এস এম ইকবাল : চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে সম্পত্তিগতগত বিরোধের জেরধরে সন্ত্রাসী হামলা করে রান্না ঘর ভাংচুর করে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হামলায় প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে ২ জন আহত হয়েছে। এ বিষয়ে মো. মুসা মিয়া ফরিদগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, উপজেলার রুপসা উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিন বদরপুর এলাকার আমিরুদ্দিন বাড়ির মৃত আঃ জলিল মিয়ার ছেলে মোঃ মুছা মিয়া (৪১) তার বসত ঘর সংলগ্ন পৈত্রিক সম্পত্তিতে রান্না ঘর ও টিউবওয়েল বসিয়ে তা ব্যবহার করে আসছিল।
২৯ এপ্রিল শুক্রবার সকালে একই বাড়ির মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে লোকমান হোসেন (৬০), লোকমান হোসেনের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৩), মৃত- খলিলুর রহমানের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৫০), লোকমান হোসেনের স্ত্রী মুরশিদা বেগম (৪৫) তাদের সম্পত্তি দাবী করে জোর পূর্বক বহিরাগত কয়েকজন সন্ত্রাসী মিলে রান্না ঘর ও টিউবওয়েল ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ সময় বাঁধা দিতে গেলে মৃত- আঃ জলিলের স্ত্রী ফুল বানু (৬০), মেয়ে তাহেরা বেগম (২৮) গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাহেরা বেগমকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করায়। বর্তমানে তাহেরা বেগম হাসপাতালে চিকিৎসা অবস্থায় রয়েছেন এবং ফুল বানুকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়িতে অবস্থান করছেন।
এ বিষয়ে মো মুসা মিয়া বলেন, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে রান্না ঘর নির্মান ও টিউবওয়েল বসিয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু লোকমান গংরা তাদের সম্পত্তি দাবী করে বহিরাগত সন্ত্রাসীসহ আমাদের রান্না ঘর ও টিউবওয়েল ভাংচুর করে নিয়ে যায়। এ সময় আমরা বাঁধা দিতে গেলে তারা আমার মা এবং বোনকে আহত করে। এ ঘটনায় আমি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি এবং সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি।
এ বিষয়ে লোকমান হোসেন বলেন, মুছারা নিজেদের ঘর ভেংঙ্গে আমাদের উপর দোষ দিচ্ছে। এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান, শুক্রবারে আমাদের এই জায়গা নিয়ে স্থানীয় ভাবে বৈঠকের কথা ছিল। মুছা ও তার ভাই না বসায় এই ঘটনা ঘটেছে।
এদিকে গতকাল রাতে লোকমানদের পাকঘর ও খেরের পারায় আগুনের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকান্ডের ঘটনায় থানয় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে লোকমান। তবে স্থানীয়রা অগ্নিকান্ডের ঘটনাটি রহস্যজনক বলে মনে করছেন।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ শহীদ হোসেন জানান, উক্ত ঘটনায় উভয় পক্ষ পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।