ঢাকা ০৪:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফরিদগঞ্জে প্রার্থীর অভিযোগ; এক ইউনিয়নের ঘটনায় অন্য এলাকার লোকজনকে জড়ানো হচ্ছে

এস এম ইকবাল : ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচার শুরুর দিনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর মধ্যকার হামলা ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অপর একটি একটি ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিকটাত্মীয় ও দলীয় লোকজনকে জড়ানোর অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।

Model Hospital

২২ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেন।

স্থানীয় নির্বাচনী অফিসে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর দিন গত সোমবার রাতে চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ফিরোজপুর বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহত আহত একজনের ভাই জনৈক শামীম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু ঘটনাস্থল ও ইউনিয়ন ভিন্ন হলেও ওই মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকা গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ১০জন লোককে আসামী করা হয়েছে। যারা আমার নিজের সহোদরসহ নিকটাত্মীয় ৫জন এবং অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমরান হোসেনের ৫জন। আমার নিকটাত্মীয়দের একজন ছাড়া অন্যরা ঢাকায় ব্যবসা করে। ফলে আমাকে নির্বাচন থেকে দুরে সরাতে এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করতেই এই আয়োজন বলে আমার মনে হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাটি গ্রহণের পুর্বে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি কোন তদন্ত ছাড়াই প্রভাবিত হয়ে এই কাজ করলেন তা বোধগম্য নয়। আমি ও আমার পরিবার আজন্ম আওয়ামীলীগ করেছি। আমার বাবা, চাচা, দাদা, নানাসহ পরিবারের ১৬জন সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং পরবর্তীতে দল ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছেন। আমি তাই মানুষের জন্য কাজ করতে নির্বাচনে নেমেছি।

কিন্তু যা শুরু হয়েছে ,আমার আশংকা নির্বাচন পর্যন্ত এধরনের আরো অনেক ঘটনাই ঘটবে। তাই আমি স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনসহ পুলিশের উধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সাথে আগামী ৫ জানুয়ারী সুষ্ঠু অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার দাবী জানান।

এসময় কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমিটির নির্বাহী কমিটির আহবায়ক জিয়া উদ্দিন সোহাগ পাটওয়ারী, এমদাদ পাটওয়ারী, আলমগীর পাটওয়ারী, হানিফ গাজি, মনির পাটওয়ারী, সাইফুল খাঁন, সফিকুর রহমান পাটওয়ারী, নান্নু খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন খান, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল পাটওয়ারী, আশরাফ পাটওয়ারী, নুরনবী পাটওয়ারী, মুসা পাটওয়ারী, শাওন পাটওয়ারী, মহিবুল্লাহ, আলাউদ্দিন পাটওয়ারী, সাইফুল পাটওয়ারী, যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মুরাদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: শাহজাহান এর সমর্থকদের মধ্যকার হামলাও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২৫জন আহত হয়। রাতেই মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুইজনকে আটক করে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শিগগির চালু হচ্ছে বাংলাদেশ,পাকিস্তান সরাসরি ফ্লাইট

ফরিদগঞ্জে প্রার্থীর অভিযোগ; এক ইউনিয়নের ঘটনায় অন্য এলাকার লোকজনকে জড়ানো হচ্ছে

আপডেট সময় : ০২:৫৮:৪৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২১

এস এম ইকবাল : ফরিদগঞ্জ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী প্রচার শুরুর দিনে দুই প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীর মধ্যকার হামলা ভাংচুরের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অপর একটি একটি ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর নিকটাত্মীয় ও দলীয় লোকজনকে জড়ানোর অভিযোগ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক চেয়ারম্যান প্রার্থী।

Model Hospital

২২ ডিসেম্বর বুধবার বিকালে উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ুন কবির পাটওয়ারী সংবাদ সম্মেলনে এই দাবী করেন।

স্থানীয় নির্বাচনী অফিসে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা শুরুর দিন গত সোমবার রাতে চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের ফিরোজপুর বাজারে প্রতিদ্বন্দ্বি চেয়ারম্যান প্রার্থীদের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় আহত আহত একজনের ভাই জনৈক শামীম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। কিন্তু ঘটনাস্থল ও ইউনিয়ন ভিন্ন হলেও ওই মামলায় আমার নির্বাচনী এলাকা গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ১০জন লোককে আসামী করা হয়েছে। যারা আমার নিজের সহোদরসহ নিকটাত্মীয় ৫জন এবং অপর স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী এমরান হোসেনের ৫জন। আমার নিকটাত্মীয়দের একজন ছাড়া অন্যরা ঢাকায় ব্যবসা করে। ফলে আমাকে নির্বাচন থেকে দুরে সরাতে এবং মামলা দিয়ে হয়রানি করতেই এই আয়োজন বলে আমার মনে হয়েছে।

তিনি অভিযোগ করে বলেন, মামলাটি গ্রহণের পুর্বে সংশ্লিষ্ট থানার ওসি কোন তদন্ত ছাড়াই প্রভাবিত হয়ে এই কাজ করলেন তা বোধগম্য নয়। আমি ও আমার পরিবার আজন্ম আওয়ামীলীগ করেছি। আমার বাবা, চাচা, দাদা, নানাসহ পরিবারের ১৬জন সদস্য মুক্তিযোদ্ধা। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ এবং পরবর্তীতে দল ও জনপ্রতিনিধি হিসেবে নিজেদের স্বাক্ষর রেখেছেন। আমি তাই মানুষের জন্য কাজ করতে নির্বাচনে নেমেছি।

কিন্তু যা শুরু হয়েছে ,আমার আশংকা নির্বাচন পর্যন্ত এধরনের আরো অনেক ঘটনাই ঘটবে। তাই আমি স্থানীয় ও জেলা প্রশাসনসহ পুলিশের উধ্বতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। একই সাথে আগামী ৫ জানুয়ারী সুষ্ঠু অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দেয়ার দাবী জানান।

এসময় কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমিটির নির্বাহী কমিটির আহবায়ক জিয়া উদ্দিন সোহাগ পাটওয়ারী, এমদাদ পাটওয়ারী, আলমগীর পাটওয়ারী, হানিফ গাজি, মনির পাটওয়ারী, সাইফুল খাঁন, সফিকুর রহমান পাটওয়ারী, নান্নু খান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াহিদুর রহমান ভূঁইয়া, দেলোয়ার হোসেন খান, ছাত্রলীগ নেতা নাজমুল পাটওয়ারী, আশরাফ পাটওয়ারী, নুরনবী পাটওয়ারী, মুসা পাটওয়ারী, শাওন পাটওয়ারী, মহিবুল্লাহ, আলাউদ্দিন পাটওয়ারী, সাইফুল পাটওয়ারী, যুবলীগ নেতা রুহুল আমিন, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ২০ ডিসেম্বর রাতে চরদুঃখিয়া পশ্চিম ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মুরাদ হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মো: শাহজাহান এর সমর্থকদের মধ্যকার হামলাও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের ২৫জন আহত হয়। রাতেই মামলা দায়েরের পর পুলিশ দুইজনকে আটক করে।