নোমান হোসেন আখন্দ : শাহরাস্তির ঐতিহ্যবাহী উঘারিয়া ইউসি উচ্চ বিদ্যালয়ে শ্রেনীকক্ষ সংকটের অভাবে শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিক পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শিক্ষকদের জন্য রক্ষিত ভবনটি ঝরাঝীর্ন হওয়ায় জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে অফিস করছেন শিক্ষকরা । বিদ্যালয়ের ঝরাঝীর্ন ছাদের পলেস্তার ধ্বসে পড়ে বিদ্যালয়ের নৈশপ্রহরী দারোয়ান মো: আতিকুজ্জামান মারাত্বকভাবে আহত হয়েছেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো: রহমত উল্ল্যাহ জানান, ঐতিহ্যবাহী এ বিদ্যাপীঠটি ১৯৬২ সালে প্রতিষ্ঠিত হলে ও ভবনের অভাবে শ্রেনীকক্ষ সংকট কাটছে না। জেএসসি ও এসএসসিতে বরাবরই ধারাবাহিক ফলাফল সন্তোষজনক। বিগত বিভিন্ন সরকারের পালাবদল হলে ও বঙ্গবন্ধু কন্যা দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময় বিদ্যালয়টি ২০১২ সালে ৪ তলা ভীত বিশিষ্ট (বর্তমানে ৩য় তলা) নির্মান কাজ সম্পন্ন একমাএ দৃশ্যমান ভবন রয়েছে।
এছাড়া একটি টিনের চালা ঘর ও পরিত্যক্ত ভবন রয়েছে। শিক্ষার্থীরা এ ঘর ও পরিত্যক্ত ভবনে অতি ঝুকিঁপূর্নভাবে অধ্যায়ন করছেন। বিদ্যালয়ের একমাত্র তৃতীয়তলা ভবনটিতে প্রতিনিয়তই শিক্ষার্থীরা গাদা-গাদি করে ক্লাস করতে হচ্ছে। বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেনী পর্যন্ত ৫ শত ৫০ জন শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছেন। এ ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে অধ্যায়ন করে আলোকিত মেধাবী ও প্রতিষ্ঠিত শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্র ও সমাজের কল্যানে নিবেদিত হয়ে কাজ করে আলোকিত করছেন।
বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, প্রতিনিয়তই শ্রেনীকক্ষের অভাবে তাদের চলমান পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। শ্রেণীকক্ষের অভাবে একটি কর্ক্ষে ২ টি ক্লাস করতে হচ্ছে। জীবনের ঝুকিঁ নিয়ে পরিত্যাক্ত ভবনে ও তাদের ক্লাস করতে হয়। এছাড়া ভবনের অভাবে ল্যাব, লাইব্রেরী , কমনরুম করা সম্বভ হচ্ছেনা।
শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে একটি বহুতল ভবন অনুমোদনের জন্য , শিক্ষামন্ত্রী, সংসদ সদস্য, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আশু হস্তক্ষেপ ও সু-দৃষ্টি কামনা করছেন।