ঢাকা ০৫:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কচুয়ায় পলিটেকনিনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০; পুলিশ মোতায়েন

মোঃ রাছেল : চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (কচুয়া) ছাত্রলীগের কমিটি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

Model Hospital

আহতরা হচ্ছেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম (৩২), ছাত্রলীগ নেতা মো. তুহিন (২৩), যুবলীগ কর্মী গাজী রবিউল আউয়াল (২২), চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ নেতা শেখ সজিব (২০), নূর মোহাম্মদ (২৩), শাওন (১৮) মো. মহিউদ্দিন (১৮), মেহেদী হাসান (১৮), শাহাদাত হোসেন (২০)। আহতরা কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে তুহিন ও রবিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

আহত ছাত্রলীগ কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের একাংশের নেতা মো. তুহিন ও শাকিলের নেতৃত্বে একটি মিছিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিসের সামনে এসে উশৃংখল বক্তব্য দিলে উক্ত স্থানে পূর্বে থেকে অবস্থান নেওয়ার চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের সাথে বাগবিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. আবুল কালাম চৌধুরী ও কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দাবি করেন, আমাদের মিছিলটি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিসের সামনে আসলে ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মিছিলের উপর হামলা করা হয়।

ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা শেখ সজিব ও পৌর ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম দাবি করেন, কথিত ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কচুয়ার সিনিয়র নেতাদের নামে উশৃংখল বক্তব্য প্রদান করে এবং ঘটনার স্থলে অবস্থান নেওয়া আমাদের ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা করে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। তাদেরকে নিভৃত করার সময় আমিও হাতে ব্যথা পাই।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, চাঁদপুর পলিটেকনিক ছাত্রলীগের কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রলীগের দু’প্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে কচুয়া বিশ^রোড এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শাহরাস্তিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সমবেদনা জানান জামায়াতে ইসলামীর নেতৃবৃন্দ

কচুয়ায় পলিটেকনিনে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে আহত-১০; পুলিশ মোতায়েন

আপডেট সময় : ০৬:৫২:১০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ মে ২০২২

মোঃ রাছেল : চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট (কচুয়া) ছাত্রলীগের কমিটি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানসহ উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

Model Hospital

আহতরা হচ্ছেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলম (৩২), ছাত্রলীগ নেতা মো. তুহিন (২৩), যুবলীগ কর্মী গাজী রবিউল আউয়াল (২২), চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগ নেতা শেখ সজিব (২০), নূর মোহাম্মদ (২৩), শাওন (১৮) মো. মহিউদ্দিন (১৮), মেহেদী হাসান (১৮), শাহাদাত হোসেন (২০)। আহতরা কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। আহতদের মধ্যে তুহিন ও রবিউলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।

আহত ছাত্রলীগ কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের একাংশের নেতা মো. তুহিন ও শাকিলের নেতৃত্বে একটি মিছিল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট থেকে কচুয়া বিশ্বরোড এলাকায় উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিসের সামনে এসে উশৃংখল বক্তব্য দিলে উক্ত স্থানে পূর্বে থেকে অবস্থান নেওয়ার চাঁদপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের সাথে বাগবিতান্ডায় জড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়।

খবর পেয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। পরে সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (কচুয়া সার্কেল) মো. আবুল কালাম চৌধুরী ও কচুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোতাছেম বিল্যাহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।

সংঘর্ষে আহত ছাত্রলীগ নেতা তুহিন দাবি করেন, আমাদের মিছিলটি উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের অফিসের সামনে আসলে ভাইস চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে মিছিলের উপর হামলা করা হয়।

ছাত্রলীগের প্রতিপক্ষ গ্রুপের নেতা শেখ সজিব ও পৌর ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম দাবি করেন, কথিত ছাত্রলীগের একটি মিছিল থেকে কচুয়ার সিনিয়র নেতাদের নামে উশৃংখল বক্তব্য প্রদান করে এবং ঘটনার স্থলে অবস্থান নেওয়া আমাদের ছাত্রলীগ কর্মীদের উপর হামলা করে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুব আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকর্মীদের বলেন, ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয় পক্ষকে শান্ত করার চেষ্টা করি। তাদেরকে নিভৃত করার সময় আমিও হাতে ব্যথা পাই।

কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দিন বলেন, চাঁদপুর পলিটেকনিক ছাত্রলীগের কমিটি সংক্রান্ত বিষয়ে ছাত্রলীগের দু’প্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করি। আইন-শৃংখলা রক্ষার্থে ঘটনাস্থলে অতিরিক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগপ্রাপ্তি সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংঘর্ষের ঘটনার পর থেকে কচুয়া বিশ^রোড এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।