চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হাজীগঞ্জ সরকারি মডেল কলেজ। ১৯৮৭ সালে প্রতিষ্ঠিত এই কলেজটি বিগত বছরগুলোতে ভালো ফলাফল করে সুনাম অর্জন করলেও এবছরে এইচএসসির ফলাফল বিপর্যয়ের ফলে টনক নড়েছে শিক্ষক ও অবিভাবক মহলে।
এর জন্য কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেনকে দায়ী করে তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন কলেজের একাংশ শিক্ষক-শিক্ষিকা।
সোমবার (৪ নভেম্বর) কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন ও হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক মো: রাশেদ এর বিরুদ্ধে অর্থ কেলেংকারি ও নারী শিক্ষার্থীদের সাথে অশ্লীলতা এবং অনৈতিক আচরন করার অভিযোগ তুলে ধরে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপিকা ফাতেমা আক্তার বলেন- কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের অবাদে মেলামেশার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন বর্তমান অধ্যক্ষ।
সরকারীভাবে বাড়ি ও চিকিৎসা ভাড়াসহ নানা সুযোগ সুবিধা ভোগ করেও তিনি কলেজের স্কাউট অফিসে থেকে আসছেন। সেখানে নির্জন একটি রুমে অফিসের স্টাফ রূপাকে দিয়ে রাত ১০ টা ১১ টা পর্যন্ত খাওয়া দাওয়ার জন্য নিয়োজিত রাখেন। কেন তিনি কোন পুরুষ পিওন রাখেন না।
অধ্যক্ষ মোশাররফ হোসেন আমি এবং মল্লিকা ম্যাডাম, হারুন স্যারসহ সিনিয়র অধ্যাপকদের সাথে বৈষম্য আচরণ শুরু করেন। আমাকে জোরপূর্বক অবসরে পাঠান। আমি ও মল্লিকা ম্যাডামের বেতন, ঈদ বোনাস না দিয়ে তালবাহানা শুরু করেন। সবাই জানে আমরা এ কয়েকজন কলেজটির সুশৃঙ্খল বিষয়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখি।
কলেজের নাইট গার্ড রফিক ও শাহাদাত হোসেনকে দিয়ে দিনের বেলায়ও কাজ করান। এমনকি মাঝেমধ্যে তাদের স্ত্রী সন্তানদেরকে দিয়েও কাজ করান। শিক্ষকদের বলেন, ক্লাস না নিলে কি আপনাদের বেতন বন্ধ হয়ে যাবে। এটা কি একজন অধ্যক্ষ করতে বা বলতে পারেন।
উনি কলেজে যোগদানের পর পুরোপুরি শিক্ষা শৃঙ্খলা ভেঙে পড়ে। আগে মডেল কলেজে প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি থাকতো, বর্তমানে ৩০ ভাগ শিক্ষার্থীর উপস্থিতি নেই।
বিষয়গুলো প্রশাসনের দৃষ্টিতে দেখার আহবান জানাই।
সংবাদ সম্মেলনে কলেজের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা উপস্থিত ছিলেন।