ঢাকা ০৪:৫৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চাঁদপুরে প্রবাসীর স্ত্রী থেকে প্রতারণা করে ৫২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক আটক

নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারণা করে ৫২ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে পালিয়েছে মাসুদ রানা নামে এক প্রতারক। অবশেষে ৫ মামলার আসামি শাহরাস্তির উয়ারুক অলিপুরের বাসিন্দা মাসুদ রানাকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই শাহরিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বড় স্টেশন রশিদ হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক প্রতারক মাসুদ রানা ওরফে মাহবুব শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক অলিপুর পাটোয়ারী বাড়ির সিরাজ পাটোয়ারী ছেলে।
প্রতারক মাসুদ রানা বেশ কয়েকবছর কাতার থেকে সেখানে একজন প্রবাসীকে হত্যা করে টাকা-পয়সা লুট করে বাংলাদেশের চলে আসার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে অতি লোভের আশায় কাতার যাওয়ার সাথে সাথেই সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৬ মাস জেল খাটেন।
তার পরিবারের লোকজন টাকা পয়সা খরচ করে বিদেশ থেকে জামিনে বের করে তাকে বাংলাদেশ নিয়ে আসে।
প্রতারক মাসুদ রানা প্রতারণার নয়া কৌশল অবলম্বন করে প্রবাসীর স্ত্রীদের টার্গেট করে ভদ্রবেশে তাদের সাথে পরকীয়া প্রেমের অভিনয় করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
শাহরাস্তি থানায় এই মাসুদ রানা মাহবুবের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অবশেষে হাজীগঞ্জের প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে ৫২ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রতারক মাসুদ রানা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে চাঁদপুর বড় স্টেশন রশিদ আবাসিক হোটেলে গিয়ে অবস্থান নেয়।
শাহরাস্তি থানা পুলিশ চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এই প্রতারক মাসুদ রানাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রতারণার শিকার হওয়া অসহায় প্রবাসীর স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিদেশ থেকে স্বামীর অর্জিত অর্থ দেশে পাঠানো হলে সেই টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য গেলে প্রতারক মাসুদ রানা সাথে পরিচয় হয়। সে সুকৌশলে মোবাইল নাম্বার চাইলে না দেওয়ায় অবশেষে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাড়িতে চলে আসে। সে নিজেকে প্রবাসী পরিচয় দিয়ে স্বামীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে। কুমিল্লা জায়গা কিনার প্রলোভন দেখিয়ে ৫২ লক্ষ টাকা ১০ ভরি স্বর্ণ ও ব্র্যাক থেকে ১০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
এই প্রতারক মাসুদ রানা শাহরাস্তির বেশ কয়েকজন প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে। আমরা এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই ও প্রতারণা করে নেওয়া টাকা ফেরত চাই।

Model Hospital

এদিকে প্রতারক মাসুদ রানাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ,পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট

চাঁদপুরে প্রবাসীর স্ত্রী থেকে প্রতারণা করে ৫২ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ, প্রতারক আটক

আপডেট সময় : ০২:৫৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২
নিজস্ব প্রতিনিধি : চাঁদপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে প্রতারণা করে ৫২ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাৎ করে পালিয়েছে মাসুদ রানা নামে এক প্রতারক। অবশেষে ৫ মামলার আসামি শাহরাস্তির উয়ারুক অলিপুরের বাসিন্দা মাসুদ রানাকে আটক করে পুলিশ।
শুক্রবার ভোরে চাঁদপুর মডেল থানার এসআই শাহরিন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বড় স্টেশন রশিদ হোটেলে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আটক প্রতারক মাসুদ রানা ওরফে মাহবুব শাহরাস্তি উপজেলার উয়ারুক অলিপুর পাটোয়ারী বাড়ির সিরাজ পাটোয়ারী ছেলে।
প্রতারক মাসুদ রানা বেশ কয়েকবছর কাতার থেকে সেখানে একজন প্রবাসীকে হত্যা করে টাকা-পয়সা লুট করে বাংলাদেশের চলে আসার অভিযোগ উঠেছে। পরবর্তীতে অতি লোভের আশায় কাতার যাওয়ার সাথে সাথেই সে পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়ে ৬ মাস জেল খাটেন।
তার পরিবারের লোকজন টাকা পয়সা খরচ করে বিদেশ থেকে জামিনে বের করে তাকে বাংলাদেশ নিয়ে আসে।
প্রতারক মাসুদ রানা প্রতারণার নয়া কৌশল অবলম্বন করে প্রবাসীর স্ত্রীদের টার্গেট করে ভদ্রবেশে তাদের সাথে পরকীয়া প্রেমের অভিনয় করে সর্বস্ব লুটে নিয়েছে।
শাহরাস্তি থানায় এই মাসুদ রানা মাহবুবের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি প্রতারণা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
অবশেষে হাজীগঞ্জের প্রবাসীর স্ত্রীর কাছ থেকে ৫২ লক্ষ টাকা ও স্বর্ণালংকার আত্মসাতের ঘটনায় তার বিরুদ্ধে শাহরাস্তি থানায় আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়।
প্রতারক মাসুদ রানা এলাকা ছেড়ে গা ঢাকা দিয়ে চাঁদপুর বড় স্টেশন রশিদ আবাসিক হোটেলে গিয়ে অবস্থান নেয়।
শাহরাস্তি থানা পুলিশ চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে এই প্রতারক মাসুদ রানাকে আটক করতে সক্ষম হয়।
প্রতারণার শিকার হওয়া অসহায় প্রবাসীর স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, বিদেশ থেকে স্বামীর অর্জিত অর্থ দেশে পাঠানো হলে সেই টাকা ব্যাংকে রাখার জন্য গেলে প্রতারক মাসুদ রানা সাথে পরিচয় হয়। সে সুকৌশলে মোবাইল নাম্বার চাইলে না দেওয়ায় অবশেষে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বাড়িতে চলে আসে। সে নিজেকে প্রবাসী পরিচয় দিয়ে স্বামীর সাথে সম্পর্ক রয়েছে বলে মিথ্যা অজুহাত দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তুলে। কুমিল্লা জায়গা কিনার প্রলোভন দেখিয়ে ৫২ লক্ষ টাকা ১০ ভরি স্বর্ণ ও ব্র্যাক থেকে ১০ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে উধাও হয়ে যায়।
এই প্রতারক মাসুদ রানা শাহরাস্তির বেশ কয়েকজন প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তুলে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলাও রয়েছে। আমরা এই প্রতারকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই ও প্রতারণা করে নেওয়া টাকা ফেরত চাই।

Model Hospital

এদিকে প্রতারক মাসুদ রানাকে আদালতে প্রেরণ করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।