নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুর সদর উপজেলার কল্যাণপুর ইউনিয়নের সফরমালি স্কুলের পুকুর ভরাট নিয়ে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বিশেষ বরাদ্দ সহ কাবিখার ৩টি প্রকল্পের প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা ভাগবাটোয়ারা করে নেওয়ার ঘটনা অবশেষে ফাঁস হয়েছে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল আজিজ খান দুদু ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ফরিদ খাঁন দুজনে মিলেই সফরমালি স্কুলের পুকুর ভরাটের কাজটি পায়। কাবিখা প্রকল্পের কাজের শুরুতেই ব্যাপক অনিয়ম করায় ইউনিয়ন যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে বাক-বিতণ্ডা সৃষ্টি হয়। এই কাজ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশী বৈঠক হয়।
সফরমালি স্কুলের পুকুর ভরাট ৩ ভারে আনুমানিক ১৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ পেয়েও সঠিকভাবে পুকুরটি ভরাট না করে সেই টাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করেন সরকার দলীয় নেতাকর্মীরা। কল্যাণপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামাল প্রধানিয়া মৃত্যুর পর যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ফরিদ খান বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাত করেছে। এছাড়া সে এলাকা রাম রাজত্ব কায়েম করেছে বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
এ বিষয়ে কল্যাণপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটোয়ারী জানান, সফলমালি স্কুলের পুকুর ভরাট করার নামে তিন দফায় কাবিখা মাধ্যমে চাল বরাদ্দ নিয়ে প্রায় ১৬ লক্ষ টাকা নিয়েছে। পুকুর ভরাটে মাত্র সাড়ে তিন লক্ষ টাকা ব্যয় করে বাকি টাকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজ খান দুধু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ খান তারা দুজনেই আত্মসাৎ করেছে।
প্রধানমন্ত্রী যে উদ্দেশ্য গ্রাম হবে শহর তা বাস্তবায়নে প্রকল্পের মাধ্যমে যে সকল কাজ করা হচ্ছে সেগুলো বাধাগ্রস্থ করতে কাজের শুরুতে দুর্নীতি করেছে। দুর্নীতিবাজ যে দলেরই হোক তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত রঙিন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজ খান দুধু ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফরিদ খানের মুঠোফোনে ফোন করলে তার রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। এদিকে সফরমালি স্কুলের পুকুর ভরাটে দুর্নীতি করে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করার ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানিয়ে এলাকাবাসী বিক্ষোভ করেন।