ঢাকা ০১:২৪ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শাহরাস্তি সমবায় সমিতি নির্বাচনে খসড়া প্রার্থী তালিকায় ঋণখেলাপি প্রার্থী নিয়ে ধুম্রজাল

বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ(ইউ সি সি এ লিঃ) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের খসড়া প্রার্থী তালিকায় ঋণখেলাপি প্রার্থীর নাম প্রকাশ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তরফ থেকে আপত্তি সম্বলিত নথিপত্রসহ বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানান দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র মাধ্যমে   জানা গেছে, আসন্ন আগামী ৩ মার্চ শাহরাস্তি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিমিত্তে নির্ভরযোগ্য ৮টি পদের বিপরীতে ৫ টি পদের জন্য সর্বমোট ৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে ।
গত ১০ শে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী জমাকৃত মনোনয়নপত্র গুলো নির্বাচন কমিটি কর্তৃক যাচাই বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে জমাকৃত প্রত্যেকটি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত করা হয়। ওই খসড়া তালিকা প্রকাশ পেতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তরফ থেকে দুটো সমিতি এবং দুজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ তোলা হয়।
সভাপতি পদে মোঃ বেলায়েত হোসেন (প্রার্থী) বড় তুলা কৃষক সমবায় সমিতি লিঃ প্রতিনিধিত্বকারী প্রাথমিক সমিতি । ওই সমিতি গত ১৪/০২/২০০০ ঋণ বিতরনের তারিখ হতে বকেয়া ঋণ আসল, বকেয়া ঋণ সুদ সেবামূল্য, বকেয়া ঋণ সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫শত ১৪ টাকা মেয়াদৌত্তীর্ণ খেলাপি ঋণ হিসেবে বিবেচিত রয়েছেন। একইভাবে পূর্ব আয়নাতলী কে এস এস সদস্য ব্লক নং ৩ মোঃ রফিকুল ইসলাম গত ০৭/০১/১৯৯৮_২৪/১২/১৯৯৮ সমিতির ঋণ বিতরণ তারিখে গ্রহণকৃত ঋণের বিপরীতে বকেয়া ঋণ, বকেয়া ঋণ সুদ সেবামূল্য, বকেয়া ঋণ সার্ভিস চার্জ বাবদ ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭শ ৩৬টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঋণখেলাপি রয়েছেন। যা মোঃ শাহাদাত হোসেন পাঠান উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ভারপ্রাপ্ত বিআরডিবি শাহরাস্তি চাঁদপুর স্বাক্ষরিত ।
এদিকে খসড়া ভোটার তালিকা মেয়াদ উত্তীর্ণ খেলাপি ঋণ প্রার্থী প্রসঙ্গে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ মোতালেব  খান মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, সংশ্লিষ্টরা এবিষয়ে গত ৯ তারিখে  তার দপ্তরে নথিপত্র  দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি গত ১০ ফেব্রুয়ারি খসড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের পর বিষয়টি তার দপ্তরে উত্থাপিত হয়।
বর্তমানে আনীত অভিযোগ বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি হতে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি এ আপত্তি ও মনোয়নপত্র বাতিল বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিল আবেদন যুগ্ম-নিবন্ধক বিভাগীয় সমবায় দপ্তর চট্টগ্রাম মহোদয়ের কার্যালয় আফিল করা যাবে। এই বিষয়ে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের শাহরাস্তি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শাহজাহান পাটোয়ারী জানান, প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই না করে এই খসড়া প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত সত্য হল, মোঃ বেলায়েত হোসেন এবং রফিকুল ইসলাম দুজন এবং দুটি সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণে জর্জরিত। এছাড়া ঐদিন সে দপ্তরে যাচাই বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন ছাড়াই ঋণের বিষয়টি আমলে না নিয়ে সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। যা দুঃখজনক এবং নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী।
এদিকে বিআরডিবি জুনিয়র অফিসার হিসাব এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল গনি খসড়া নির্বাচনী প্রার্থী তালিকা স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও তিনি স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকেন।
এ প্রসঙ্গে গনি জানান, আমি ওইদিন একটু বিলম্বে অফিসে যাই, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে রেজুলেশানে আমাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। সেজন্য আমি আর সই করতে পারিনি। অবশ্য এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা জানান গনি সাহেব সারাদিন অফিস করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা অজ্ঞাত কারণে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করেনি।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ খোকন জানান, ঐদিন যাচাই বাছাই কার্যক্রম এর মত বিষয় আমাদের চোখে পরিলক্ষিত হয়নি।
ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ফরিদগঞ্জে সালাতুল ইস্তেসকার নামাজ আদায়

শাহরাস্তি সমবায় সমিতি নির্বাচনে খসড়া প্রার্থী তালিকায় ঋণখেলাপি প্রার্থী নিয়ে ধুম্রজাল

আপডেট সময় : ০৫:২৫:৫০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২২
বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরের শাহরাস্তি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ(ইউ সি সি এ লিঃ) ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনের খসড়া প্রার্থী তালিকায় ঋণখেলাপি প্রার্থীর নাম প্রকাশ নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। ওই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তরফ থেকে আপত্তি সম্বলিত নথিপত্রসহ বিষয়টি সংশ্লিষ্টদের জানান দেওয়া হয়েছে।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র মাধ্যমে   জানা গেছে, আসন্ন আগামী ৩ মার্চ শাহরাস্তি উপজেলা কেন্দ্রীয় সমবায় সমিতি লিঃ ব্যবস্থাপনা কমিটির নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিমিত্তে নির্ভরযোগ্য ৮টি পদের বিপরীতে ৫ টি পদের জন্য সর্বমোট ৭টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে ।
গত ১০ শে ফেব্রুয়ারি নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী জমাকৃত মনোনয়নপত্র গুলো নির্বাচন কমিটি কর্তৃক যাচাই বাছাই করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে জমাকৃত প্রত্যেকটি মনোনয়নপত্র বৈধ বলে বিবেচিত করা হয়। ওই খসড়া তালিকা প্রকাশ পেতেই প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের তরফ থেকে দুটো সমিতি এবং দুজন প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঋণখেলাপির অভিযোগ তোলা হয়।
সভাপতি পদে মোঃ বেলায়েত হোসেন (প্রার্থী) বড় তুলা কৃষক সমবায় সমিতি লিঃ প্রতিনিধিত্বকারী প্রাথমিক সমিতি । ওই সমিতি গত ১৪/০২/২০০০ ঋণ বিতরনের তারিখ হতে বকেয়া ঋণ আসল, বকেয়া ঋণ সুদ সেবামূল্য, বকেয়া ঋণ সার্ভিস চার্জ বাবদ ১ লক্ষ ৭২ হাজার ৫শত ১৪ টাকা মেয়াদৌত্তীর্ণ খেলাপি ঋণ হিসেবে বিবেচিত রয়েছেন। একইভাবে পূর্ব আয়নাতলী কে এস এস সদস্য ব্লক নং ৩ মোঃ রফিকুল ইসলাম গত ০৭/০১/১৯৯৮_২৪/১২/১৯৯৮ সমিতির ঋণ বিতরণ তারিখে গ্রহণকৃত ঋণের বিপরীতে বকেয়া ঋণ, বকেয়া ঋণ সুদ সেবামূল্য, বকেয়া ঋণ সার্ভিস চার্জ বাবদ ৩ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭শ ৩৬টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ ঋণখেলাপি রয়েছেন। যা মোঃ শাহাদাত হোসেন পাঠান উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার ভারপ্রাপ্ত বিআরডিবি শাহরাস্তি চাঁদপুর স্বাক্ষরিত ।
এদিকে খসড়া ভোটার তালিকা মেয়াদ উত্তীর্ণ খেলাপি ঋণ প্রার্থী প্রসঙ্গে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ মোতালেব  খান মুঠোফোনে গণমাধ্যমকে জানান, সংশ্লিষ্টরা এবিষয়ে গত ৯ তারিখে  তার দপ্তরে নথিপত্র  দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি গত ১০ ফেব্রুয়ারি খসড়া প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশের পর বিষয়টি তার দপ্তরে উত্থাপিত হয়।
বর্তমানে আনীত অভিযোগ বিষয়ে আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি হতে ১৪ ই ফেব্রুয়ারি এ আপত্তি ও মনোয়নপত্র বাতিল বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির আপিল আবেদন যুগ্ম-নিবন্ধক বিভাগীয় সমবায় দপ্তর চট্টগ্রাম মহোদয়ের কার্যালয় আফিল করা যাবে। এই বিষয়ে সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের শাহরাস্তি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ শাহজাহান পাটোয়ারী জানান, প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত যাচাই-বাছাই না করে এই খসড়া প্রার্থীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। প্রকৃত সত্য হল, মোঃ বেলায়েত হোসেন এবং রফিকুল ইসলাম দুজন এবং দুটি সমিতির মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণে জর্জরিত। এছাড়া ঐদিন সে দপ্তরে যাচাই বাছাই কার্যক্রম সম্পন্ন ছাড়াই ঋণের বিষয়টি আমলে না নিয়ে সংশ্লিষ্টরা তড়িঘড়ি করে খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। যা দুঃখজনক এবং নির্বাচনী আইনের পরিপন্থী।
এদিকে বিআরডিবি জুনিয়র অফিসার হিসাব এবং নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মোঃ আব্দুল গনি খসড়া নির্বাচনী প্রার্থী তালিকা স্বাক্ষর থাকার কথা থাকলেও তিনি স্বাক্ষর করা থেকে বিরত থাকেন।
এ প্রসঙ্গে গনি জানান, আমি ওইদিন একটু বিলম্বে অফিসে যাই, কিন্তু অজ্ঞাত কারণে রেজুলেশানে আমাকে অনুপস্থিত দেখানো হয়। সেজন্য আমি আর সই করতে পারিনি। অবশ্য এ বিষয়ে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা জানান গনি সাহেব সারাদিন অফিস করেছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্টরা অজ্ঞাত কারণে তার স্বাক্ষর গ্রহণ করেনি।
এছাড়া সহ-সভাপতি পদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ খোকন জানান, ঐদিন যাচাই বাছাই কার্যক্রম এর মত বিষয় আমাদের চোখে পরিলক্ষিত হয়নি।