মনিরুল ইসলাম মনির : মতলব উত্তরে ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়েছে। ভুট্টার বাম্পার ফলন হওয়ায় চাষিরা খুশি, দামও ভালো, তাই খুশি চাষিরা।
মঙ্গলবার মতলব উত্তর উপজেলার তালতলি, ঘনিয়ারপাড়, দেওয়ানজীকান্দি, ওটারচর, খাগকান্দা, ডুবগি, গজরা, রুহিতার পাড়, সুজাতপুর, কলাকান্দা, হানিরপাড় এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা ভুট্টা কাটা ও মাড়াই কাজে ব্যস্ত।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রবি মৌসুমে উপজেলার ছেংগারচর পৌরসভা, চরাঞ্চল ও ১৪টি ইউনিয়নে ২ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। অধিক ফলনের আশায় কৃষকরা প্রচুর শ্রম দিয়েছেন। ফলনও হয়েছে ভালো। ফলে কৃষকের মুখে সোনালি হাসি। দাম ভালো হওয়ায় এবার খূশি চাষিরা।
এখনো বৃষ্টি ও ঝড়-তুফান না হওয়ায় কোন ধরণের সমস্যা হয়নি ভুট্টা চাষিদের। মানুষের খাদ্যের পাশাপাশি মাছ, হাঁস-মুরগী ও গো-খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ব্যবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এর চাহিদাও বেড়েছে অনেক বেশি। ভুট্টা গাছের পাতা সুষম গো-খাদ্য এবং কান্ড জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ফলে একদিকে যেমন কৃষক তার গবাদি পশু পালন ও জ্বালানি চাহিদা মেটাতে পারে অপরদিকে বাজারে ভুট্রার ব্যাপক চাহিদা থাকায় কৃষক এ ফসলে আগ্রহী হয়ে উঠছে। বিভিন্ন গ্রামে চলতি মৌসুমে এই ভুট্টা চাষ হয়েছে।
ছেঙ্গারচর পৌরসভার তালতলি গ্রামের ভুট্টা চাষি রফিকুল ইসলাম সরকার (৪৬) জানান, তিনি ৬৫ শতক জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। তার উৎপাদন হয়েছে ৬২ মণ। প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি করেছেন ১২০০ টাকা দরে। তিনি জানান, খরচ বাদ দিয়ে ভালো লাভ থেকেছে। ঘনিয়ারপাড় গ্রামের ভুট্টা চাষি রহিম উদ্দিন মোল্লা (৪৫) বলেন, তিনি ২৬০ শতক জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন। এতে তার ফলন হয়েছে ২৫০ মণ। প্রতি মণ ভুট্টা বিক্রি করেছেন ১১৫০ টাকা দরে।
তিনি বলেন বাম্পার ফলনে আমরা খুশি। ন্যায্য মূল্য পাওয়ায় উৎপাদন খরচ বাদে ভালো লাভবান হয়েছেন তিনি।
মতলব উত্তর উপজেলা উপ-সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মজিবুর রহমান জানান, রবি মৌসুমে মতলব উত্তর উপজেলায় এনকে-৪০, মিরাকেল, সুপার সাইন, টাইটান জাতের ভুট্টার আবাদ হয়েছে। পোকা-মাকড়ের তেমন আক্রমন হয়নি এ মৌসুমে।
মতলব উত্তর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোহাম্মদ সালা উদ্দিন বলেন, মতলব উত্তর উপজেলায় ১ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছে। তিনি জানান, রবি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্য মাত্রা ১৮ হাজার মেট্রিক টন।