মো. রাছেল, কচুয়া : কাল বুধবার পঞ্চমধাপে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কচুয়া উপজেলার ১২টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এইদিন ১৩০টি ভোট কেন্দ্রে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে চলবে ভোট গ্রহন। এ উপলক্ষ্যে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাচন অফিসার কাজী আবু বকর সিদ্দিক জানান- এ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে ৬৬জন, সংরক্ষিত আসনে মহিলা সদস্য পদে ১শ ২০ ও সাধারণ সদস্য পদে ৫শ ১৯ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছে।
বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়- চেয়ারম্যান পদে নৌকা প্রতীক প্রার্থীর সাথে স্বতন্ত্র বিদ্্েরাহী প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বীতা হচ্ছে। অধিকাংশ ইউনিয়নে স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থীর সংখ্যা তিন থেকে চার জন। এসব বিদ্রোহী প্রার্থীরা আওয়ামী লীগ ও উহার অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। স্বতন্ত্র হিসেবে বিএনপির দুইটি ইউনিয়নে প্রার্থী থাকলেও তারা মূল প্রতিদ্বন্দ্বীতায় নেই। কড়ইয়া ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবদুস ছালাম সওদাগর ব্যতীত অন্য ৮ প্রার্থীর সকলেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেওয়ায় তিনি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হচ্ছেন।
কচুয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ ও কচুয়া থানার অফিসার ইনর্চাজ মো. মহিউদ্দিন জানান- নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ন পরিবেশে অনুষ্ঠানের জন্য সকল প্রকার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। কেউ জাল ভোট দেওয়ার কিংবা বেলট বাক্স ছিনতাই করার অপচেষ্টা নিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সুষ্ঠ ভোট নেওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়ায় নির্ভীকভাবে ভোটারা তাদের মূল্যবান ভোট দিতে পারবে এমনিই বিশ্বাসে তারা বেশ উৎসাহ বোধ করছে। এখন ভোটাররা ভোট প্রয়োগের মুহুুর্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
উপজেলা নিার্বচন কর্মকর্তা কাজী আবু বকর সিদ্দিক জানান- সুষ্ঠ নির্বাচনের লক্ষ্যে সকল ধরনের নিরাপত্তার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। যথা সময়ে নির্বাচনী মালামাল কেন্দ্রে কেন্দ্রে পৌছানোর জন্য প্রস্তুত রাখা এবং শান্তিপূর্ন পরিবেশে নির্বাচন করতে সকল প্রস্তুতি স¤পন্ন করা হয়েছে।
১১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রার্থীরা হচ্ছেন:
১নং সাচার ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মিন্নত আলী তালুকদার (নৌকা), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী মনির হোসেন (ঘোড়া) ও স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী এসএম শুভ (চশমা)।
২নং পাথৈর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামাল হোসেন মিয়াজী (নৌকা), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান জুয়েল (ঘোড়া), আক্কাস আলী মোল্লা আনারস।
৩নং বিতারা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল্লা আল মামুন নৌকা, স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ইসহাক শিকদার (ঘোড়া), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ইসমাইল হোসেন (আনারস)।
৪নং পালাখাল মডেল ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আ: আহাদ (নৌকা) স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী ইমাম হোসেন (মোটরসাইকেল), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী মো. মাসুদুর রহমান (আনারস) ও স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী হাবিবুর রহমান (ঘোড়া)।
৫নং পশ্চিম সহদেবপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলমগীর হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী আঃ সামাদ আজাদ (আনারস)।
৬নং কচুয়া উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আখতার হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী কাজী জহিরুল ইসলাম (আনারস)।
৭নং কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আলী আজগর (নৌকা), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী জসিমউদ্দীন লিটন (আনারস), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী সৈয়দ রবিউল ইসলাম রাসেল (ঘোড়া)।
৮নং কাদলা ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রফিকুল ইসলাম লালু (নৌকা) স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী আবদুল হাই মোটর সাইকেল ও স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী মোহাম্মদ নূর ই আলম (আনারস)।
১০নং গোহট উত্তর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কবির হোসেন (নৌকা), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী আমিন উদ্দীন আনারস।
১১নং গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আমির হোসেন (নৌকা) স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী মো. আলাউদ্দীন (মোটর সাইকেল)।
১২নং আশ্রাফপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ওমর ফারুক শামীম (নৌকা), স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী মো. রফিকুল ইসলাম (আনারস) ও স্বতন্ত্র বিদ্রোহী প্রার্থী রেজাউল মাওলা হেলাল (ঘোড়া)।