নিজস্ব প্রতিনিধি : খাদ্যরসিক বাঙালি প্রাচীনকাল থেকে প্রধান খাদ্যের পরিপূরক বিভিন্ন রকম মুখোরচক খাবার তৈরি করে আসছে। তার মধ্যে পিঠা অন্যতম। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে এই পিঠা। আর এ ঐতিহ্যকে ধরে রাখতেই এব বছর পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে চাঁদপুর প্রেসক্লাব।
একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক, কবি, সাহিত্যিক ও পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ সম্মানে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে চাঁদপুর প্রেসক্লাব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব কমিউনিটি সেন্টারে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।
নানান ধরনের পিঠার পসরা নিয়ে হাজির হয়েছেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দের সহধর্মিণীরা। প্রায় ২০-২৫ ধরনের পিঠা দিয়ে সাজানো হয়েছে এই পিঠার আসর। বিভিন্ন অঞ্চলের সব বিখ্যাত পিঠার সমাহারতো রয়েছেই সাথে রসভরি, ছানার লবঙ্গ, মালাই চপ, আলুর পিঠা, দুধ পুলি, তিল পাকন, মিষ্টি পোয়া, তালের পিঠা, স্বর ভাজার মতো বৈচিত্র্যময় সব লোভনীয় পিঠার পসরা সাজানো হয়। পরবর্তীতে এদেরনমধ্য থেকে বিজয়ীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলনের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ ফেরদৌসের পরিচালনায় উদ্ধোধকের বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল।
এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাকালের তত্বাবধায়ক ডা. মাহবুবুর রহমান, সদর হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সাজেদা পলিন, ডা. নোমান, ডা. জয়নব, জেলা আইনজিবী সমিতির সাধারন সম্পাদক অ্যাড. আবদুল্লাহ আল মামুন, এড. সাইফুদ্দিন বাবু।
পিঠা উৎসবে পিআইবির মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ বলেন, চাঁদপুর প্রেসক্লাব আমার সম্মানে যে পিঠা উৎসবের আয়োজন করেছে সত্যিই আমি মুগ্ধ। চাঁদপুরের সাংবাদিকরা সব দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে। আমি চাঁদপুরের সাংবাদিকদের পাশে সবসময় আছি এবং থাকবো। পিঠার ঐতিহ্য ধরে রাখতে এই আয়োজন বিশেষ ভূমিকা রাখছে। পিঠা বাঙালির চিরায়ত সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ। শীত আর পিঠা একে অপরের পরিপূরক।