরিবেশ, পরিবহনে সুবিধা, কৃষকদের মরিচ চাষে আগ্রহ, কৃষি বিভাগের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রযুক্তি প্রদান, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নত, কৃষি উপকরণ পেতে সহজলভ্যতা, বীজ, সার ও কীটনাশক ব্যবহারে কৃষিবিদদের ভালো পরামর্শ, ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে কৃষিঋণ প্রদান ইত্যাদি কারণে চাষিরা মরিচ চাষে আগ্রহী বলে জানিয়েছে চাঁদপুর কৃষি বিভাগ।

বিশেষ করে নদীর পশ্চিমপাড়ের চরাঞ্চলগুলোতে এ বছর বিগত বছরের তুলনায় অধিক ও ব্যাপক পরিমাণ মরিচ উৎপাদন হওয়ায় কৃষান ও কৃষানিদের মধ্যে ব্যাপক আনন্দের বন্যা বইতে দেখা গেছে।

খামারবাড়ি চাঁদপুরের সূত্র মতে জানা গেছে, সদরে চাষাবাদ ২১০ হেক্টর এবং উৎপাদন হয়েছে ৩৭৮ মেট্টিকটন, মতলব উত্তরে চাষাবাদ ৫২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৯৩৬ মেট্টিকটন, মতলব দক্ষিণে চাষাবাদ ৭০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৬২ মেট্টিকটন । হাজীগঞ্জে চাষাবাদ ৯০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৬২ মেট্টিকটন, শাহরাস্তিতে চাষাবাদ ২০ হেক্টর এবং উৎপাদন ৩৬ মেট্টিকটন, কচুয়া চাষাবাদ ৬৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ১৮৭ মে. টন। ফরিদগঞ্জে চাষাবাদ ৪৫ হেক্টর এবং উৎপাদন ৮১ মেট্টিকটন এবং হাইমচরে চাষাবাদ ৮৮০ হেক্টর এবং উৎপাদন ১ হাজার ৫৮৪ মেট্টিকটন।

মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নের কৃষক ইব্রাহিম গাজী জানান, বিগত বছরের তুলনায় এ বছর মরিচের অনেকগুণ ভালো ফলন হয়েছে। কৃষি অফিস থেকে পরামর্শ নিয়ে কাজ করেছেন। উপজেলার জহিরাবাদ ইউনিয়নের চরওমেদের কৃষক আলাউদ্দিন বেপারী, রায়হান’সহ কয়েকজন জানান, চরাঞ্চলে এবার মরিচের ফলন ভালো হওয়ায় তারা আনন্দিত। বর্তমানে দ্রুত ক্ষেত থেকে মরিচ তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষান ও কৃষানিরা।

চাঁদপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বলেন, সব উপজেলার মধ্যে সদর, নদীর পশ্চিমে হাইমচর ও মতলব উত্তরের চরাঞ্চলগুলোতে ব্যাপক হারে মরিচ আবাদ হয়েছে। আমরা সময়মতো কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করেছি। এবছর ৩ হাজার ৪২০ মেট্টিকটন মরিচ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ও চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ হাজার ৯০০ হেক্টর।