মোঃ সাজ্জাদ হোসেন রনি : হাইমচরে সরকারি মহৎ কাজকে বাধাগ্রস্থ্য করতে উপজেলা মৎস্য অফিসারের বিরুদ্ধে কঠোর ষড়যন্ত্র করছে একটি মহল।
হাইমচরে বাচ্চু মোল্লা নামক ব্যক্তির মৃত্যুতে উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. মিজানুর রহমানকে ফাঁসানোর চেষ্টাসহ সরকারি কাজকে বিতর্কিত করতে উঠে পড়ে লেগেছে একটি কুচক্রি মহল।
জানাজায়, গত ২০ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার রোজ সকালে উপজেলা মৎস্য অফিস, কোষ্টগার্ড হাইমচর বাজার মাছ ঘাটে যৌথ অভিযান চালায়। এসময় ৫০০ কেজি জাটকা মাছ জব্দ করে এতিমদের মাঝে বিতরণ করা হয়। ঐ দিনই চরভৈরবী এলাকার বাচ্চু মোল্লা মাছ ক্রয় করতে মাছ ঘাটে এসে অসুস্থ্য হয়ে পড়েন। অসুস্থ্য ব্যক্তিকে প্রথমে হাইমচর স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে ভর্তি করানো হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুকে ব্যবহার করে মৎস্য অফিসারকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করছে এক শ্রেনীর অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীসহ কুচক্রিমহল। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে লাসের সাথে মৃত্যু সনদে বাচ্চু মোল্লা করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃতুবরন করেন উল্লেখ রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তি জানান, কোস্টগার্ড, পুলিশ দেখে মাছ রেখে যে যেভাবে পারছে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ঐ সময় ভয়ে দোড়াতে গিয়ে বাচ্চু মোল্লা গাছের সাথে আঘাত পেয়ে মাথা পেটে যায়।
এ ব্যাপারে হাইমচর উপজেলা সিনিয়র( অতিরিক্ত দায়িত্ব) মৎস্য অফিসার মোঃ মিজানুর রহমান জানান ঐদিন আমরা থাকালীন সময়ে কেউ আহত হওয়ার মত ঘটনা ঘটে নি। আমার হাতে কোন লাঠি ছিলনা। আমার সাথে হাইমচর থানার এস আই মোঃ আঃ মান্নান ও কোষ্টগার্ঢ ছিল। তারা কাউকে আঘাত করতে দেখিনি । চলতি কম্বিং অপারেশন ও আসন্ন মার্চ এপ্রিল জাটকা সংরক্ষণ অভিযান বাধাগ্রস্ত করতেই আমার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ আনা হয়েছে।