ঢাকা ১০:৫৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হাইমচর চেয়ারম্যান বাজার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই ভরসা শিক্ষার্থীদের

মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচর উপজেলার চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন ঝুকিপূর্ণ সাঁকো, আতঙ্কে অর্ধ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। সাঁকোতে রয়েছে ২টি ওয়ার্ডের প্রায় ২ সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াত। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু, কিশোর, বয়োবৃদ্ধ সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মানুষজন ঝুকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। এ সাঁকো ব্যবহারে জনজীবনে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
জানা যায়, এ সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে ও আচমকাই সাঁকো থেকে পড়ে ৫ শিশু এবং বয়োবৃদ্ধ আহত হয়েছে। সে ঘটনায় স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকোটি কিছুটা মেরামত করলেও কিঞ্চিৎ পরিমাণ ঝুঁকিও কমেনি সাঁকোর। জীবনের মায়ায় খালে থাকা কোমর পরিমাণ পানি উপেক্ষা করে হেঁটে পার হচ্ছেন অনেকেই। তাদের স্বাভাবিক চলাচলের সুবিধার্থে সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে চরাঞ্চলবাসীর জীবনযাত্রা সহজতর হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীল কমল ইউনিয়নের সিকদার ট্যাগ ট্রলার ঘাট থেকে চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খালের উপর সাঁকো থাকায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত যাতায়াত সম্ভব হয়না। শিক্ষার্থীরা সাঁকোর পাড়ে নেমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। শিশু ও বয়োবৃদ্ধ সহ অনেকেই হাঁটু সমান পানি কিংবা কোমর পরিমাণ পানি উপেক্ষা করে খাল পার হচ্ছেন। এভাবেই জীবনযুদ্ধে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডবাসীর। সাঁকো পার হয়ে ৩৯ নং দক্ষিণ নীল কমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনের দাবি সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে জনদূর্ভোগ লাগব করে চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়ার।
৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আবদুল ওয়াহিদ সিকদার জানান, চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খালের উপর এ সাঁকোটি আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। বারংবার শুনে আসছি শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও ব্রিজ, কালভার্ট কিংবা কাঠের সাঁকোর ব্যবস্থা হয়নি আজও। তাই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা সহ কার্যকর প্রদক্ষেপ নিতে বিনীত অনুরোধ করছি।
৩৯নং দক্ষিণ নীল কমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী জানান, আমাদের স্কুলে সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসে। সর্বদাই আতঙ্কে থাকতে হয় কখন কার হতাহতের সংবাদ আসে। চলতি বছর আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছে।
তাই, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খালের উপর সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির সুদৃষ্টি কামনা করছি।
৪নং নীল কমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সউদ আল নাছের বলেন, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী সংযোগস্থলে চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন সাঁকোটি শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে দুটি ওয়ার্ডের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজতর ও উন্নত হবে। তাই ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর যায়গায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করে শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধসহ সকলের চলাচল স্বাভাবিক করতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।
ট্যাগস :

মাজারে হামলা ডিসিদের ব্যবস্থা নেওয়ার-নির্দেশ

হাইমচর চেয়ারম্যান বাজার ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোই ভরসা শিক্ষার্থীদের

আপডেট সময় : ০৭:১৫:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২
মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচর উপজেলার চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন ঝুকিপূর্ণ সাঁকো, আতঙ্কে অর্ধ সহস্রাধিক শিক্ষার্থী। সাঁকোতে রয়েছে ২টি ওয়ার্ডের প্রায় ২ সহস্রাধিক মানুষের যাতায়াত। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিশু, কিশোর, বয়োবৃদ্ধ সহ বিভিন্ন স্থান থেকে আগত মানুষজন ঝুকিপূর্ণ এ সাঁকো পার হয়ে গন্তব্যে যেতে হয়। এ সাঁকো ব্যবহারে জনজীবনে পোহাতে হচ্ছে চরম ভোগান্তি।
জানা যায়, এ সাঁকো পার হতে গিয়ে পা পিছলে ও আচমকাই সাঁকো থেকে পড়ে ৫ শিশু এবং বয়োবৃদ্ধ আহত হয়েছে। সে ঘটনায় স্থানীয়রা বাঁশের সাঁকোটি কিছুটা মেরামত করলেও কিঞ্চিৎ পরিমাণ ঝুঁকিও কমেনি সাঁকোর। জীবনের মায়ায় খালে থাকা কোমর পরিমাণ পানি উপেক্ষা করে হেঁটে পার হচ্ছেন অনেকেই। তাদের স্বাভাবিক চলাচলের সুবিধার্থে সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে চরাঞ্চলবাসীর জীবনযাত্রা সহজতর হবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, নীল কমল ইউনিয়নের সিকদার ট্যাগ ট্রলার ঘাট থেকে চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খালের উপর সাঁকো থাকায় দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যন্ত যাতায়াত সম্ভব হয়না। শিক্ষার্থীরা সাঁকোর পাড়ে নেমে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁকো পার হয়ে স্কুলে যাতায়াতে চরম ভোগান্তির স্বীকার হচ্ছে। শিশু ও বয়োবৃদ্ধ সহ অনেকেই হাঁটু সমান পানি কিংবা কোমর পরিমাণ পানি উপেক্ষা করে খাল পার হচ্ছেন। এভাবেই জীবনযুদ্ধে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে ইউনিয়নের ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডবাসীর। সাঁকো পার হয়ে ৩৯ নং দক্ষিণ নীল কমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকগনের দাবি সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ নির্মাণ করে জনদূর্ভোগ লাগব করে চলাচল স্বাভাবিক করে দেওয়ার।
৫নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ভুক্তভোগী আবদুল ওয়াহিদ সিকদার জানান, চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খালের উপর এ সাঁকোটি আমাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা। বারংবার শুনে আসছি শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে। কিন্তু বছরের পর বছর পার হলেও ব্রিজ, কালভার্ট কিংবা কাঠের সাঁকোর ব্যবস্থা হয়নি আজও। তাই এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণে যথাযথ কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা সহ কার্যকর প্রদক্ষেপ নিতে বিনীত অনুরোধ করছি।
৩৯নং দক্ষিণ নীল কমল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লিয়াকত আলী জানান, আমাদের স্কুলে সাড়ে ৩শ’ শিক্ষার্থী রয়েছে। অধিকাংশ শিক্ষার্থী এ সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসতে হয়। ঝুঁকি নিয়ে আমাদের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা এ সাঁকো পার হয়ে স্কুলে আসে। সর্বদাই আতঙ্কে থাকতে হয় কখন কার হতাহতের সংবাদ আসে। চলতি বছর আমাদের কয়েকজন শিক্ষার্থী এ সাঁকো থেকে পড়ে আহত হয়েছে।
তাই, শিক্ষার্থীদের স্বার্থে চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন খালের উপর সাঁকোর পরিবর্তে একটি ব্রিজ নির্মাণ করার জন্য মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনির সুদৃষ্টি কামনা করছি।
৪নং নীল কমল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সউদ আল নাছের বলেন, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মধ্যবর্তী সংযোগস্থলে চেয়ারম্যান বাজার সংলগ্ন সাঁকোটি শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধদের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেখানে একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হলে দুটি ওয়ার্ডের যাতায়াত ব্যবস্থা আরও সহজতর ও উন্নত হবে। তাই ঝুকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকোর যায়গায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করে শিক্ষার্থী ও বয়োবৃদ্ধসহ সকলের চলাচল স্বাভাবিক করতে মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।