সাইফুল ইসলাম সিফাত : নারী-পুরুষ প্রেমে পড়ে ঘর ছাড়ার ঘটনাতো অহরহ। কিন্তু মেয়ে মেয়ে প্রেমে পড়ে ঘর ছাড়ার ঘটনা কি করে সম্ভব? ভীনদেশে নয়, বাংলাদেশেই সম্ভব করতে চেয়েছেন সম্পর্কে তারা ভাবী-ননদ।

ভাবীর প্রেমে মজেছে অষ্টম শ্রেণীর ননদ। ভাবীও রাজি বিয়ে করতে। এক সন্তান রেখে স্বামীর ঘর ছেড়ে পালিয়েছে তারা। চাঁদপুর শহরে একটি বাসা ভাড়াও নেয় এই ভাবী-ননদ। অবিশ্বস্য এমন চাঞ্চল্যকর প্রেমের গল্পটি চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১নং রাজারগাঁও ইউনিয়নের ঘটনা।
গত ১২ মার্চ পৃথক দুইটি নিখোঁজ ডায়েরী করার পর বিষয়টি উদঘাটন করে থানা পুলিশ। পরে পুলিশ ভাবীকে তার স্বামীর কাছে এবং ননদকে তার মা-বাবার কাছে শর্ত সাপেক্ষে তুলে দেয়।
পুলিশ ও ভাবী-ননদের পারিবারিক সূত্রে জানা গেল, বিয়ে করে সুখের সংসার গড়বে তারা। এমনই স্বপ্ন । দুইজনেই নারী। কিভাবে বিয়ে করে ঘর বাঁধবে এমন প্রশ্নের জবাবে ভাবী জানিয়েছে- ইতোমধ্যে তারা দুজন দুজনকে সুখ দিতে পেরেছে। কয়েক মাস ধরে তাদের এই প্রেম। একই বাড়ীর বাসিন্দা। ননদ পড়ালেখার সুবাধে হাজীগঞ্জ শহরে থাকে। প্রেমের টানে গ্রামের বাড়ী যাওয়া-আসা। দুজনের সিদ্ধন্ত মতে চাঁদপুরে বাসা ভাড়া নেয় ভাবী।
হাজীগঞ্জ থানা উপ-পরিদর্শক নাজিম জানান, গত ১২ মার্চ বিকালে ভাবী রাজারগাঁও ইউনিয়ন থেকে আর ননদ হাজীগঞ্জ পৌরসভা এলাকা থেকে বেরিয়ে পড়েন। পরে তারা চাঁদপুরের ভাড়া বাসায় উঠে। তাদের খোঁজ না পেয়ে দুই পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক নিখোঁজ ডায়েরী করা হয়।
তিনি আরো জানান, ওই রাতেই ভাবীর স্বামী চাঁদপুরের একটি বাসার সন্ধান পায়। পরে পুলিশ নিয়ে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে বেরিয়ে আসে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভাবী ননদকে এবং ননদ ভাবীকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে অনড় থাকে। বিপাকে পড়ে পুলিশ ও দুই পরিবার। ঘন্টাব্যপী তাদেরকে বুঝিয়ে-শুনিয়ে যোগাযোগ না করার শর্ত সাপেক্ষে পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়।