সজীব খান : চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) অঞ্জনা খান মজলিশ বলেছেন, জাটকা রক্ষায় মার্চ-এপ্রিল অভয়াশ্রমের দুই মাস চাঁদপুরের বাহিরের জেলেরাও পদ্মা-মেঘনায় প্রবেশ করতে পারবে না। আমরা এই বিষয়ে ইতোমধ্যে মুন্সিগঞ্জ প্রশাসনের সাথে কথা বলেছি, তারা যেন এখানে এসে জাটকা না ধরে সে জন্য অনুরোধ জানিয়েছি। একই সাথে আমাদের নৌ সীমানার ৭০ কিলোমিটার নৌ-বাহিনী, কোস্টগার্ড, নৌ পুলিশ, জেলা প্রশাসন, মৎস্য বিভাগ নিয়মিত পাহারা দিবে। যাতে জেলা ও বাহিরের জেলেরা এসে জাটকা ধরতে না পারে।
মঙ্গলবার (০১ মার্চ) সকাল ১০টায় চাঁদপুর শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে জেলা টাস্কফোর্সের আয়োজনে মেঘনা নদীতে যৌথ অভিযান পূর্বে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ইলিশ আমাদের জাতীয় মাছ এবং জাতীয় সম্পদ। এটি রক্ষা করা আমাদের সকলের দায়িত্ব। জাটকাগুলোই বড় ইলিশের রুপান্তর হবে। আগামী দুই মাস আমাদের প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিকসহ সকলকে নিয়ে জাটকা রক্ষা করব। যেসব জেলে এই সময় জাটকা ধরা থেকে বিরত থাকবেন তাদেরকে ৪ মাস সরকারের পক্ষ থেকে আসা ৪০ কেজি করে বিএজফ চাল খাদ্য সহায়তা হিসেবে পৌঁছে দেয়া হবে। আমরা চাইনা জেলেরা কষ্টে থাকুক। তাদেরকে ভাল থাকার জন্য এই কয় মাস যাদের ঋন আছে তাদের কিস্তিগুলো বন্ধ রাখার জন্য বলা হয়েছে।
এ সময় আরো বক্তব্য রাখেন নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের (এসপি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ।
অভিযানে চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সানজিদা শাহনাজ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আসিফ মহিউদ্দিনসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও জেলে নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
অভিযানের পূর্বে শহরের বড় স্টেশন মোলহেডে সাধারণ মানুষের মাঝে জাটকা রক্ষায় প্রচারণার অংশ হিসেবে লিফলেট বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক। এরপর মেঘনা নদীর মোহনার আশাপাশ এলাকায় যৌথ অংশগ্রহণে একটি নৌ-র্যালী বের হয়।