ঢাকা ১০:৪৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তিতে ক্রেতা সমাগমে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

রাফিউ হাসান : চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কেনা কাটায় মুখরিত আজ মার্কেট পাড়ায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার বিভিন্ন ফুটপাত ও বিপণি-বিতানগুলোতে ততই ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দমতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। এই ঈদে দোকানিরা ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি ও দেশী পণ্যের  ইত্যাদি ডিজাইনের পোশাক এনেছেন। এ সব ডিজাইনের কাপড় রকম ভেদে ১ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আবার টেইলার্সের দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। এক সপ্তাহ আগেই থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন টেইলার্স মালিকরা।
উপজেলার শাহরাস্তি প্লাজায় ঈদবাজার করতে আসা মিতু বেগম জানান, গত দুই ঈদে করোনার জন্য ঠিক মতো ঈদ শপিং করতে পারি নি। এবার নিজের ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে পেরে আমি খুশী। তবে দাম তূলণামূলকভাবে একটু বেশি৷
সেখানে আরেক ক্রেতা আশরাফ মিয়া জানান, দাম তূলনামূলক বেশি হলেও পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী কিছু কিনে সামাল দিচ্ছি। তাছাড়া পরিবারের সকলের চাহিদা মিটাতে গিয়ে নিজের জন্যই কিছু কিনতে না পারলেও ঈদ আনন্দ মাটি করতে দেয়া যাবে না।
শাহরাস্তি প্লাজার ইউনিক কালেকশনের স্বত্ত্বাধিকারী মায়াজ জানান, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। এ দোকানে মেয়ে, ছেলে ও শিশু সব বয়সের লোকদের জন্যই কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। ডিজাইন ও রকম ভেদে কাপড়গুলোর ৬০০ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা অনেক ভালো হবে।
উপজেলার কালীবাড়ি বাজারের বিসমিল্লাহ ভ্যারাইটিজ স্টোরের সত্ত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন জানান, করোনার কারণে দুই বছর ঈদে কেনাবেচা তেমন হয়নি। কিন্তু এবার রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি বেড়েছে। আশা করছি, এই ঈদে বেচা-বিক্রি অনেক ভালো হবে।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান জানান, বর্তমান উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভাল। আমরা জনগণের জান-মাল রক্ষার জন্য সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন বিপণি-বিতান দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে।
ট্যাগস :

মাজারে হামলা ডিসিদের ব্যবস্থা নেওয়ার-নির্দেশ

শাহরাস্তিতে ক্রেতা সমাগমে জমে উঠেছে ঈদ বাজার

আপডেট সময় : ০৪:০০:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ এপ্রিল ২০২২
রাফিউ হাসান : চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তিতে ঈদকে সামনে রেখে জমে উঠেছে ঈদ বাজার। সকল শ্রেণী পেশার মানুষের কেনা কাটায় মুখরিত আজ মার্কেট পাড়ায়। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে উপজেলার বিভিন্ন ফুটপাত ও বিপণি-বিতানগুলোতে ততই ভিড় বাড়ছে। ক্রেতারা পছন্দমতো পোশাক কিনতে এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন। এই ঈদে দোকানিরা ইন্ডিয়ান, পাকিস্তানি ও দেশী পণ্যের  ইত্যাদি ডিজাইনের পোশাক এনেছেন। এ সব ডিজাইনের কাপড় রকম ভেদে ১ হাজার থেকে সাড়ে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। আবার টেইলার্সের দোকানেও প্রচুর ভিড় লক্ষ করা গেছে। এক সপ্তাহ আগেই থেকে কাপড় বানানোর অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন টেইলার্স মালিকরা।
উপজেলার শাহরাস্তি প্লাজায় ঈদবাজার করতে আসা মিতু বেগম জানান, গত দুই ঈদে করোনার জন্য ঠিক মতো ঈদ শপিং করতে পারি নি। এবার নিজের ও আত্মীয়স্বজনদের জন্য ঈদের কেনাকাটা করতে পেরে আমি খুশী। তবে দাম তূলণামূলকভাবে একটু বেশি৷
সেখানে আরেক ক্রেতা আশরাফ মিয়া জানান, দাম তূলনামূলক বেশি হলেও পরিবারের চাহিদা অনুযায়ী কিছু কিনে সামাল দিচ্ছি। তাছাড়া পরিবারের সকলের চাহিদা মিটাতে গিয়ে নিজের জন্যই কিছু কিনতে না পারলেও ঈদ আনন্দ মাটি করতে দেয়া যাবে না।
শাহরাস্তি প্লাজার ইউনিক কালেকশনের স্বত্ত্বাধিকারী মায়াজ জানান, ক্রেতারা নিত্য-নতুন ডিজাইনের পোশাক কিনছেন। এ দোকানে মেয়ে, ছেলে ও শিশু সব বয়সের লোকদের জন্যই কাপড় পাওয়া যাচ্ছে। ডিজাইন ও রকম ভেদে কাপড়গুলোর ৬০০ থেকে ৯ হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদের শেষ মুহূর্তে বেচাকেনা অনেক ভালো হবে।
উপজেলার কালীবাড়ি বাজারের বিসমিল্লাহ ভ্যারাইটিজ স্টোরের সত্ত্বাধিকারী গিয়াস উদ্দিন জানান, করোনার কারণে দুই বছর ঈদে কেনাবেচা তেমন হয়নি। কিন্তু এবার রমজানের শুরু থেকেই বিক্রি বেড়েছে। আশা করছি, এই ঈদে বেচা-বিক্রি অনেক ভালো হবে।
শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান জানান, বর্তমান উপজেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের চেয়ে অনেক ভাল। আমরা জনগণের জান-মাল রক্ষার জন্য সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টা করে যাচ্ছি। এই ঈদকে সামনে রেখে উপজেলার বিভিন্ন বিপণি-বিতান দোকান ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ সব সময় টহল দিচ্ছে।