নিজস্ব প্রতিনিধি : ফুটফুটে দুই পুত্র সন্তানের বাবা হলেন ওমান প্রবাসী ইয়াসীন। হাসপাতালে স্ত্রী আর নবাগত সন্তানদের খবরে বেজায় খুশি । নিজের ফেসবুক আইডিতে শেষ পোস্টটি ছিল আলহামদুলিল্লাহ। বাবা হবার দুইদিন পর বুধবার সন্ধ্যায় দেশে খবর আসে প্রবাসে থাকা সেই ইয়াছিন আর বেঁচে নেই।
প্রবাসী ইয়াছিন চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ পৌরসভার এনায়েতপুর নোয়াব আলী বাড়ীর মো. জহিরুল ইসলামের বড় ছেলে। ইয়াছিনের তিন বছর বয়সী এক কন্যা সন্তানও রয়েছে।
সরজমিনে ইয়াছিনের বাড়ীতে গেলে শোকাবহ পরিবারের কান্নায় প্রতিবেশিরা জড়ো হতে দেখা যায়। বাবা হাজী মো. জহিরুল ইসলাম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, তার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সেখান থেকে পাঠানো ছবিতে তার দেহে আঘাতের দাগ রয়েছে।
ইয়াছিনের মা বলেন, বুধবার দুপুরে ইয়াছিনের সাথে শেষ কথা হয়েছে।বৃহস্পতিবার ২২ কেজি মিষ্টি কিনে সবাইকে খাওয়ানোর কথা। গত সোমবার তার দুই পুত্রসন্তান হাজীগঞ্জ শাহমিরান হসপিটালে প্রসব হয় ।
তিনি আরো জানান, সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে মালিকের কাছে নালিশ করেছে সহকর্মীরা এমন তথ্য গত মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে তাকে জানান ইয়াছিন।
ওমানের সালালা শহরের সেলিম পুলিশ স্টেশনের পুলিশ হেফাজতে রয়েছে ইয়াছিনের মৃতদেহ। ৩/৪ দিন পর তার মৃতদেহ দেশে পাঠানো হবে বলে তার বাবাকে ইয়াছিনের মালিক নিশ্চিত করেন। ইয়াছিন ওমানের স্বতাঁত এলাকায় একটি বাসায় একা থাকতো। তবে লক্ষীপুরের আরো দুই প্রবাসী তার সাথে সেই কক্ষে নিয়মিত খাওয়া দাওয়া করতো।
ছুটিতে এসে গত ১ ফেব্রুয়ারী ইয়াছিন ওমানে পাড়ি দেয়। তার বাবা ওই শহরে ৩১ বছর ছিলেন। সেখানেই ছেলেকে নিয়ে গাড়ী চালানোর কাজ দেয় বাবা। ইয়াছিনের পরিবারে স্ত্রী, কন্যা ও দুই নবজাতক পুত্র সন্তান রয়েছে। এছাড়া মা-বাবা দুই বোন ও এক ছোট ভাইকে নিয়ে মোট নয়জনের সংসার। এই নয়জনের সংসারের একমাত্র প্রদীপটি নিভে গেলো কোন অদৃশ্য শত্রুর থাবায় ।
সেই তদন্ত কাজের কতটুকু অগ্রগতি হবে সেটি দেখার বিষয় পরিবারের।