নিজস্ব প্রতিনিধি : ঈদ ঘিরে সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে চলছে উৎসবের আমেজ। তবে উচ্চ ও মধ্যবৃত্তের মানুষ পছন্দ অনুযায়ী পোশাক ও খাদ্যসামগ্রী ক্রয় করতে পারলেও দরিদ্র ও অসহায় মানুষের ভরসা বৃত্তশালীদের দেওয়া শাড়ী কাপড় (যাকাতের কাপড়) সহ খাদ্যসামগ্রী। যাকাত বিতরণে রয়েছে ধর্মীয় সুনির্দিষ্ট রীতি। তবে তা মানছেন না অধিকাংশ বৃত্তশালী।
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে অতীতের মতো এবারের ঈদেও ধর্ণাঢ্য বিভিন্ন ব্যক্তির পক্ষ থেকে উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে। তবে নিম্নমানের কাপড় বিতরণ নিয়ে রয়েছে নানা প্রশ্ন। এছাড়া নামে মাত্র খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করতে অসহায়-দরিদ্র মানুষদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা রোদের মধ্যে দাঁড় করিয়ে রাখতে একপ্রকার বাধ্য করা হচ্ছে।
১ মে রবিবার দুপুরে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ডে উপজেলা বিএনপির সমন্বয়ক শিল্পপতি এম এ হান্নানের পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত সামগ্রীর মধ্যে ছিলো বাংলা কুলসন সেমাই ২ প্যাকেট ( প্রতি প্যাকেট ২৫-৩০ টাকা), চিনি ১ কেজি (৮০ টাকা), তরল দুধ (প্রাণ) আধাকেজি(৩৮)। বিতরণকৃত সামগ্রীর মোট দাম ১৬৮ টাকা। পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে সর্বমোট ১ হাজার জনকে এ উপহার প্রদান করা হয় নিশ্চিত করেছেন বিএনপির এক নেতা। এদিকে উপহার নেওয়ার জন্য সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা হয় হতদরিদ্র শ্রমজীবি এসব অসহায় মানুষদের। এনিয়ে ক্ষোভ ও হাতাশা প্রকাশ করেন উপহার নিতে আসা ব্যক্তিরা। এই ঈদ উপহার বিতরণের সময় বিএনপির বিভিন্ন স্তরের প্রায় অর্ধশত নেতা-কর্মী উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি নেতারাও ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এ কেমন ঈদ উপহার? শিল্পপতি এম এ হান্নানের পক্ষ থেকে দেওয়া উপহারতো আগে এমন ছিলো না! এ কেমন ঈদ উপহার?
এ বিষয়ে পৌর যুবদলের সভাপতি ইমাম হোসেন পাটোওয়ারী বলেন, ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য পৌর এলাকায় ১ হাজার ও উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে একইভাবে আরও ৩ হাজার জনকে এ উপহার প্রদান করা হয়েছে। এখানে পরিমানের বিষয়টি মূখ্য নয়। এনিয়ে সংবাদ না করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য শিল্পপতি এম এ হান্নানের মোবাইলে একাধীকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি।